১০ শহর ১১ ভেন্যু। পঞ্চমবারের মতো ইংল্যান্ড প্রস্তুত বিশ্বকাপ ক্রিকেট আয়োজনে। যেখানে জন্ম অভিজাত খেলাটির। শুধু লন্ডনে দুই ভেন্যুতে হবে খেলা। হোম অব ক্রিকেট- লর্ডস এবং দ্য ওভাল। উদ্বোধনী দিনে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দ্য ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে। পরের দিন মানে ৩১ মে ট্রেন্টব্রিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলবে পাকিস্তান। আজ থাকছে ভেন্যু দুটির সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।
দ্য ওভাল : ১৮৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় লন্ডনের ওভালো গ্রাউন্ড। স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার আসরের উদ্বোধনী ম্যাচসহ ২০১৯ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে মাঠে। কাউন্টি ক্লাব সারের নিজস্ব এই মাঠ থেকে ঐতিহাসিক টেমস নদীর দূরত্ব ঢিল ছোড়া। ইংল্যান্ডের মাটিতে এটাই ছিল প্রথম টেস্ট ভেন্যু। ১৮৮০ সালে যে ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া। সেই থেকে এই পর্যন্ত এই মাঠে একশ টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মাঠে এর আগে ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩ এবং ১৯৯৯ বিশ্বকাপে মোট দশটি ম্যাচে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওভালোতে সর্বশেষ ১৯৯৯ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন পাকিস্তানের সাকলাইন মুশতাক। দর্শক ধারণক্ষমতা- ২৩ হাজার ৫০০।
ট্রেন্টব্রিজ: নটিংহ্যাম কাউন্টি ক্লাবের নিজস্ব মাঠটি ১৮৪১ সালে উদ্বোধন করা হয়। ট্রেন্টব্রিজ সত্যিকারার্থেই একটি ঐতিহাসিক ক্রিকেট গ্রাউন্ড। ১৯৭৪ সালে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় এবং এরপর ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩ এবং ১৯৯৯ বিশ্বকাপের ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এবারের বিশ্বকাপে এই মাঠে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানসহ মোট ৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ট্রেন্ট ব্রিজের এই মাঠে বিশ্বকাপে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের রেকর্ড বেশ ভালো। ভেন্যুতে ১৯৭৫ আসরে নিউজিল্যান্ড এবং ১৯৯৯ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ী হয়েছিল ইংলিশরা। সম্প্রতি এই মাঠে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৬ উইকেটে ৪৮১ রানের রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ড। এলেক্স হেলস ও জনি বেয়ারস্টো উভয়েই সেঞ্চুরি করেন। ২০১৬ সালে এই মাঠেই ৩ উইকেটে ৪৪৪ রানের পূর্বেকার রেকর্ড গড়েছিল ইংল্যান্ড। ভেন্যুটির দর্শক ধারণক্ষমতা ১৭ হাজার।