চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

একটিও ওয়াইড দেননি টাইগার কাপ্তান

অধিনায়ক মাশরাফির সেঞ্চুরির অপেক্ষা

স্পোর্টস ডেস্ক

১৯ জুন, ২০১৯ | ১:৩৪ পূর্বাহ্ণ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অধিনায়ক হিসেবে টস করতে নেমে বাংলাদেশ দলপতি মাশরাফি ছুঁয়েছেন ওয়ানডেতে ২১৩তম ম্যাচ। এর মধ্যে এশিয়া একাদশের হয়ে খেলেছেন দুটি ম্যাচ। দেশের জার্সিতে এটি ম্যাশের ২১১তম ম্যাচ। এর মধ্যে লাল-সবুজের দলটিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৮১তম ম্যাচে। উইন্ডিজদের বিপক্ষে ইনিংসের প্রথম ওভারে মেডেন নেন ম্যাশ। ৮ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। তবে, চাপের মধ্যেই রেখেছিলেন গেইল, লুইসদের। উইকেট না পাওয়ায় টাইগারদের অধিনায়ক হিসেবে ১০০ উইকেট পূর্ণ করার অপেক্ষাটা আরেকটু বাড়লো নড়াইল এক্সপ্রেসের। বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাশরাফি। ৮১ ম্যাচে মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশ জিতেছে ৪৬ ম্যাচে, হেরেছে ৩৩ ম্যাচে। আর দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। যার একটি এই বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ম্যাশের নেতৃত্বে টাইগারদের জয়ের হার শতকরা ৫৮.২২। মাশরাফি উইন্ডিজের বিপক্ষে আগের ১৮ ম্যাচ খেলে ৩০টি উইকেট যোগ করেছেন নামের পাশে। যেখানে মাশরাফির বোলিং গড় ছিল ২৪.৮০ আর ইকোনমি রেট ছিল মাত্র ৪.৬৫। এই ম্যাচটি বাদ দিলে পুরো ক্যারিয়ারে মাশরাফি খেলেছেন ২১২টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে। যেখানে উইকেট পেয়েছেন ২৬৬টি। সেরা বোলিং ফিগার ২৬/৬। চার উইকেটে পেয়েছেন সাতবার আর পাঁচ উইকেট পেয়েছেন একবার। বাংলাদেশের এবারের বিশ্বকাপ দলে পেস বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে ডিসিপ্লিন বোলিং করেছেন মাশরাফিই। বিশ্বকাপের চার ম্যাচে একটিও ওয়াইড দেননি তিনি। তবে মাত্র একটি নো বল দিয়েছিলেন, দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৬ ওভার বল করে ৮.১৬ গড়ে ৪৯ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচেও কোনো উইকেট পাননি মাশরাফি। ওই ম্যাচে ৫ ওভার বল করে দিয়েছেন ৩২ রান। ওভার প্রতি রান দিয়েছিলেন ৬.৪০ গড়ে। তৃতীয় ম্যাচেই অবশ্য আবারো চেনা ছন্দে ফিরেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ওই ম্যাচে দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ৬.৮০ গড়ে রান দিয়ে পেয়েছেন ১ উইকেট। বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে স্রােতের বিপরীতে ৬ ওভার বল করে মাশরাফি ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন মাত্র ৪.৬২ গড়ে ৩৭টি। ১টি মেডেনও নিয়েছেন।
যদিও কোনো উইকেট পাননি তিনি। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩টি ওয়াইড দিয়েছেন সাইফউদ্দীন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পরশুই দিয়েছে ৬টি ওয়াইড। আরেক পেসার মুস্তাফিজ দিয়েছেন ১২টি ওয়াইড। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দিয়েছেন ৫টি ওয়াইড। এখানেও ব্যতিক্রম মাশরাফি। চার ম্যাচে একটিও ওয়াইড দেননি তিনি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট