চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

রশিদ-নবীদের ওপরই আফগানের ভরসা

টি-টোয়েন্টির জাদু ওয়ানডেতেও দেখানোর অপেক্ষায় উইন্ডিজ

স্পোর্টস ডেস্ক

২৯ মে, ২০১৯ | ১:৩৬ পূর্বাহ্ণ

ত্রিদেশীয় সিরিজে টাইগারদের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক হারের স্বাদ পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের শক্তিমত্তার কাছে ক্যারিবিয়রা পেরে না উঠলেও বিশ্বকাপেও তারা পারবে না, এমনটা ভাবা ঠিক হবে না। এক ক্রিস গেইল ও আন্দ্রে রাসেল স্কোয়াডে প্রবেশ করায় দলের চেহারাই পাল্টে গেছে। অন্যদিকে আফগানিস্তানতো ক্রিকেটের নতুন শক্তি। তারা চাইবে প্রতিপক্ষের ঘুম হারাম করে দিতে। বিশ্বকাপ শুরুর মাঝে যখন আর মাত্র ১ দিনের অপেক্ষা, দল পরিচিতির শেষ কিস্তিতে আজ থাকছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তান দল দুটির সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রথম দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন। ফাইনালে উঠেছিল পরেরবারও। ইতিহাস-ঐতিহ্যে ভরপুর সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজই কি না ওয়ানডে ক্রিকেটে পিছিয়ে পড়ছে দিনকে দিন। প্রথম তিন আসরের পর আর ফাইনালে যেতে পারেনি দলটি। এবার তো মূল পর্বের টিকেটের জন্য তাদের খেলতে হয়েছে বাছাই পর্ব। তবুও গোণায় রাখতে হবে ক্যারিবিয়ানদের। ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেলরা পাল্টে দিতে পারেন সব হিসেব-নিকেশ। বিস্ফোরক সব ব্যাটসম্যান আছে তাদের। আছে গতিময় বোলার, কার্যকর অলরাউন্ডার। একটু যা ঘাটতি তা কেবল স্পিন বোলিংয়ে। কারণ, দলে নেই অফ স্পিনার সুনিল নারাইন ও লেগ স্পিনার দেবেন্দ্র বিশু। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মারলন স্যামুয়েলস, কাইরন পোলার্ডের অভাব হয়তো অনুভব করবে দলটি। টেস্ট দলের মূল বোলার গতিময় পেসার শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে ওয়ানডেতে ফিরিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সঙ্গে আছে কেমার রোচ, ওশান টমাস ও শেলডন কটরেল। গতির ঝড় তুলে প্রতিপক্ষকে চমকে দেওয়ার সামর্থ্য আছে ক্যারিবিয়ান পেস ব্যাটারির। তিন পেস বোলিং অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল, হোল্ডার ও কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের উপস্থিতিতে দলটি দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ। ব্যাটিং ও বোলিং গভীরতা যে কোনো প্রতিপক্ষের জন্যই হতে পারে হুমকি। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হোল্ডার। গত বিশ্বকাপের পর থেকে দেশের সবচেয়ে বেশি উন্নতি করা ক্রিকেটার তিনিই। নিজের পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলার অপেক্ষায় থাকা গেইলের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করতে পারেন এভিন লুইস। পরে আছেন হোপ, ড্যারেন ব্রাভো, হেটমায়ার, নিকোলাস পুরান। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে যেকোনো বোলিংকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার সামর্থ্য আছে তাদের।
আফগানিস্তান: আফগানরা যেন ‘ফিনিক্স পাখি।’ ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে অদম্য স্পৃহায় যারা লড়ে যাচ্ছে বেঁচে থাকার অভিপ্রায়ে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূমিতে ক্রিকেট আফগানিস্তানের জন্য আশীর্বাদই বটে। ক্রিকেটই স্বপ্ন দেখাচ্ছে পর্বত ঘেরা দেশটিকে উঠে দাঁড়ানোর। ক্রিকেট এক সুতোয় গেঁথে দিয়েছে আফগানদের। আইসিসির সর্বশেষ প্রকাশিত টেস্ট র‌্যাংকিংয়ে সেরা দশে জায়গা হয়নি আফগানিস্তানের। ওয়ানডেতে অবশ্য জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডের মতো দলকে টপকে দশম স্থানে আছে তারা। টি-টোয়েন্টিতে পেছনে ফেলেছে শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশের মতো দলকে। টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের র‌্যাংকিং সপ্তম। দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে আফগানিস্তান। বর্তমানে আফগানিস্তানের সবচেয় বড় তারকা রশিদ খান ও মোহাম্মদ শাহজাদ। আইপিএল খেলে দারুণ হাত পাকিয়েছেন উভয়ে। দেশের হয়ে রশিদ ৫৭ ম্যাচে ৩.৯০ ইকোনমি রেটে নিয়েছেন নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১২৩ উইকেট। টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে সবার শীর্ষে আছেন রশিদ। মারকুটে ব্যাটসম্যান শাহজাদ ৮০ ম্যাচে ৩৩.৯৮ গড়ে করেছেন ২৬১৭ রান। ১৪ হাফসেঞ্চুরির পাশাপাশি সেঞ্চুরি করেছেন ৫টি। এছাড়া অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীর ওপরও চোখ থাকবে বিশেষভাবে। ১১১ ম্যাচে ২৯.১৪ গড়ে ৩৫৬৫ রান আছে তার ঝুড়িতে। উইকেট আছে ১১৮টি। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে আফগানদের প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠেছে স্পিনাররা। মুজিব-নবী-রশিদ এই ত্রয়ীর ওপরই আফগানদের যত ভরসা। অবশ্য ইংলিশ কন্ডিশন তেমন পরিচিত নয় তাদের জন্য।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট