টি-টোয়েন্টি সিরিজে পরাজয়ের পর এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে জয়ের মিশনে নামছে টাইগাররা। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে না থাকলেও অধিনায়ক হয়েই ৫০ ওভারের সিরিজে ফিরছেন তামিম ইকবাল। শুক্রবার (৫ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১টায় ম্যাচটি শুরু হবে।

এদিকে চলমান সফরে না থাকলেও সাকিব আল হাসানের নাম বারবার সামনে আসছে। কারণ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে তিনিই হয়েছিলেন সিরিজসেরা। তিন ম্যাচে ১৪৫ রান ও ৮ উইকেট দখলের কৃতিত্ব দেখান সাকিব। তিন ম্যাচেই অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখান তিনি।

হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে সেই সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ছিল সাকিব ও লিটন দাসের। তামিম ইকবাল শূন্য রানে আউট হওয়ার পর লিটন একপ্রান্ত ধরে রাখার পাশাপাশি উপহার দেন নান্দনিক ব্যাটিংশৈলি। তার ১১৪ বলে ১০২ রানের দারুণ এক ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ পায় ২৭৬ রানের বড় পুঁজি। তরুণ আফিফ খেলেন ৩৫ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস, মেহেদি হাসান মিরাজ ২৫ বলে ২৬ রানের ইনিংসে ২৭০ করে বাংলাদেশ।

তারপর শুরু হয় সাকিব ম্যাজিক। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের স্পিন ঘূর্ণিতে পড়ে মাত্র ১২১ রানে গুঁড়িয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। সাকিব একাই নেন ৩০ রানে ৫ উইকেট। তবে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ম্যাচ সেরা হন লিটন দাস।

তবে তৃতীয় ওয়ানডেতে টাইগারদের জয়ের নায়ক তামিম। বাংলাদেশ জয়ী হয় ৫ উইকেটে। লক্ষ্য ছিল বেশ বড়, ২৯৯ রান। তামিমের অনবদ্য শতকে (৯৭ বলে ১১২) বাংলাদেশ ৫ উইকেট হাতে রেখে ১২ বল আগেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।

সাকিব না থাকলেও শেষম্যাচ জেতানো তামিমের সঙ্গে আছেন লিটন দাস। এ স্টাইলিশ ব্যাটারও সবশেষ সিরিজের প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান। এক বছর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে না থাকা মুশফিকুর রহিম খেলবেন এ সিরিজে। মিস্টার ডিপেন্ডেবলের ফেরাটাও অনেক বড় স্বস্তি।

কাজেই টি-টোয়েন্টি সিরিজের মতো তরুণদের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করতে হবে না টাইগারদের। আগের পাঁচ সিরিজে জিম্বাবুয়ানদের তুলোধুনো করা তামিমের দল ফেবারিটের তকমা নিয়েই নামবে মাঠে।

পূর্বকোণ/এএস