চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিন মোড়লনীতির অবসান

আইসিসি’র গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে পিসিবি সভাপতি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

২৪ জুলাই, ২০১৯ | ১১:৩৬ অপরাহ্ণ

অবশেষে আধিপত্যের দিন শেষ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে (আইসিসি) তিন মোড়লের (অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ভারত)। আইসিসির অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যবিষয়ক (ফিন্যান্স এন্ড কমার্শিয়াল এফেয়ার্স) কমিটির প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি এহসান মানি। গেল সপ্তাহে আইসিসির বার্ষিক সম্মেলনে এ নিয়োগ দেন সংস্থাটির সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর। আইসিসি প্রশাসনের মধ্যেই বেশ ভালো ক্ষমতা রয়েছে অর্থ-বাণিজ্য সংক্রান্ত এ কমিটির।

মূলত ফিন্যান্স এন্ড কমার্শিয়াল এফেয়ার্স কমিটিই সব ধরণের আর্থিক বিষয়াদি দেখাশুনা করে। আর এখানে গত কয়েক বছর ধরেই তিন মোড়লের মধ্যেই পদটি ধরে রাখা হতো। এ কমিটি আইসিসির বিভিন্ন ইভেন্টের বাজেট প্রণয়ন ছাড়াও সদস্যদেশগুলোর মধ্যে অর্থ বণ্টনের দায়িত্বও পালন করে থাকে।

গত ১০ বছর ধরে এ তিন দেশের বাইরে মাত্র একজন কর্মকর্তা নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সাবেক প্রধান এলান আইজ্যাক (২০১১-১২) ফিন্যান্স ও কমার্শিয়াল এফেয়ার কমিটিতে ছিলেন। তবে শীর্ষপদে মোড়লদের বাইরে কেউ বসতে পারেননি। দীর্ঘ ১৭ বছর পর পিসিবি প্রধান এহসান মানি এ পদে ফিরলেন।

২০১৪ সালে এ কমিটির অংশীদার এন শ্রীনিবাসন, ওয়ালি এডয়ার্ডস ও জাইলস ক্লার্ক (তিনজন যথাক্রমে বিসিসিআই, সিএ ও ইসিবি প্রধান) মিলে আইসিসির রাজস্বনীতিতে এনেছিলেন বিতর্কিত সংশোধনী।

সংশোধনীর পর আয়ের সিংহভাগ গেছে ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের কোষাগারে। যদিও ১০টি টেস্ট খেলুড়ে দেশ প্রতিবছর আইসিসির রাজস্ব আয় থেকে সমান ভাগ পেয়ে থাকে। ২০১৭ সালে আইসিসি সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে তিন মোড়লের এ রাজস্বনীতি সংশোধন করেন শশাঙ্ক মনোহর।

এহসান মানি আইসিসির এ কমিটির প্রধান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর এটিকে ভালো কিছুর লক্ষণ বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। তিনি আইসিসি অডিট কমিটিতেও আছেন।

তিনি বড় কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন যা ক্রিকেটকে আরও বদলে দেবে এমনটাও আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে আইসিসির পরবর্তী ইভেন্টসমূহ নিয়ে আসতে পারে নতুন করে সিদ্ধান্ত।

পূর্বকোণ/রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট