চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

জীবন পেয়ে সেঞ্চুরি ওয়ার্নারের

ট্রেন্ট ব্রিজে এক মিসেই বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ ?

স্পোর্টস ডেস্ক

২১ জুন, ২০১৯ | ২:০৬ পূর্বাহ্ণ

ট্রেন্ট ব্রিজে গতকাল মাৃশরাফি মুর্তজা ও অ্যারন ফিঞ্চ যখন টস করতে নামছিলেন তখন আকাশজুড়ে সাদ মেঘের মেলা বসেছিল। বৃষ্টির পূর্বভাস থাকলেও তাৎক্ষনিক অবস্থায় মনে হয়নি বৃষ্টি হবে। টস জিতে মাশরাফিদের বোলিংয়ে ডেকে অজি ব্যাটসম্যানরা সাদা মেঘকেই নিকশ আধারের মেঘ বানিয়ে মাঠে বৃষ্টির বান ডেকে আনলেন। তাতে অবশ্য মাঠকর্মিদের কাভার নিয়ে দৌড়াদুড়ি করতে হয়নি, বল কুড়িয়ে আনতে শুধু টাইগার ফিল্ডারদের ছুটোছুটি করতে হয়েছে। অবশ্য সাহায্য করেছেন গ্যালারিতে উপস্থিত থাকা টাইগার দর্শকরাও। কারণ ডেভিড ওয়ার্নার, উসমান খাজা ও গ্লে ম্যাক্সওয়েলদের ছক্কা বৃষ্টির অনেকগুলো বলই আশ্রয় নিয়েছিল গ্যালারিতে, দর্শকরা সেখান থেকে ছুঁড়ে ফিল্ডিারের হাতে তুলে দেন। টসের সময় বৃষ্টি না হলেও, বাস্তবিক অর্থেই বৃষ্টি নামলো, সেটা ম্যাচের ৪৯তম ওভারে। সেই ওভার শেষ হতেই আম্পায়ার বেলস ফেলে দেন। মিনিট বিশেক খেলা বন্ধ থাকার পর আবারও শেষ ওভারটি করতে মাঠে নামে টাইগাররা। মুস্তাফিজুর রহমান শেষ ওভারটিতে ১৩ রান দিলে ৩৮১ রানে গিয়ে থামে অস্ট্রেলিয়া।
এই নটিংহ্যামেই ২০০৫ সালে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজে টাইগারদের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড করেছিল ৪ উইকেটে ৩৯১ রান। এখন পর্যন্ত এট্ইা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস। গতকাল অস্ট্রেলিয়া সেটা টপকাতে না পারলেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাদের দলীয় ইনিংসের রেকর্ডটাকে নতুন করে সাজালো। টাইগারদের বিরুদ্ধে এর আগে অজিদের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ছিল ২০১১ সালের ১৩ এপ্রিল ঢাকায়। সেদিন অজিরা ৮ উইকেটে ৩৬১ রান তুলেছিল। গতকাল বাংলাদেশকে ভুগিয়েছেন মুলত ডেভিড ওয়ার্নার। চলমান আসরে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। এবার অবশ্য আগেরটির মতো শামুক গতির ইনিংস নয়। ১৪৭ বলের ইনিংসে ছিল ১৪টি চার, ৫ ছক্কা। আউট হওয়ার আগে ১৬৬ রান করে ম্যাচটি টাইগারদেও ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যান ওয়ার্নার। অথচ পঞ্চম ওভারেই ওয়ার্নারকে ফিরতে হতো। মাশরাফির বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সহজ ক্যাচ ফেলেছেন সাব্বির। ওয়ার্নারের রান তখন ছিল ১০। ১ উইকেটে ৩১৩ রান তোলার পরও অস্ট্রেলিয়া যে শেষে সাইক্লোন ওঠাতে পারেনি, তাতে পার্টটাইমার সৌম্য সরকারের ভুমিকায়ই মুখ্য। স্লগ ওভারে টানা ফিরিয়েছেন ওয়ার্নার আর খাজাকে। এর মধ্যে খাজা ফেরার ওভারেই রান আউটের শিকার হয়েছেন নেমেই হাত খুলে মারতে থাকা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১০ বলে ৩২)। ক্রিকেট মাঝে মাঝে বিস্ময়কর ঘটনার জন্ম দেয়। যেমনটা হয়েছে গতকাল। বল হাতে যিনি বাংলাদেশের সেরা বোলিং করেছেন তিনি কোনো স্পেশালিস্ট বোলার নন। বরং তিনি প্রতিষ্ঠিত ওপেনিং ব্যাটসম্যান। প্রতিপক্ষ বোলারদের বেদম প্রহার করতে যার জুড়ি নেই। সেই বিধ্বংসী ওপেনার সৌম্য সরকারই গতকাল বাংলাদেশের সেরা বোলার। নিয়েছেন ৫৮ রানে ৩ উইকেট। যা তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং। অজিদের পতন ঘটনা ৫ উইকেটে ১টি রান আউট, অন্যটি গেছে মুস্তাফিজের ঝুলিতে। তবে ফিজ ১টি উইকেটের জন্য ব্যয় করেছেন ৬৯টি রান। অন্যদিকে মাশরাফি মুর্তজা ৮ ওভারে ৫৬, সাকিব আল হাসান ৬ ওভারে ৫০, মেহেদী মিরাজ ১০ ওভারে ৫৯ রান খরচ করেন। তবে রান খরচে উদার ছিলেন গতকালই প্রথমবার সেরা একাদশে সুযোগ পাওয়া রুবেল হোসেন। তিনি ৯ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৮৩ রান ব্যয় করেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট