চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সরকারি সহযোগিতা পেলে বিদেশে রপ্তানির সম্ভাবনা প্রচুর সারাদেশের চাহিদা মেটায় পার্বত্যাঞ্চলে উৎপাদিত বাঁশ

নূর হোসেন মামুন, কাপ্তাই

৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৪:৪৫ পূর্বাহ্ণ

পাবর্ত্য অঞ্চলে উৎপাদিত মুলি বাঁশ, বাড়িয়াল বাঁশ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকার নরসিন্দী, কক্সবাজার, টেকনাফ, চকরিয়া, মহেশখালী, বাঁশখালীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। পূর্বে পাকিস্তানের লাহোরে সরবরাহ করা হলেও বর্তমানে নানান জটিলতায় বন্ধ রয়েছে বিদেশে বাঁশ রপ্তানি। তবে সরকারের সহযোগিতা পেলে আবারও বিদেশে বাঁশ রপ্তানি করতে চায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ফলে সরকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি লাভবান হবে স্থানীয় বাঁশ ব্যবসায়ীরা। বৃদ্ধি পাবে কর্মসংস্থান।

রাঙামাটির বরকল, মাইনী, হরিণা, মাচালং, কাঁচালং সহ জেলার বিভিন্ন স্থান হতে মুলি ও বাড়িয়াল বাঁশ সংগ্রহ করে কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত এশিয়ার বৃহত্তম কাগজ-কল ‘কর্ণফুলী পেপার মিল্স লি. (কেপিএম)’কে সরবরাহ করায় একসময় পার্বত্যঞ্চলের ব্যবসায় খাতে বিশাল ভূমিকা রাখতো বাঁশ শিল্প। কিন্তু কেপিএমের টানা লোকসানে গত কয়েক বছরে প্রতিষ্ঠানটিতে বাঁশ সরবরাহ বন্ধ রাখায় এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। ফলে বাঁশের বাজার দর বাড়লেও কমেছে সরবরাহের পরিমাণ। বর্তমানে পূর্বের চেয়ে ৪০ থেকে ৪৫ হাজারে বেশি বিক্রয় হচ্ছে এসব বাঁশ। বাঁশ ব্যবসায় বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে পূর্বকোণ প্রতিনিধিকে এসব কথা জানান স্থানীয় ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম।ব্যবসায়ী আবুল কাশেম বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের মুলি ও বাড়িয়াল বাঁশের কদর সারাদেশেই ব্যাপক। আমরা এরআগে পাকিস্তানের লাহোরে বাঁশ সরবরাহ করতাম। কিন্তু নানান জটিলতায় বর্তমানে বন্ধ রয়েছে বিদেশে বাঁশ সরবরাহ।

সরকারের সহযোগিতা পেলে আবারও বিদেশে বাঁশ রপ্তানির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে ব্যবসায়ী আবুল মনসুর বলেন, পাহাড়ে উৎপাদিত ৬০ শতাংশ বাঁশ আগে দেয়া হতো কাপ্তাইয়ের কেপিএমকে। কিন্তু গত ৪-৫ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি বাঁশ ক্রয় না করায় লোকসান ও দেনার মুখে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। তাই আমরা সারাদেশের পাশাপাশি আবারও দেশের বাহিরে বাঁশ রপ্তানির কথা ভাবছি। এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ব্যবসায়ীরা।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট