চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

‘কোচিং স্টাফকে অনেক কৃতিত্ব দেওয়া উচিৎ

’ স্পোর্টস ডেস্ক

১৯ জুন, ২০১৯ | ১:৪০ পূর্বাহ্ণ

জন্মদিনে এর চেয়ে ভালো উপহার বুঝি হয় না। ৫৫ বছর পূর্ণ করার দিনে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি তার দল। হেরে গেলে জন্মদিনের আমেজটাই হয়ত মাটি হয়ে যেত। তবে শিষ্যরা তা হতে দেননি। ‘স্টিভ রোডসের বাংলাদেশ’ ক্যারিবীয়দের হারিয়েছে দাপটের সাথে। কিংবা ধরা যাক কোর্টনি ওয়ালশের কথা। একসময় যে দলের হয়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন, পরশু কামনা করেছেন সেই দলেরই পরাজয়। তিনি যে এখন বাংলাদেশের পেসারদের কোচ! শেষমেশ ওয়ালশের সাবেক দল হেরে গেলেও ওয়ালশ নিশ্চয়ই অখুশি নন। বাংলাদেশ দলের বদলে যাওয়ার পেছনে বর্তমান কোচিং স্টাফের রয়েছে অনেক অবদান। কোচ হিসেবে সাবেক ‘হাই প্রোফাইল’ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ছিলেন গুরুগম্ভীর। রোডস ঠিক উল্টো। রসিকতা পছন্দ করেন ওয়ালশও। ভীষণ আমোদে সুনীল জোশি ও নেইল ম্যাকেঞ্জিও। বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমে তাই থাকে ফুরফুরে পরিবেশ, যার ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে পারফরম্যান্সেও। সংবাদ সম্মেলনে তাই কোচিং স্টাফকে কৃতিত্ব দিতে ভুললেন না ক্যারিবীয়দের বধের নায়ক সাকিব আল হাসান। প্রশংসাসূচক বক্তব্যে বরাবরই ‘আধো-কথা’ বলতে পছন্দ করেন, অর্থাৎ মন খুলে প্রশংসা করতে পারেন না। সাকিব এভাবেই তুলে ধরলেন আগের কোচিং স্টাফ আর বর্তমান কোচিং স্টাফের পার্থক্য।
তিনি বলেন, ‘কোচিং স্টাফকে অনেক কৃতিত্ব দেওয়া উচিৎ। আগে ড্রেসিংরুমে আমাদের প্যানিকড (ভীত) করে দেওয়া হত অনেকসময়। এটা অনেক বড় সমস্যা ছিল। এখন কোচিং স্টাফ শান্ত থাকে, আমাদের প্যানিকড করার সুযোগ আসে না। রেডিও শুনছে, গল্প করছে, কখনই মনে হয় না ওরা টেনশন নিচ্ছে।’ ‘এটা ছোঁয়াচে জিনিসের মত।
একজন একটু ভীত সন্ত্রস্ত হলেই আরেকজনের শুরু হয়, তাকে দেখে আরেকজন। এটা (কোচিং স্টাফের মানসিক সমর্থন) আমাদের খুব বড় কারণ, আমাদের এভাবে সফলভাবে রান তাড়া করার।’ বলেন সাকিব।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট