চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগারদের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়

খেলাধুলা ডেস্ক

২৫ জুলাই, ২০২১ | ৮:১৯ অপরাহ্ণ

প্রথমবারের মতো কোনো পূর্ণাঙ্গ সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ দল। তাও আবার বিদেশের মাটিতে টেস্ট ও ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতে নেয় সফরকারীরা। সাত বছর আগে তিন ফরম্যাটের সিরিজে জিম্বাবুয়েকে ঘরের মাঠে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার বিদেশে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ জিতল টাইগাররা।

জিম্বাবুয়ে চলতি সফরে একমাত্র টেস্টে ২২০ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। ওয়ানডে সিরিজ শেষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে ২-১ ব্যবধানে হারায় টাইগাররা।

সবশেষ ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। সেই সফরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলেও, টাইগাররা হেরে যায় টেস্টে। সফরে তিনটি ট্রফির সবগুলোই পেল বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে উইন্ডিজকে টেস্ট ও ওয়ানডেতে হারালেও টি-টোয়েন্টিতে হেরে যায় সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলটি।

২০ রানের মাথায় ওপেনার নাঈম শেখ সাজঘরে ফেরেন ৩ রান করে। বেশিক্ষণ খেলেতে পারেননি সাকিবও। ১৪ বলে ১ চার ২ ছক্কায় ২৫ রানের পর তিনিও সাজঘরের দিকে হাঁটেন। তবে সৌম্যর সঙ্গে তার জুটিতে আসে ৩২ বলে ৫০ রান। এরপর মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে লড়াই শুরু সৌম্য সরকারের।

সৌম্য ৪০ বলে তুলে নেন ফিফটি। এরপর লুক জঙওয়ের বলে লং অফে থাকা বদলি খেলোয়াড় মুসাকান্দার হাতে ক্যাচ তুলে দেন সৌম্য। বিদায়ের আগে তিনি ৪৯ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় খেলেন ৬৮ রানের দারুণ এক ইনিংস। রিয়াদের সঙ্গে গড়েন ৩৫ বলে ৬৩ রানের জুটি।

বাংলাদেশের ইনিংসের ১৫তম ওভারে আসে মাত্র ২ রান। ওভারের প্রথম দুই বলে সিঙ্গেল আসার পর আর কোনো রান নিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। পরের ওভারে ছক্কা পর ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে বোল্ড হন আফিফ হোসেন। দুই ছক্কায় ৪ বলে ১৪ রান করেন তিনি।

শামীম হোসেনকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। দুজনে মিলে ১৭তম ওভারে ১২ রান তোলেন। শেষ ১৮ বলে দরকার ছিল ২৮ রান। ১৮তম ওভারে রিয়াদ সিঙ্গেল নেওয়ার পর শেষ তিন বলে তিন চার হাঁকান শামীম। ওভারে আসে ১৫ রান। ফলে শেষ দুই ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩ রান।

মুজারাবানির করা ইনিংসের ১৯তম ওভারেও শামীম দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকান। কিন্তু চতুর্থ বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ। টাইগার দলপতি ২৮ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ রান করেন।

শেষ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ৫ রান। শামীম প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সমতা আনেন। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন। শামীম মাত্র ১৫ বলে ৬ চারে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে হারারেতে ওপেনার ওয়েসলে মাধেভেরের ৫৪, রেগিস চাকাভার ৪৮, তিদওয়ানশে মারুমানির ২৭, ডিওন মায়ার্সের ২৩ ও শেষদিকে রায়ান বার্লের অপরাজিত ৩১ রানে ভর করে ১৯৩ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান।

বাংলাদেশের পক্ষে ২ উইকেট নিয়েছেন সৌম্য সরকার। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন, শরীফুল ও সাকিব। ম্যাচ ও সিরিজ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন সৌম্য সরকার।

.

পূর্বকোণ/মামুন/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট