চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বঙ্গবন্ধু ফুটবলে যমুনা অঞ্চলের ফাইনালে চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম ২ ফেনী ০ ফেনী থেকে ফিরে

দেবাশীষ বড়–য়া দেবু

২৮ জানুয়ারি, ২০২০ | ৪:৪৫ পূর্বাহ্ণ

এ্যাওয়ে ম্যাচে জয় পাওয়াটা কেমন জানি চট্টগ্রামের অভ্যেসে পরিণত হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠানরত জেলা পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে নিজস্ব প্রথম ম্যাচে হোম ভেন্যুতে বান্দরবানের বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করার পর এ্যাওয়ে ম্যাচে একই দলকে ১-০ গোলে হারায় চট্টগ্রাম। কাকতালীয়ভাবে ২য় ম্যাচে এসেও একই ঘটনা ঘটায় চট্টগ্রামে। এবারে ফেনীর বিরুদ্ধে নিজেদের মাঠে ০-০ গোলে ড্র করার পর গতকাল ওদের মাটিতে একই দলকে ২-০ গোলে পরাজিত করে চট্টগ্রাম। টানা এই দু-জয়ের সুবাদে এ প্রতিযোগিতার অর্থাৎ যমুনা অঞ্চলের ফাইনালে খেলার টিকিট পেয়ে যায় চট্টগ্রাম জেলা দল। আগামী ৩১ জানুয়ারী ফাইনালে হোম ভেন্যুতে চট্টগ্রামের প্রতিদ্বন্দ্বী সৈকত জেলা কক্সবাজার। দু-দলের ফিরতি পর্বের খেলা হবে ৩ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজারে। এদিকে কক্সবাজার হোম ম্যাচে ৩-০ গোলে এবং ্এ্যাওয়ে ম্যাচে গতকাল খাগড়াছড়ি জেলাকে ৫-০ গোলে পরাজিত করে ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করে। দলের হয়ে মবিন, মতি, আকিব, মুকুট ও সায়েম গোল করেন।

গতকাল ফেনীতে অনুষ্ঠিত এ খেলায় চট্টগ্রাম জেলা দল যোগ্যতর দল হিসেবে জয় আদায় করে নিয়েছে। খেলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মাঠে নিরঙ্কুস প্রাধান্য বজায় রেখে দু-অর্ধে ২টি করে গোল আদায় করে নেয় চট্টগ্রাম। তবে ০-১ গোলে পিছিয়ে থাকার পর পেনাল্টি পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হলে খেলা পুরোপুরি চট্টগ্রামের নিয়ন্ত্রনে চলে আসে। এছাড়া নিজেদের মাঠে পরিচিত পরিবেশে নিজেদের তেমন মেলে ধরতে পারেনি ফেনী জেলা দল। তবে তুলনামুলক বিচারে ফেনীর চেয়ে সবদিক থেকে অনেক অনেক এগিয়ে ছিল চট্টগ্রাম।

তবে গোল করার মতো প্রথম সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেনি ফেনী। ৩৮ মিনিটে বাদিকে আবিরের বাড়ানো বলে অনীক একেবারে কাছ থেকে কিপারের হাতে মেরে দিনের সহজ সুযোগটি হাতছাড়া করেন। ৪২ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম। বা দিকে ফাউল কিক থেকে আমজাদের বক্সে ভাসিয়ে দেয়া বলে মাথা ছুইয়ে বল জালে জড়ান অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার ইয়াছিন (১-০)। অবশ্য এ গোলের পরপরই সমতা আনার মতো সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে ফেনী। দলের সংঘবদ্ধ এক আক্রমণে বক্সের ভেতরে চট্টগ্রামের তানভীর ফেনীর বদলী স্ট্রাইকার মেহেদী হাসানকে ফেলে দিলে রেফারি পেনাল্টি দেন। কিন্তু ফেনীর অধিনায়ক সৈকত সবাইকে হতাশায় ডুবিয়ে বলও হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন। ৬৫ মিনিটে চট্টগ্রাম দলের জয় নিশ্চিত করেন বোরহান। সতীর্থের কাছ থেকে বল পেয়ে ডিফেন্সের একজনকে ফাঁকি দিয়ে বা পায়ের মাটিঘেষা কোনাকুনি শটে গোল করেন (২-০)। শেষ দিকে তানভীরের নিখুত শট কিপার কোনমতে ঠেকিয়ে দিলে চট্টগ্রামকে ২-০ গোলের জয় নিয়ে সন্তুষ্ঠ থাকতে হয়েছে। পরম আল্লাহ তালার কাছে শুকরিয়া আদায় করে দলের এ জয়ে সমস্ত কৃতিত্ব খেলোয়াড়দের দিয়েছেন দলের ম্যানেজার সাবেক কৃতি ফুটবলার মশিউল আলম স্বপন। তিনি এ জয়ে খেলোয়াড়দের জন্য বোনাস (আর্থিক পুরস্কার) ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি চট্টগ্রাম দলকে উৎসাহ যোগাতে চট্টগ্রাম থেকে ফেনীতে আসা চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন ও সর্বোচ্চ উপস্থিতির মর্ণিং ফিটনেস জোনের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট