চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

যে কোনো প্রতিপক্ষকে হারানোর ক্ষমতা রাখে টাইগাররা

স্পোর্টস ডেস্ক

২৭ এপ্রিল, ২০১৯ | ২:১৮ পূর্বাহ্ণ

শেষ দিকে কার্যকরী ব্যাটিং, বৈচিত্র্যপূর্ণ বোলিংয়ে জাতীয় দলের ভরসার আরেক নাম মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ২০১৭ সালে জাতীয় দলে অভিষেক সাইফউদ্দিনে। বেশিদিন টিকতে পারেননি। তিন ওয়ানডেতে আহামরি কিছু করতে না পারায় দল থেকে ছিটকে পড়েন। ভবিষ্যত চিন্তায় তাকে আরেকবার সুযোগ দেয় টিম ম্যানেজম্যান্ট। এবার আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজে ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি দিয়ে ফেরেন জাতীয় দলে। বল হাতে আরেক ওয়ানডেতে নেন ৩ উইকেট। পায়ের তলার মাটি শক্ত করে সাইফউদ্দিন এখন জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য। সম্প্রতি শেষ হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে উড়েছেন সাইফউদ্দিন। তার দল আবাহনীকে চ্যাম্পিয়ন করাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। ব্যাট-বল হাতে সমানতালে পারফরম্যান্স করেছেন। পারফরম্যান্সের এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান বিশ্বকাপের মঞ্চে। বিশ্রামে থাকা এ ক্রিকেটার গতকাল মিরপুরে কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। বিশ^কাপের আগে ডিপিএলের দারুণ পারফরম্যান্স কতোটা আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এমন প্রশ্নে সাইফউদ্দিন বলেন, অবশ্যই বিশ^কাপে এটা অনুপ্রেরণা দেবে। তবে ডে বাই ডে উন্নতি করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। চেষ্টা করছি নিজের জায়গা থেকে যতটা পারি। নিজের স্কিল আরও ধারালো করার জন্য সবসময়ই চেষ্টা করি। সিনিয়রদের সঙ্গে পরিকল্পনা শেয়ার করি। আলহামদুলিল্লাহ, যেহেতু ডিপিএলটা ভালো গেছে, যদি সুযোগ পাই বিশ^কাপে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাব। এটাই আসল লক্ষ্য থাকবে। বিশ^কাপের প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, ইংল্যান্ডে হওয়া সাম্প্রতিক ম্যাচগুলো দেখছি। এর আগের ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজগুলো দেখছিলাম। মনে হলো সব উইকেটই ব্যাটিংবান্ধব। তাই খুব টাইট লাইন লেংথ বজায় রেখে বোলিং করতে হবে। যতই বলা হোক পেসবান্ধব উইকেট, তারপরও ওখানে বোলিং করা খুব একটা সহজ হবে না। তাছাড়া আমরা জানি আইসিসির ইভেন্টগুলোতে ব্যাটিংবান্ধব উইকেট থাকে। কিছুটা চ্যালেঞ্জিং, তবে আমি চ্যালেঞ্জটা নিতে চাই। সেভাবেই প্রস্তুত হতে চাই, হাতে যতটা সময় আছে। ব্যক্তিগত লক্ষ্য নিয়ে বলেন, যেহেতু আমি লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিং করব, অবশ্যই আমার জন্য ভালো সুযোগ আসবে ম্যাচ-উইনিং পারফরম্যান্স করার। ব্যাক্তিগত লক্ষ্য অবশ্যই আছে। তবে তা বলতে চাই না। দিন শেষে মিলিয়ে দেখব নিজের লক্ষ্য পূরণে কতটা সফল হয়েছি। আমাদের পাঁচজন খেলোয়াড়ের প্রায় ২০০টি ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। এদিক থেকে আমি মনে করি, আমাদের দল অন্যদের থেকে অনেক এগিয়ে। পাশাপাশি আমরা যারা তরুণ আছি, সৌম্য ভাই গত বিশ^কাপে খেলেছে। সবমিলিয়ে আমাদের দল ভারসাম্যপূর্ণ। যদি সবাই সবার জায়গা থেকে ভালো খেলতে পারে, যেকোনো দলকে হারানোর ক্ষমতা রাখি আমরা।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট