চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

অজিদের বিরুদ্ধে টাইগারদের প্রথম টি টোয়েন্টি জয়

হুমায়ুন কবির কিরণ

৩ আগস্ট, ২০২১ | ৯:৪৮ অপরাহ্ণ

অস্ট্রেলিয়াকে টি টোয়েন্টিতে প্রথম হারের স্বাদ দিয়েছে বাংলাদেশ। নিজেদের ইতিহাসে ১০৩ ম্যাচ খেলা বাংলাদেশ অজিদের বিরুদ্ধে এর আগে খেলেছিল ৪ টি টোয়েন্টি। প্রতিটিতেই হারই ছিল সঙ্গী। কিন্তু এবার ভাগ্যের বদল হলো।

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) রাতে ৫ ম্যাচের সিরিজে অতিথি অস্ট্রেলিয়াকে ২৩ রানে হারিয়ে ১-০ তে এগিয়ে গেলো টাইগার্সরা। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি আজ সন্ধ্যায় একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার রাতে আগে ব্যাট করে স্বাগতিক বাংলাদেশ নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান সংগ্রহে সক্ষম হয় জবাব দিতে নেমে শুন্য রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দলীয় ১১ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে।

৪৫ বলে ৪৫ রান মিশেল মার্শ অজিদের আশা জাগালেও টাইগার বোলাররা তাদের সেই আশা পূরণ হতে দেননি। বিশেষ করে নাসুম আহমেদ, তিনি একাই ৪ উইকেট দখল করেন ৪ ওভাওে মাত্র ১৯ রান খরচায়। মুস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভাওে ১৬ ও শরিফুল ইসলাম ৩ ওভারে ১৯ রান খরচায় সমান ২টি করে উইকেট লাভ করেন।

বাংলাদেশ বোলারদের কৃপনতার সাথে কিছু মিস ক্যাচিংয়ের পরও তুলনামুলক ভালো ফিল্ডিংয়ে শেষ পর্যন্ত অজিদের বিরুদ্ধে প্রথম জয়ের স্বাদ পেলো ধুম-ধাড়াক্কা ক্রিকেটে। সাকিব আল হাসান ও মাহাদী হাসান ১টি করে উইকেট নেন।

বলে রাখা ভালো অজিদের ১১ উইলোবাজের মধ্যে ৮ জনই দুই অংকের ঘওে পৌছাতে পারেননি। মিচেল মার্শের ৪৫ রানের পর সর্বোচ্চ ১৪ রান ছিল স্টার্কের। এছাড়া ম্যাথু ওয়েড ১৩ রান করেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার কিছু আগে প্রথম টি টোয়েন্টির শুরুতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই অজি বোলারদের চাপের মুখে ছিল বাংলাদেশ। শুরুতেই সৌম্য সরকারকে হারায় বাংলাদেশ। জশ হ্যাজলেউডের বলে আউট হওয়ার আগে সৌম্য ৯ বলে করেন মাত্র ২ রান।

সৌম্য সরকার ফেরার পর নাইম শেখ মোটামুটি ভালো খেলছিলেন। মিচেল স্টার্ককে ফ্লিক করে বড় এক ছক্কাও হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু পরে আবার রানের গতি আটকে যায় নাইমের। চাপ থেকে বেরুতে এডাম জাম্পাকে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে বল মিস করে হন পরিষ্কার বোল্ড, ২৯ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় নাইম করেন ৩০ রান।

এরপর দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মিলে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন কিছুটা। যদিও তেড়েফুড়ে খেলতে পারেননি তারাও। ৩২ বলের জুটিতে তারা যোগ করেন ৩৬ রান। ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে আউট হন মাহমুদউল্লাহ।

হ্যাজলউডের বলে দৌড়ে গিয়ে দারুণ এক ক্যাচ নেন ময়েচেস হেনড্রিকস। মাহমুদউল্লাহর ২০ বলে ২০ রান করেন। এরপর নুরুল হাসান সোহানও উইকেটে টিকতে পারেননি। এন্ড্রু টাইয়ের বলে আউট হওয়ার আগে ৪ বলে ৩ রান করে হন মিচেল মার্শের ক্যাচ। ৮৬ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। উইকেটে ভরসা হয়ে ছিলেন সাকিব আল হাসান।

শেষ পর্যন্ত ৩৩ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৩৬ রান করে হ্যাজেলউডের স্লোয়ারে বোল্ড হন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। শামীম হোসেন পাটোয়ারী স্টার্কের টানা দুই বলে দুই করে চার রান নিলেও পরে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে পরাস্থ হন, করেন ৩ বলে ৪ রান। আফিফ হোসেন শেষ ওভারে এসে আউট হয়েছেন সেই স্টার্কের বলেই।

এবারও বোল্ড, ১৭ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৩ রান করে ইনিংসের শেষ বলে উইকেট হারান আফিফ। অজি বোলারদের মধ্যে সফলতম ছিলেন হ্যাজলেউড। ৪ ওভারে ২৪ রানে ৩ উইকেট নেন এই পেসার। স্টার্কের শিকার ২টি।

পূর্বকোণ/মামুন

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট