চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ফুটবলের রাজকন্যে এবং এক বেবি হর্স

স্পোর্টস ডেস্ক

২২ জুন, ২০১৯ | ১:০৫ পূর্বাহ্ণ

ডাকসাইটে সুন্দরীর সংজ্ঞা কী? তাঁকে দেখলে প্রশ্নটা আর করতেই ইচ্ছে করবে না! চেষ্টাটেষ্টা করলে হলিউডের গ্ল্যামার–কুইনও হতে পারতেন। কিন্তু সুপ্রাচীন এক চর্মগোলকের প্রতি আকর্ষণ তেমন কোনও ভাবনাকে প্রশ্রয় দিতে দেয়নি তাঁকে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর পড়াশোনার বিষয় ছিল ‘পলিটিক্যাল ইকনমি অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল সোসাইটিজ’। চাইলে প্রফেসরসুলভ মোটা ফ্রেমের চশমা পরে অধ্যাপনার কাজ করতে পারতেন। কিন্তু সুপ্রাচীন এক চর্মগোলকের প্রতি আকর্ষণ তেমন ভাবনাকে প্রশ্রয় দিতে দেয়নি তাঁকে। ছোটবেলায় অনেক খেলার দিকেই ঝোঁক ছিল তাঁর। শেষ পর্যন্ত ‘সব খেলার সেরা’ ফুটবলের প্রেমেই মজে গিয়েছিলেন অধুনা বছর উনত্রিশের ললনা। যে প্রেম এখন আরও গভীর, আরও মধুর এবং আরও উদ্দাম। তিনি আলেকজান্দ্রা প্যাট্রিসিয়া মরগ্যান কারাসকো। কিন্তু দুনিয়া তাঁকে চেনে অ্যালেক্স মরগ্যান নামে। এই তো গত সপ্তাহে মহিলা বিশ্বকাপে থাইল্যান্ডকে ১৩ গোলের মালা পরাল আমেরিকা। সেই ম্যাচে একাই ৫ গোল করে প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটিয়েছিলেন মোহময়ী অ্যালেক্স। তাঁর কেরিয়ারে এটা তৃতীয় বিশ্বকাপ। ২০১১ সালে প্রথম বিশ্বকাপে খেলা। তখন বয়স ২১। জাতীয় দলের সর্বকনিষ্ঠ সদস্যা। সেবার আমেরিকা রানার্স হয়ে রুপো জিতেছিল। তার চার বছর পরেই অবশ্য বিশ্বকাপের সোনার পদক গলায় ঝুলিয়েছিলেন অ্যালেক্স। অলিম্পিকের সোনা জেতা হয়ে গিয়েছিল ২০১২তেই, লন্ডনে। ক্লাব ফুটবলে অ্যালেক্সের অভিষেক ১৪ বছর বয়সে। দলের নাম ‘সাইপ্রেস এলিট’। আমেরিকার অনূর্ধ্ব ২০ জাতীয় দলে যখন তিনি ঢুকেছিলেন, তখন তাঁর বয়স ১৭। তিনি পশুপ্রেমীও। পরিত্যক্ত, অবহেলিত, আহত কুকুরদের পুনর্বাসনে যুক্ত। ‘পেটা’র (পিপল ফর দ্য এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অফ অ্যানিমালস) হয়ে বিজ্ঞাপনেও দেখা গেছে অ্যালেক্সকে। জীবনে একবারই বিতর্কে জড়িয়েছেন। ২০১৭। ফ্লোরিডার বিখ্যাত ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ডের রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন অ্যালেক্স। সঙ্গে আরও তিন ফুটবলার। মত্ত অবস্থায় রেস্তোরাঁর কর্মীদের সঙ্গে ব্যাপক তর্ক জুড়ে দেন। পুলিস এসে শুধু রেস্তোরাঁ নয়, পার্ক থেকেই বের করে দিয়েছিল অ্যালেক্সকে। পরে অবশ্য ভুল স্বীকার করে টুইটারে ক্ষমা চান তিনি, ‘এর থেকে শিক্ষা নে, তাঁর জীবনের নিউক্লিয়াস সেই ফুটবলই।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট