চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

রোজা রেখে জয়ের গল্প শোনালেন মিরাজ

স্পোর্টস ডেস্ক

৪ জুন, ২০১৯ | ২:০১ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বকাপে প্রোটিয়া বধের পর কেনিংটন ওভালে আইসিসির মিক্সড জোনে এসে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলতে পারছিলেন না মেহেদি হাসান মিরাজ। বারবারই বলছিলেন, ‘গলা শুকিয়ে আসছে।’ কিন্তু যেহেতু সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলাটা আইসিসির বেধে দেওয়া নিয়ম, কথা না বলেও উপায় ছিল না। তখনও ইফতারের দুই ঘণ্টা বাকি। কেননা রোববার (২ জুন) লন্ডনে ইফতারের সময় ছিল স্থানীয় সময় রাত ৯টা ১৩ মিনিটে। অর্থাৎ ১৮ ঘণ্টা না খেয়ে বিশ্বকাপের হাইভোল্টেজ ম্যাচটি খেলেছেন এই টাইগার অফস্পিনিং অলরাউন্ডার। শুধু তিনিই নন। রোজা রেখেছিলেন মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা? সংবাদ মাধ্যমের সামনে অকপটে বলে গেলেন সেই গল্প। তার আগে জানিয়ে রাখলেন আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজটিও খেলেছিলেন রোজা রেখে। মিরাজ জানালেন, ‘আয়ারল্যান্ডেও খেলেছি রোজা রেখে। বিশ্বকাপের ম্যাচে সবসময়ই চাপ থাকে সেটা আপনারা জানেন। আল্লাহর অশেষ রহমত ছিল। আর এরকম রোজা রেখে খেলা ভাগ্যের ব্যাপার। আল্লাহ আমাদের পুরোপুরি সমর্থন দিয়েছেন। শুধু আমি না, রিয়াদ ভাই, মুশফিক ভাই রোজা রেখে খেলেছেন। আমার কাছে মনে হয় আমার জীবনে এটা একটা বড় অভিজ্ঞতা। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে এরকম দিনে আমরা ম্যাচটা জিততে পেরেছি।’ এত লম্বা সময়, কষ্ট হয়নি? প্রতুত্তরে মিরাজ বললেন, ‘আসলে নিয়্যত করেছিলাম আমি রোজা রাখব। রিয়াদ ভাই (মাহদুদউল্লাহ রিয়াদ) ও মুশফিক ভাই (মুশফিকুর রহিম) নিয়্যত করেছেন। আমি যখন নিয়্যত করেছি তখন আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি। আল্লাহর অশেষ রহমতে ম্যাচটি জিতেছি। মাশরাফি ভাই ড্রেসিংরুমে একটা কথা বলেছেন যে, রোজা রেখেছি বলে আল্লাহ মুখ তুলে তাকিয়েছে এবং আমরা ভালো খেলেছি। মাঠের ভেতরে যখন ঢুকে গেছি তখন ওই চিন্তাটা ছিল না। সবসময় চিন্তা ছিল কিভাবে ম্যাচে ভালো করব। শেষের দিকে খেলা যখন শেষ হয়ে গেছে তখন একটু খারাপ লেগেছে কেননা তখন থেকেই ভাবতে শুরু করেছি রোজা আছি। তারপরও মুশফিক ভাই, রিয়াদ ভাই খুব সাপোর্ট করেছেন এবং ড্রেসিংরুমের সবাই প্রশংসা করেছেন।’ যোগ করেন এই টাইগার অলরাউন্ডার। কিন্তু ম্যাচে এই তিনজনের অবদান দেখে একবারও কী মনে হয়েছে তারা রোজা? নিয়ন্ত্রিত বোলিং উপহার দিয়েছেন মিরাজ। ১০ ওভারে দিয়েছেন ৪৩ রান। দিনের সবচাইতে কার্যকর ডেলিভারিটি দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা দলপতি ফাফ ডু প্লেসিসকে বিদায় করে ম্যাচের বাঁক বদলে দিয়েছেন। মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লার ব্যাটও ছিল খাপ খোলা তলোয়াড়। ৭৮ রান করেছেন মুশফিক এবং ৩৩ বলে মাহমুদউল্লাহর ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংসে বিশ্বমঞ্চে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছে টিম বাংলাদেশ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট