চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

‘এবার আমি আরও নির্ভার ও আত্মবিশ্বাসী’

স্পোর্টস ডেস্ক

২৪ মে, ২০১৯ | ১:২০ পূর্বাহ্ণ

রুবেল হোসেনের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম ভাগ ২০১৫ বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত। পরের ভাগের সূচনা ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকে। ইংল্যান্ডকে বিদায় করে বাংলাদেশকে কোয়ার্টার ফাইনালে নিয়ে যেতে এই ডানহাতি পেসারের অসীম অবদান। অ্যাডিলেডের সেই ম্যাচে ৪ উইকেট শিকার বদলে দিয়েছে তার জীবন। গত চার বছরের অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ রুবেল ক্যারিয়ারের তৃতীয় বিশ্বকাপের আগে দারুণ উজ্জীবিত।
প্রশ্ন: ২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে এবার খেলতে নামবেন। ইংল্যান্ডে এই অভিজ্ঞতা কীভাবে কাজে লাগাতে চান?
রুবেল: দুটি বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতা থাকায় আমার কাছে অধিনায়ক ও টিম ম্যানেজমেন্টের অনেক প্রত্যাশা। অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ক্যারিয়ারের তৃতীয় বিশ্বকাপে ভালো খেলতে চাই।
প্রশ্ন: গত বিশ্বকাপের আগে আপনার ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে গিয়েছিল। তবে চাপ সামলে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে ভালো বল করেছিলেন। চার বছরের ব্যবধানে এবার নিশ্চয়ই আপনি অনেক আত্মবিশ্বাসী?
রুবেল: ২০১৫ বিশ্বকাপের আগে বিরাট ট্র্যাজেডি এসেছিল আমার জীবনে। সত্যি কথা বলতে কী, ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে বিশ্বকাপে তেমন ভালো বল করতে পারিনি। ওই ম্যাচকে আমার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট বলতে পারেন। গতবারের তুলনায় এবার অনেক খোলা মন নিয়ে খেলতে পারবো। গত চার বছরে আমার আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গেছে। যদিও এবারের বিশ্বকাপ আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে।
প্রশ্ন: ইংলিশ কন্ডিশনে কী পরিকল্পনা নিয়ে বল করা উচিত?
রুবেল: কয়েক বছর ধরে ইংল্যান্ডে অনেক রান হচ্ছে। ওয়ানডেতে ৩০০ প্লাস রান তো নিয়মিতই হচ্ছে। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ডিসিপ্লিনড বোলিং ছাড়া সাফল্য লাভ সম্ভব নয়। বিশেষ করে ডেথ ওভারে ডিসপ্লিনড বোলিং খুবই জরুরি।
প্রশ্ন: এবার একটা অভিজ্ঞ দল নিয়ে বিশ্বকাপে খেলছে বাংলাদেশ। দেশের অনেকে এখনই বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে দেখছে। এ বিষয়ে আপনার কী অভিমত?
রুবেল: গত চার/পাঁচ বছর ধরে আমরা একসঙ্গে খেলছি। আমাদের কাছে মানুষের প্রত্যাশা তাই অনেক। দীর্ঘদিন ধরে খেলছি বলে আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো। মাশরাফি-সাকিব-মুশফিক-তামিম ভাইয়ের এটা চতুর্থ বিশ্বকাপ। তাদের অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপে আমাদের কাজে আসবেই।
প্রশ্ন: মাশরাফির শেষ বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখতে আপনাদের বিশেষ কোনও পরিকল্পনা আছে?
রুবেল: দলের প্রত্যেকে মাশরাফি ভাইকে অসম্ভব সম্মান করে। এটাই তার শেষ বিশ্বকাপ। আমরা চাই তিনি আরও একটা বিশ্বকাপ খেলুন। তবে সেটা হয়তো সম্ভব হবে না। আমরা অবশ্যই তার শেষ বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখতে চাই। মাশরাফি ভাইকে স্মরণীয় বিশ্বকাপ উপহার দিতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করবো।
প্রশ্ন: বিশেষ কোন পরিকল্পনা নিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছেন?
রুবেল: ইংলিশ কন্ডিশনে জোরে বোলিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। ইংল্যান্ডে সাফল্য পেতে এর বিকল্প নেই। বিশ্বকাপে জোরে বোলিংয়ের পাশাপাশি ভ্যারিয়েশন ঠিক রাখাই আমার লক্ষ্য। গত কিছু দিন ডেথ বোলিংয়ে কীভাবে ভালো করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করেছি। কারণ, ইংল্যান্ডে ডেথ ওভারে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপে আপনার লক্ষ্য কী?
রুবেল: অন্তত দুই/তিনটি ম্যাচে দলকে জয় এনে দেওয়া আমার লক্ষ্য। এবারের বিশ্বকাপে আমি সেরা পাঁচ বোলারের মধ্যে থাকতে চাই। গত বিশ্বকাপের ইংল্যান্ড ম্যাচের মতো বিধ্বংসী বোলিং করতে চাই।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট