তামিম ইকবাল খান, টাইগার ক্রিকেটে অন্যতম ওপেনার। জিম্বাবুয়ে সিরিজে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে খেলছেন ইনজুরি নিয়েই। প্রথম দুটি ওয়ানডেতে তামিমের ব্যাট সেভাবে না হাসলেও বাংলাদেশ সিরিজ জিতেছে দলীয় নৈপুন্যে। ২০ জুলাই বাংলাদেশ সময় রাতে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে টাইগার ওপেনার স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বড় সংগ্রহের জবাবে দৃষ্টিনন্দন শতক উপহার দেন। ৯৭ বল খেলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় আউট হওয়ার আগে করেন ১১২ রান।
তিনি যখন আউট হন ২৯৯ রানের টার্গেট ধাওয়া করতে যাওয়া বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৩৪.১ ওভারে ৩ উইকেটে ২০৪ রান। বড় সংগ্রহ তাড়ায় বাংলাদেশ সুবিধাজনক স্থানে থাকলেও তামিমের আউটের পরের বলেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের আউটে কিছুটা চাপে পড়ে টাইগার ব্যাটিং। এই প্রতিবেদন তৈরির সময় মো. মিথুন ও দীর্ঘদিন পর সুযোগ পাওয়া নুরুল হাসান ব্যাট করছিলেন। ক্যারিয়ারে ২১৯তম ওয়ানডেতে তামিম ইকবাল উপহার দিলেন ১৪তম শতক। তবে মজার তথ্য হলো মঙ্গলবার রাতের শতকটি অধিনায়ক হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি চট্টগ্রামের ক্রিকেটে খান পরিবারের এই তারকার। এর আগে করা ১৩টি সেঞ্চুরির কোনোটিই তিনি অধিনায়ক হিসেবে করেননি। এছাড়াও এটি তামিমের ক্যারিয়ারের দ্রুততম সেঞ্চুরি। ৮৭ বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছেন তামিম।
এর আগে ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুরের ৯৪ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম ইকবাল। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে চাতারার লেন্থ বল লং অন দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠিয়ে ৯৬ থেকে শতকে পৌছে উল্লাস করেন তামিম। ডজন ইনিংস পর তিনি ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি পেলেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যা চতুর্থ। আগে থেকেই ওয়ানডেতে দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড বাঁহাতি এই ওপেনারের। ৯ সেঞ্চুরি নিয়ে দুই নম্বরে থাকা সাকিবের সঙ্গে ব্যবধান আরও বাড়ালেন তিনি। দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে বলেছিলেন, তার নিজের ও সাকিবের ব্যাট থেকে বড় ইনিংস দেখতে চান তামিম। অপরাজিত ৯৬ রানের ইনিংসে খেলে অধিনায়কের চাওয়া সেই ম্যাচেই পূরণ করেন সাকিব।
তৃতীয় ওয়ানডেতে সাকিব আগের ম্যাচের ধারাবাহিকতা টেনে আনতে না পারলেও তামিম খেললেন বড় রান তাড়ায় কার্যকরী ইনিংস। গত বছর মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পরপর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করার পর আর তিন অঙ্কের দেখা পাচ্ছিলেন না তামিম। মাঝে ১১ ইনিংসে চারবার পান ফিফটির দেখা পেলেও তামিম ইকবালের মতো ওপেনার তাতে তৃপ্ত হওয়ার কথা নয়। তৃতীয় ওয়ানেডেতে দলের প্রয়োজনের সময় হাসলো তার ব্যাট। সেই হাসি প্রতিপক্ষককে ধবল ধোলাইর উৎসবে রুপান্তরিত হওয়ার অপেক্ষায় টাইগার ভক্তরা।
পূর্বকোণ/আরআর