চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

ইবাদতের মূল উৎস দোয়া
ইবাদতের মূল উৎস দোয়া

ইবাদতের মূল উৎস দোয়া

অনলাইন ডেস্ক

১৯ জুন, ২০২০ | ১২:০৫ অপরাহ্ণ

ইবাদতের মূল উৎস হচ্ছে বেশি বেশি দোয়া ও প্রার্থনা করা। কোরআন-হাদিসে মানুষকে আল্লাহর দরবারে বেশি বেশি দোয়া ও প্রার্থনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দৈনন্দিন জীবনের ছোট ছোট প্রয়োজনেও যেন মানুষ আল্লাহমুখী হয়, সে শিক্ষাই দিয়েছেন মহানবী (সা.)।

সাধারণভাবে যেকোনো সময় দোয়া করা যায়। কেননা আল্লাহ তাআলা সময় নির্ধারণ না করেই বলেছেন, ‘আমাকে ডাকো, আমি সাড়া দেব।’ (সুরা : আল গাফির, আয়াত : ৬০)

করোনার এ বিপর্যয়ের মধ্যে আমাদের আল্লাহর দরবারে বেশি বেশি প্রার্থনা করা উচিত। যেকোন সময় যেকোন পরিস্থিতিতে আল্লাহ তায়ালা আমাদের দোয়া করতে বলেছেন। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘তোমরা তোমাদের প্রভু-প্রতিপালককে মিনতিভরে এবং গোপনে ডেকো। অবশ্যই তিনি সীমা অতিক্রমকারীদের ভালোবাসেন না’ (সূরা আরাফ : আয়াত ৫৫)। আমাদের উঠতে-বসতে এ কথায় সর্বমুহূর্তে আল্লাহতাআলার দরবারে দোয়া করতে হবে। কেননা দোয়াই হচ্ছে ইবাদত। যেভাবে হাদিসে এসেছে হজরত নোমান ইবনে বাশির (রা.) থেকে বর্ণিত মহানবী (সা.) বলেন, ‘দোয়া হচ্ছে ইবাদত’ (আবু দাউদ ও তিরমিজি)।

দোয়া একটি স্বতন্ত্র ইবাদতও বটে। দোয়ার মাধ্যমে ইবাদতে নিমগ্ন হলে আত্মা প্রশান্তি লাভ করে। প্রশস্ত হয়। মনের ভার কমে যায়। পেরেশানি দূর হয়। জীবনের সব কাজ আল্লাহর নামে এবং দোয়ার মাধ্যমে শুরু করলে তা অত্যন্ত সফলতা ও স্বার্থকতা লাভ করে। তাই আমাদের উচিত সর্বদা দোয়ার মাধ্যমে কাজ শুরু ও শেষ করা।

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দোয়াই ইবাদতের মগজ।’ (তিরমিজি, হাদিস নং: ৩২৯৩)

তিনি আরও বলেছেন, ‘দোয়াই ইবাদত।’ (তিরমিজি, হাদিস নং: ৩৩৭০)

মহানবী (সা.) ছিলেন নিষ্পাপ। তার পরও তিনি সর্বদা দোয়ায় রত থাকতেন। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, মহানবী (সা.) অধিকাংশ সময় এই দোয়া করতেন : ‘আল্লাহুম্মা আতিনা ফিদ্দুনয়া হাসানাতাঁও ওয়াফিল আখিরাতে হাসানাতাঁও ওয়াকিনা আজাবান্ নার’ (বোখারি ও মুসলিম)। অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাকে দুনিয়াতে কল্যাণ ও আখেরাতে কল্যাণ দান করো এবং জাহান্নামের আজাব থেকে আমাকে বাঁচাও। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত মহানবী (সা.) বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা ওয়াত তুকা ওয়াল আফাফা ওয়াল গিনা’ (মুসলিম)। অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে চাচ্ছি হেদায়াত, তাকওয়া, সচ্চরিত্রতা ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা বা স্বনির্ভরতা।

হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, মহানবী (সা.) দোয়া করতেন : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন ফিতনাতিন নারি ওয়া আজাবিন নার, ওয়া মিন শাররিল গিনা ওয়াল ফাকর’ (আবু দাউদ ও তিরমিজি)। অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি আশ্রয় চাচ্ছি তোমার কাছে জাহান্নামের বিপর্যয় ও আজাব থেকে এবং প্রাচুর্য ও দারিদ্র্যের অনিষ্ট থেকে।

করোনা মহামারির হাত থেকে বিশ্বকে রক্ষার জন্য আমাদের উচিত আমাদের সকল ভুল-ভ্রান্তির জন্য আল্লাহর কাছে বিনীত প্রার্থনা করা। এখন কেবল সৃষ্টিকর্তাই পারেন আমাদের ক্ষমা করে তার দয়ার চাদরে আবৃত করে নিতে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট