চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মুজিব শতবর্ষ টুর্নামেন্টে মাঠে গড়াবে ফুটবল?

হুমায়ুন কবির কিরণ

১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ১:৩৩ অপরাহ্ণ

করোনার দাপটে স্থবির পুরো বিশ্ব। বাদ যায়নি ক্রীড়াঙ্গনও। বিভিন্ন দেশে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু কিছু ইভেন্ট মাঠে গড়ালেও স্বস্তি নেই কোথাও। বরং স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাঠে নামলেও বারবার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ইভেন্টগুলো। এই বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি এখনও অনুকূলে নয়। তারপরও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় চেষ্টা করছে খেলাধুলাকে মাঠে ফিরিয়ে আনার। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্রীড়াসংস্থাগুলোকে দিনকয়েক আগে চিঠি পাঠায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। সেই সুবাদে চট্টগ্রাম জেলা সংস্থার কর্মকর্তারা ক’দিন আগে মতবিনিময় করেন চট্টগ্রামের ক্লাবগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে। সেই সভায় উঠে আসে বাস্তবতা, করোনাকালীন এই সময়ে খেলাধুলা মাঠে নামানোর মতো অনকূল পরিবেশ নেই। এরমধ্যে ইনডোর গেমস দিয়ে ক্রীড়াঙ্গন চাঙ্গা করার ভাবনাও জলে যায় চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা (সিজেকেএস)’র জিমন্যাশিয়ামে নির্বাচন কমিশনের সরঞ্জাম থাকায়।

করোনার প্রকোপে ক্লাবগুলো আর্থিকভাবে ভালো অবস্থায় নেই, আরও হতাশাজনক অবস্থায় ক্রীড়াবিদরা। অস্বচ্ছল ক্রীড়াবিদদের সিজেকেএস বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করলেও অনেকের কাছে সেটা অপ্রতুল। ইনডোর গেমস আয়োজন করতে না পারা, ক্লাবগুলো আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকা, অসহায় হয়ে পড়া ক্রীড়াবিদ ও সর্বোপরি মাঠে খেলাধুলাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় মাঠে নেমে পড়েছে খোদ সিজেকেএস। মতমিনিময় সভাতেই জানানো হয় অক্টোবরে মাঠে গড়াতে পারে ফুটবল ও ক্রিকেটের দুটো পৃথক টুর্নামেন্ট। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষেই মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্ট দুটি, যার পুরো আয়োজনের দায়িত্বে থাকবে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা। নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থ যোগান দিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য খেলোয়াড়দের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা। সে লক্ষ্যে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ফুটবলার নিবন্ধনের কাজ, যা প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে কাল ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বলে রাখা ভালো, টুর্নামেন্টে চট্টগ্রাম জেলার স্থায়ী বাসিন্দাদের (যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র চট্টগ্রাম জেলার ১৫টি উপজেলা ও মেট্টোপলিটন এলাকায় নিবন্ধিত রয়েছে) মধ্যে যে সকল ফুটবল খেলোয়াড় জাতীয় ফুটবল দল, বি লীগ, বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন্স লীগ, চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ও প্রথম বিভাগ লীগে অংশগ্রহণ করেন, তারাই নিবন্ধন করতে পারবেন।
ফুটবল টুর্নামেন্টটি নিয়ে গতকাল বিকালে কথা হয় টুর্নামেন্টের সমন্বকারী মো. শাহজাহানের সাথে। তিনি শুরুতেই বলেন, সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন নিজেই সার্বিক বিষয়গুলো দেখভাল করছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চারটি দলের জন্য ৯২জন ফুটবলার সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রতিদলে প্রধান ও সহকারী মিলিয়ে কোচ থাকবেন ৮ জন। ফুটবলারদের গ্রেডিং ভিত্তিতে সম্মানিভাতা প্রদান করা হবে। সেটি চূড়ান্তকরণে আলোচনা চলছে। সিজেকেএস আশা করছে আগামী ১০ অক্টোবর থেকে মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টটি। এরমধ্যে খেলোয়াড় নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ার পর সিজেকেএস এর সাবেক পরলোকগত সম্পাদকদের নাম দিয়ে চারটি দল গঠন করে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ দিনের একটি অনুশীলন শিবির করা হবে। তিনি এ’ও যোগ করেন, তারিখ থেকে শুরু করে কোনকিছুই চূড়ান্ত নয়, আলোচনা চলছে কিভাবে সুষ্ঠুভাবে এবং সকলকে করোনামুক্ত রেখে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যায়।
করোনার এই মহামারীতে স্বাভাবিক চলাফেরাই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, এই অবস্থায় একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা চ্যালেঞ্জ হতে পারে সিজেকেএস’র জন্য। মো. শাহজাহান জানান, মন্ত্রণালয়ের প্রেরিত ১৩টি নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনেই তারা টুর্নামেন্ট আয়োজন করবেন। এদিকে অন্য একটি সুত্র জানায়, ফুটবল টুর্নামেন্ট শেষেই একই গড়নে ক্রিকেট টুর্নামেন্টের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট