চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

বিশ্বমানের শিক্ষা সাদার্ন ইউনিভার্সিটিতে

৭ নভেম্বর, ২০২১ | ৫:২৭ অপরাহ্ণ

দীর্ঘদিন পর বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ায় অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছে শিক্ষার্থীদের মাঝে এবং ক্যাম্পাসের ফিরে এসেছে সেই পুরানো আমেজ। তবে করোনার শঙ্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি, তাই সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছে সাদার্ন ইউনিভার্সিটি।

করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি কার্যক্রমে যে নিম্নমুখি প্রভাব ছিলো তা আস্তে আস্তে ঊর্ধ্বমুখি হতে শুরু করেছে। প্রতিদিন ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদেও কোলাহলে মুখরিত ক্যাম্পাস বলে দিচ্ছে নতুন স্বাভাবিক এক বিশ্বের হাতছানি। এ যেন নতুন রূপে পুরানো আমেজ যা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছে প্রত্যাশার প্রহর।

সাদার্ন ইউনিভার্সিটির বায়েজিদ আরেফিন নগরে নয়নাভিরাম স্থায়ী ক্যাম্পাস স্বাগত জানাচ্ছে আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গঠনে অগ্রগামী মেধাবী শিক্ষার্থীদের- যারা প্রতিনিধিত্ব করবে দেশ ও বিশ্বের উচ্চ আসনে। সাদার্ন ইউনিভার্সিটি সবসময় শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশে গুণগত ও বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সাদার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো। তবে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এখনো মহামারি থেকে আমরা মুক্ত নই। আমাদের লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের শারীরিক সুরক্ষার পাশাপাশি একাডেমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা। বর্তমান পরিস্থিতিতে কিভাবে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে তা নিয়ে কাজ করছে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে শিক্ষার্থীবান্ধব শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার মানোন্নয়নে আমরা অত্যন্ত আন্তরিক। শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য কিছু বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ যেমন- ভালো শিক্ষক, অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা, গবেষণার সুযোগ, অরাজনৈতিক স্থিতিশীল পরিবেশ- সর্বোপরি গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে যা করণীয় তা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। উপরোক্ত বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমরা শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছি। বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির যুগ মানে হচ্ছে জাতিকে ডিজিটালাইজ করা। সাদার্ন ইউনিভার্সিটি সবসময় যুযোপযোগী শিক্ষায় বিশ্বাসী।

একাডেমিক শিক্ষার বাইরেও এখানে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার প্ল্যানিং বিষয়ে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কর্মশালা, সেমিনার, ইন্টার্নশিপ, সিম্পোজিয়ামসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ।

তিনি আরও বলেন, সাদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতের আন্তর্জাতিক মানদ- অর্জন করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। সুবিশাল জায়গায় চট্টগ্রাম শহরের প্রাণকেন্দ্রে প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে সাদার্ন ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ গড়ে তুলেছে শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের ক্যাম্পাস।

বায়েজিদ আরেফিন নগরে ৭ একর জায়গায় বিশ্বমানের শিক্ষার স্বপ্ন পূরণে গড়ে ওঠেছে বিশাল ক্যাম্পাস যেখানে ক্লাসে আবদ্ধ নয় শিক্ষার পরিবেশ। এছাড়াও আরও তিন একর জায়গায় আবাসিক সুবিধাসহ মিনি স্টেডিয়াম করার পরিকল্পনা রয়েছে সাদার্ন ইউনিভার্সিটির। এছাড়া স্থায়ী ক্যাম্পাসে আধুনিক সব সুবিধাসহ নামমাত্র খরচে বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করেছে সাদার্ন ইউনিভার্সিটি।

চট্টগ্রামে শহরে সবুজের সমারোহে পরিবেশবান্ধব বিশাল জায়গা নিয়ে নিজেদের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত একমাত্র ইউনিভার্সিটি সাদার্ন। যেখানে প্রকৃতির সাথে একাত্ম হয়ে নগরীর শব্দ দূষণ ও কোলাহলমুক্ত পরিবেশে লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
করোনা ভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শারীরিক উপস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

পরবর্তীতে সরকার অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে গুরুত্বারোপ করেন। সাদার্ন ইউনিভার্সিটি গত ১ এপ্রিল ২০২০ থেকে অনলাইন কার্যক্রম শুরু করে। একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সব বিভাগে নিয়মিত ক্লাসসহ পরীক্ষা নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রুটিন অনুযায়ী প্রতিটি বিভাগে নিয়মিত ক্লাস নেন শিক্ষকরা। যাতে কোনো শিক্ষার্থী একাডেমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে সব সময় আন্তরিক সাদার্ন। ইউনিভার্সিটির আইটি সেক্টরকে কাজে লাগিয়ে যুযোপযোগী প্রযুক্তির মাধ্যমে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, সাধারণত গুগল মিটসহ বিভিন্ন এপস ব্যবহার করে ক্লাসগুলো হয়ে থাকে।

ইতোমধ্যে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী সাদার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রি নিয়েছে এবং বর্তমানে বিদেশিসহ প্রায় সাড়ে ৪ হাজার শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিভাগে অধ্যায়নরত। বর্তমানে ১৬৮ জন শিক্ষক শিক্ষতা করছেন এই প্রতিষ্ঠানে।
বাংলাদেশের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির মধ্যে মানদ-ের বিচারে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জন্য সেরা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির তালিকায় সাদার্ন ইউনিভার্সিটি পুরো বাংলাদেশের মধ্যে সপ্তম অবস্থানে এবং চট্টগ্রামে প্রথম।

উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে গুণগত মান অর্জন, অভিজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দ, আপডেটেড সিলেবাস, মানসম্মত ল্যাব, লাইব্রেরি ও শ্রেণিকক্ষ পরিচালনার স্বীকৃতিস্বরূপ চট্টগ্রামে প্রথম ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) কর্তৃক অ্যাক্রেডিটেশন অর্জন করে সাদার্ন ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।

চট্টগ্রামে প্রথম এমবিএ কোর্স চালু করে সাদার্ন ইউনিভার্সিটি। কম খরচে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন শিক্ষকদের সান্নিধ্যে বিশ্বমানের শিক্ষার গ্রহণের সুযোগ রয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে।

সার্দানের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে দেশে-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত।

পূর্বকোণ/মামুন

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট