চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

‘সেমিফাইনালে যাওয়াটা হবে বড় অর্জন’

এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ : মাশরাফি

স্পোর্টস ডেস্ক

৩০ এপ্রিল, ২০১৯ | ১:২৫ পূর্বাহ্ণ

 

নিজের চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলার অপেক্ষায় মাশরাফি। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অপেক্ষায় আছেন। তৃপ্তির এমন সংবাদের সঙ্গে বিষাদও ছুঁয়ে যাচ্ছে মাশরাফির ক্যারিয়ারকে। কারণ এটাই যে তার ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি নিজেই বলে দিলেন এটাই তার শেষ বিশ্বকাপ। নিজেদের চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলার অপেক্ষায় বাংলাদেশের চার ক্রিকেটার। ২০১১ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলা হয়নি মাশরাফি বিন মুর্তজার। নয়তো পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলা হয়ে যেত নড়াইল এক্সপ্রেসের। ২০০৩ সালের পর ২০০৭, ২০১৫ বিশ্বকাপ খেলেছেন মাশরাফি। ২০১৫ বিশ্বকাপে ছিলেন দলের অধিনায়ক। এবার ইংল্যান্ড বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি। নিজের শেষ বিশ্বকাপ বলেই যে বাড়তি কিছু পেতে হবে তেমনটা ভাবছেন না মাশরাফি। দলীয় অর্জনকেই বড় করে দেখছেন তিনি, ‘আমার ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। অবশ্যই ভালো হলে শুধু নিজের কাছে না, সবাই খুশি হলে আমারও ভালো লাগবে। বাড়তি প্রত্যাশা পূরণের চাপ কখনোই নিতে চাই না। শেষ বিশ্বকাপ খেলছি, ভালো কিছু করে আসা, এটাই লক্ষ্য। আমার ভাগ্যে যা আছে, পুরো দলের ভাগ্যে যা আছে, সেটাই হবে। সফল হতে গেলে আমাদের কষ্ট করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই।’ ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়া বাংলাদেশের জন্য কঠিন হবে বলে মনে করেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশ অধিনায়কের মতে, সেমিফাইনালে যেতে পারলে সেটা হবে বড় অর্জন। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। সেটাই এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য। এবারের বিশ্বকাপের ফরম্যাটটা যদিও পুরোপুরি ভিন্ন। ১০ দলের এই টুর্নামেন্ট হবে ১৯৯২ বিশ্বকাপের আদলে। যেখানে সিঙ্গেল-লিগ ফরম্যাটে প্রাথমিক পর্বে প্রতিটি দল একে অপরের বিপক্ষে খেলবে একটি করে ম্যাচ। সেরা চার দল উঠবে সেমিফাইনালে। মাশরাফির লক্ষ্য আপাতত সেমিফাইনালে যাওয়া। মাশরাফি বলেছেন, ‘অসম্ভব কোনো কিছুই না। অবশ্যই সম্ভব (সেমিফাইনালে যাওয়া)। তবে কঠিন, অনেক কঠিন। এর আগে বিশ্বকাপ যেরকম ছিল, গ্রুপ পর্বে একটা বড় দলকে হারাতে পারলে যেটা হতো তাদের ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যেত। লিমিটেড ম্যাচ ছিল। এখানে নয়টা ম্যাচ। যারা প্রত্যাশা করছে সেমিফাইনাল খেলবে তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর অনেক সুযোগ থাকবে। আমাদেরকে ওই জায়গাটা খেয়াল রাখতে হবে।’
‘এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে আমাদের সেমিফাইনালে যাওয়া খুব বড় চ্যালেঞ্জ। এর আগে যেটা বলতাম যে, সেমিফাইনাল গেলে একটা একটা ম্যাচ। এখনো তাই বলতে হচ্ছে। সেমিফাইনালে যদি যেতে পারি, অনেক বড় অর্জন হবে। কারণ এবারের ফরম্যাট সেই ৯২’র মতো, যা খুব কঠিন। সেমিফাইনালে যাওয়া অনেক বড় অর্জন। আমরা অনেকবার সেমিফাইনাল, কোয়ার্টার ফাইনালে গিয়ে হেরেছি। আগে সেমিফাইনালে যদি যাই, তাহলে বড় অর্জন হবে। তারপর ঐ নির্দিষ্ট দিনে ভালো খেলা গুরুত্বপূর্ণ।’ বিশ্বকাপে পুরো এক মাসে খেলতে হবে নয়টা ম্যাচ। ধারাবাহিকতা ধরে রাখা তাই বেশ কঠিন। আবার একটি ম্যাচে খারাপ করলে পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগও থাকছে। মাশরাফি তাই মানসিক প্রস্তুতিটাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন, ‘নয়টা ম্যাচে, আমার মনে হয় প্রতিটা দলের খারাপ-ভালো দিয়ে যাবে। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানো। যেটা যাবে সেটা তো আর ফিরে আসা সম্ভবও না। এটা নিয়ে আমরা আলোচনাও করেছি।’ ‘বিশ্বকাপে এক মাসে নয়টা ম্যাচ খেলতে হবে। এখানে প্রতিটা ম্যাচ আমাদের জন্য সমান যাবে না। যেটা ম্যাচ খারাপ যাবে পরের ম্যাচে যেন সেই রেশটা না থাকে। এই প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলছি। এটা আসলে মানসিক ব্যাপার। আমাদের আরো কথা বলতে হবে। আরো প্রস্তুত হতে পারি এবং নিশ্চিত করতে পারি যেন আমরা সেরাটা দিতে পারি প্রতি ম্যাচে। অনেক সময় ম্যাচ হারলেও সেরাটা দিতে পারলে পরের ম্যাচে মন চায় যে আরো বেশি কিছু করি। এটা গুরুত্বপূর্ণ।’ আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে ১ মে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল। আগামী ৭ মে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে মাশরাফির দল।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট