চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

আনাই-আনুচিং মগিনীতে উজ্জ্বল খাগড়াছড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ | ১২:০০ অপরাহ্ণ

নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যে অনুষ্ঠিত সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা লড়াইয়ে প্রথম বারের মতো শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। বাংলাদেশের এ অর্জনের অংশীদার পাহাড়ী খাগড়াছড়ি জেলার তিন পাহাড়ী নারী ফুটবলার। এদের মধ্যে আনাই ও আনুচিং মগিনী দুই যমজ বোন।

তাদের বাড়ি খাগড়াছড়ি সদরের গোলা বাড়ি ইউনিয়নের সাত ভাইয়া পাড়া গ্রামে। পাহাড়ের নির্জন পল্লী গ্রামে যমজ দুই বোনের জন্ম। খাগড়াছড়ি সদর থেকে শহরের পূর্বে ভাঙ্গা সড়ক পেরিয়ে যেতে হয় গ্রামে। বাড়ির কাছে গেলেই বড় বাধা ছড়ার উপর নড়বড়ে সাঁকো। জীবনের ঝুকি নিয়ে সাঁকো পার হয়ে গৃহে প্রবেশ করতে হয়। বাড়িতেই কথা হয় দুই নারী ফুটবলারের বাবা রিপ্রু চাই মারমার সাথে।

তিনি জানালেন, আমার দুই মেয়ে নেপালে খেলতে গিয়ে জয়ী হয়েছে। এটা শুনে আমি সারারাত ঘুমাতে পারিনি। বাড়ির সকলে ও প্রতিবেশীরা এসে আনন্দে মেতে উঠে। তিনি জানান মেয়েরা এখনো বাড়িতে ফিরেনি।

তিনি জেনেছেন, ওরা নেপাল থেকে বাংলাদেশে এসেছে। দুই জনের বাবা-মা এখন তাদের বাড়িতে ফিরে আসার অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের অপেক্ষা ফুরাবে আজ। মা বাড়িতে না থাকায় বাবাই মেয়েদের কৃতিত্বের বিষয় গুলো তুলে ধরেন। তাদের বাবা আরো জানালেন পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধূলার প্রতি তাদের ছোট বেলা থেকে ঝোঁক ছিল। বাড়ির উঠানেই দুই বোন খেলাধূলায় মেতে থাকত সারা দিন।

হত-দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়ায় ছোট বেলা থেকে কেটেছে অভাব আর অনটনে আনাই ও আনুচিং মগিনী দুই যমজ বোনের। নিয়তির কী খেলা! তাদের কল্যাণেই পরিবারগুলো এখন আলোকিত। অভাব দূর হয়ে ফুটেছে সচ্ছলতার হাসি। সে সাথে দেশের মুখ উজ্জল করছেন তারা। উচ্ছ্বাসটা একটু বেশি ধরা দিয়েছে পার্বত্য জনপদ খাগড়াছড়িতে। আনাই ও আনুচিং মগিনীর বাড়িতে যাওয়ার একমাত্র নড়বড়ে সাঁকোটি এবার হয়তো উন্নোয়নের আলো দেখবে, প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

পূর্বকোণ/আর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট