চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ক্ষমতাধরের খেয়াল-খুশিতে আর কত পাল্টাবে সন্দ্বীপের মানচিত্র?

এডভোকেট রিদওয়ানুল বারী হ সন্দ্বীপ

১৭ নভেম্বর, ২০১৯ | ৩:০১ পূর্বাহ্ণ

নৌ যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে এককালে সন্দ্বীপ বন্দরনগরী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিল। আনুমানিক ১৬১৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৬৬৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দেলোয়ার খাঁ ওরফে দীলাল রাজার নেতৃত্বে সন্দ্বীপ প্রায় স্বাধীন ভূখ- ছিল। এরপর যুগে যুগে ক্ষমতাবানদের খেয়াল-খুশিতে সন্দ্বীপের মানচিত্র বদলেছে। সর্বশেষ সন্দ্বীপের বিলীন হওয়া নেয়ামস্তী ইউনিয়নের স্থানে জেগে ওঠা ঠেঙারচরকে নোয়াখালী জেলার সাথে অন্তর্ভুক্ত করায় সন্দ্বীপবাসীর মনে ক্ষোভ দানা বাঁধছে এবং তাদের মনে প্রশ্ন জাগছে, রাজনৈতিক ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও আমলাদের খেয়াল-খুশিতে আর কতবার বদলাবে সন্দ্বীপের মানচিত্র ?

সন্দ্বীপের প্রথম ভৌগোলিক পরিচয় মেঘনার মোহনায় অবস্থিত বঙ্গোপসাগরের একটি দ্বীপ হিসাবে। সন্দ্বীপের উত্তরে বামনী নদী এবং নোয়াখালীর মূল ভূখ-, পশ্চিমে হাতিয়া খাল বা হাতিয়া নদী এবং হাতিয়া দ্বীপ, পূর্বে সন্দ্বীপ চ্যানেলের পূর্বপাড় চট্টগ্রাম এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। মোগল আমলে সন্দ্বীপ, হাতিয়া, বামনী ও সাগরদিহি নিয়ে সন্দ্বীপ পরগণা গঠিত হয়েছিল। ঐতিহাসিকদের মতে, তখন সোনাগাজীর দক্ষিণাংশ ও ফেনীর পশ্চিমাংশসহ কোম্পানীগঞ্জ, সুধারাম, লক্ষ্মীপুর, রামপুর, রামগঞ্জ, বেগমগঞ্জ, রামগতি, হাতিয়া, মনপুরা, উত্তর শাহাবাজপুর, দক্ষিণ শাহাবাজপুর ও ভোলার সমুদয় স্থান প্রাচীন সন্দ্বীপের ভূমি ছিল। বরিশালের যেসব অংশে এবং নোয়াখালীর যেসব অংশে নারিকেল, সুপারি প্রচুর পরিমাণে জন্মে থাকে সেই সমুদয় স্থান প্রাচীন সন্দ্বীপের অংশ ছিল। ঐতিহাসিক ডুজারিকের মতে, চতুর্দশ শতাব্দীতে সন্দ্বীপের অবস্থান শ্রীপুর (বিক্রমপুর) সীমার ১৮ মাইল দক্ষিণে ছিল, শ্রীপুর ওই সময় চাঁদপুরের দক্ষিণে অবস্থিত ছিল। আরবদের আমলে সন্দ্বীপে একটি ক্ষুদ্র স্বাধীন রাজ্য ও বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল। মোগল রাজা সন্দ্বীপের স্বাধীনতার বীজ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে সন্দ্বীপকে তিনভাগে বিভক্ত করেন- মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ের অংশকে বাকেরগঞ্জ (বর্তমান বরিশাল) জেলার অন্তর্ভুক্ত করে, ত্রিপুরার অংশকে ত্রিপুরা (বর্তমান কুমিল্লা) জেলার অন্তর্ভুক্ত করে এবং ইসলামাবাদের নিকটবর্তী অংশকে চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্ভুক্ত করে সন্দ্বীপকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে ফেলে।

নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে ১৮৮২ সাল পর্যন্ত সন্দ্বীপ চট্টগ্রামের শাসনভুক্ত ছিল। উক্তবর্ষে নোয়াখালী স্বতন্ত্র জেলা রূপে গঠিত হওয়ায় সন্দ্বীপকে নোয়াখালী জেলার শাসনাধীন করা হয়। আবার ১৯৫৪ সালে সন্দ্বীপকে দু’ ভাগে বিভক্ত করে এক অংশকে (১৫ মৌজা) নোয়াখালীর সাথে রেখে অন্য অংশ (ষাটমৌজা) চট্টগ্রাম জেলার সাথে যুক্ত করা হয়। ৬০ মৌজার মধ্যে ভাঙনের কারণে ৩৫ মৌজা সম্পূর্ণ ও ১০ মৌজা আংশিকভাবে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক ও আমলাদের খেয়াল-খুশিতে সন্দ্বীপের ভৌগলিক সীমার (মানচিত্র) পরিবর্তন যেমন হয়েছে, পাশাপাশি নদী বা সমুদ্রের খরস্রোতের প্রভাবে এই দ্বীপটির ভূমি ও অবস্থানের সীমার পরিবর্তন ঘটেছে অনেকবার।
ভৌগলিক সীমা তথা আয়তনের পরিবর্তন ধারা: ১৫৩৫ খ্রিস্টাব্দ (হাতিয়া ও বামনীসহ) ৬৩০ বর্গমাইল, ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দ ৪১৭ বর্গমাইল (হাতিয়া ও বামনী বাদে), ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে ৪১৯.৩৯ বর্গমাইল, ১৮৯১ ও ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে ২৫৮ বর্গমাইল, ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে ১২৬.৫ বর্গমাইল, ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে ১৩০ বর্গমাইল, ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে ১২৬ বর্গমাইল, ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে ১৬৭ বর্গমাইল, ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে ১৬৭ বর্গমাইল, ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে ১৮৭ বর্গমাইল, ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে ২৯৫ বর্গমাইল (জলাভাগসহ), ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে ২৯৪.৩৮ বর্গমাইল (জলাভাগসহ) সন্দ্বীপের একজন প্রাক্তন সার্কেল অফিসারের মতে, ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে স্থলভূমির আয়তন ১১৫ বর্গমাইল, পরবর্তীতে ভাঙনের কারণে ১৯৮৪ সালে ৯৫ বর্গমাইল, ১৯৮৫ সালে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী উরিরচর সন্দ্বীপেরই একটি ইউনিয়ন হওয়ায় ১৯৮৫ সালে উরিরচরসহ সন্দ্বীপের আয়তন দাঁড়ায় ১১৭ বর্গমাইল। ১৯৯০ সালে ১০৫ বর্গমাইল (উরিরচরসহ)। ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে উরিরচরের আয়তন হয় ৮৫ বর্গমাইল। তখন সন্দ্বীপের সীমানায় জেগে ওঠা ডুবাচরসহ সন্দ্বীপের আয়তন দাঁড়ায় প্রায় ২৬৩ বর্গমাইল। (সূত্র: উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়)।

১৯৯৫ সালের ৬ জানুয়ারি ঢাকা গেজেটের ভিত্তিতে যে অংশ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারও প্রচার করেছেন, তারই অনুসরণে বর্তমান সন্দ্বীপ থানার অধীন চট্টগ্রাম জেলার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত ৬০ (ষাট) মৌজা হচ্ছে: (উল্লেখ্য, ৩২ মৌজা আংশিকভাবে নদীগর্ভে বিলীন)। (১) চরলক্ষ্মী (২) সমসেরাবাদ (৩) পায়াডগী (৪) চরবদু, (৫) চররহিম, (৬) বাটাজোরা, (৭) শফিনগর, (৮) কাঠগর, (৯) চর হুদ্রাখালী, (১০) থাক হুদ্রাখালী, (১১) থাক দীর্ঘাপার, (১২) চর দীর্ঘাপার (১৩) দীর্ঘাপার, (১৪) চর সন্তোষপুর, (১৫) চেউরিয়া, (১৬) কাজিরখিল, (১৭) বাওয়া, (১৮) মোক্তারপুর, (১৯) দুবলাপুর, (২০) রোহোনী, (২১) মোহাম্মদপুর, (২২) ইজ্জতপুর, (২৩) শ্রীরামপুর, (২৪) আমিরাবাদ, (২৫) মনদিল, (২৬) সাবিদমহুরী, (২৭) নেয়ামস্তী, (২৮) সুলতানপুর, (২৯) কমলপুর, (৩০) পাঁচবাড়য়িা, (৩১) শরীফ পুর, (৩২) বৈইটা, (৩৩) চর উদয়কালী, (৩৪) চর পীরবক্স, (৩৫) থাক সন্তাষপুর, (৩৬) আমানউল্যা, (৩৭) কালাপানিয়া, (৩৮) হরিশপুর, (৩৯) রহমতপুর, (৪০) আজিমপুর, (৪১) মাইটভাঙা, (৪২) সাতঘরিয়া, (৪৩) সারিকাইত, (৪৪) চৌকাতলী, (৪৫) সন্তোষপুর, (৪৬) গাছুয়া, (৪৭) থাক গাছুয়া, (৪৮) চরগাছুয়া, (৪৯) বাউরিয়া, (৫০) থাক বাউরিয়া, (৫১) চর বাউরিয়া, (৫২) থাক কুচিয়ামোড়া, (৫৩) কাছিয়াপাড়, (৫৪) থাক কাছিয়াপাড়, (৫৫) চর কাছিয়া, (৫৬) হারামিয়া, (৫৭) মুছাপুর, (৫৮) মগধরা। চট্টগ্রাম কোটস গ্রন্থে সন্দ্বীপের আরো দুইটি মৌজার নাম পাওয়া যায়। (৫৯) কিশনগর (৬০) রামপুর।

১৯৫৪ সালের পূর্ব সময় পর্যন্ত ৭৫ মৌজার সন্দ্বীপ ছিল। নোয়াখালী জেলার সাথে ৭৫ মৌজার সন্দ্বীপ থানা অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৫৪ সালে ৬০ মৌজার সন্দ্বীপ চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সকলের প্রশ্ন, বাকি ১৫ মৌজা কেনইবা সন্দ্বীপ থেকে বিচ্ছিন্ন করে নোয়াখালীর তিনটি থানার সাথে যুক্ত করা হলো ? প্রাক্তন সন্দ্বীপের ১৫ মৌজা নোয়াখালী জেলার সুধারাম, হাতিয়া ও কোম্পানীগঞ্জ থানার সাথে সংযুক্ত করা হয়। নিচে সেই মৌজাগুলো উল্লেখ করা হলো। (ক) সুধারামের সঙ্গে ৪টি মৌজা (১) চর আমান উল্ল্যা (২) চর ভাটা, (৩) চর লাগালিয়া, (৪) চর ক্লার্ক, (খ) হাতিয়ার সঙ্গে ৭টি মৌজা, (১) চর ভারতসেন, (২) চর নলচিড়া, (৩) চর ডাচ, (৪) চর ঈশ্বর, (৫) সাবেক পয়স্তি, (৬) চর ঈশ্বর (ভরাট পর্যন্ত), (৭) বুড়ির চর, (গ) কোম্পানিগঞ্জের সঙ্গে ৪টি মৌজা, (১) চর যাত্রা, (২) চর এলাহী, (৩) চর লেংটা, (৪) চর বালুয়া।

এই ১৫ মৌজা সন্দ্বীপ থেকে বিচ্ছিন্ন করার বিরুদ্ধে একটা গঠনমূলক ও বাস্তবমুখী আন্দোলন সৃষ্টির প্রয়াস সন্দ্বীপবাসীর মাঝে গড়ে উঠতে হবে।
আজকের সন্দ্বীপবাসী এ প্রশ্ন করার অধিকারী রাখে, কী করে সন্দ্বীপের ১৫ মৌজা নোয়াখালীতে ছেড়ে দেয়া হলো ? এদিকে বর্তমান উরিরচর নিয়ে উত্তর অংশে কোম্পানিগঞ্জের সাথে যুক্ত করার জন্য একটি প্রভাবশালী মহল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উক্ত বিষয়েও রাজনৈতিক সচেতন মহলকে সজাগ হওয়া জরুরি। ৭৫ মৌজার সাথে বর্তমানে নতুন জেগে ওঠা চরাঞ্চলের চর শাবানী, চর নুর, চর ইসলাম (জেলেচর) চর কালাম ও চর ভাষান এর ঠিক পূর্বদিক ঘেঁষে সন্দ্বীপের পশ্চিম থেকে দক্ষিণ অবধি এক বিরাট চরাঞ্চল জেগে উঠেছে এবং তার সীমানা সন্দ্বীপের দক্ষিণ সওদাগর হাট পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। উরিরচর হতে যে চর পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে নেমে এসেছে তা সন্দ্বীপের বর্তমান উত্তর সীমানার সাথে যুক্ত হয়েছে। মেঘনার পানি হাতিয়া চ্যানেলে পশ্চিমে হাতিয়ার পূর্ব কূল ঘেঁষে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হবার ফলে চর শাবানী বয়া ১, ২ ও ৩ এবং অস্ট্রেলিয়া বয়া ১ ও ২ এবং ডব্লিউ বয়া ১ ও ২ এর আওতাধীন জলসীমা কার্যত চরে রূপান্তরিত হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আন্তঃ থানা সীমা নির্ধারণ করা আশু প্রয়োজন। বর্তমানে সন্দ্বীপের সামান্য পশ্চিমে জেগে ওঠা ঠেঙার চর ভৌগলিক অবস্থান ও প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়ে পত্রপত্রিকাসহ সরকারের পক্ষ হতে অপ্রত্যাশিত বক্তব্য শুরু হয়েছে।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আমির হোসাইন চৌধুরীর সাম্প্রতিককালে স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, জলযান থেকে হাঁটু পরিমাণ কাদা ডিঙিয়ে ঠেঙার চরে যেতে হয়। চরের উত্তর ও পশ্চিম দিকে ভাঙন অব্যাহত আছে। তবে পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে মধ্য সন্দ্বীপের দিকের চরের আকার বৃদ্ধি হচ্ছে। অর্থাৎ অচিরেই ঠেঙারচর সন্দ্বীপের মূল অংশের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যাবে। সন্দ্বীপের পশ্চিম দিকের ভূমি থেকে চর নামা (উঠা) অব্যাহত আছে। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে বলা হয় যে, হাতিয়া থেকে ঠেঙারচরের দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। যা হাতিয়ার সীমা থেকে অনেক দূর। অপরদিকে সন্দ্বীপ থেকে ঠেঙার চরের দূরত্ব মাত্র ৪ কিলোমিটার। ঠেঙারচরটি অতীতে সন্দ্বীপের বিলীন হওয়া নেয়ামস্তী ইউনিয়নের উপর স্থিত একটি চর। যার মালিকানা নেয়ামস্তী ইউনিয়নের পূর্বে বসবাসরত লোকের সম্পত্তি বটে।

সন্দ্বীপ রেঞ্জ বন কর্মকর্তা মো. নিজামউদ্দিন জানান, আমরা বিগত ১০ বছর যাবত সন্দ্বীপ রেঞ্জের অধীনে থেকে নেয়ামস্তী চরে ঠেঙারচর বনায়ন সৃজন করে যাচ্ছি। ২০০৯-২০১২ পর্যন্ত সময়ে এই চরের ১০৫০ হেক্টর ভূমিতে ম্যানগ্রোভ অরণ্য গড়ে তোলা হয়েছে। বন রেঞ্জ কর্মকর্তারা আরো জানান, ২০১৪ সালের ৫ জুন ইস্যুকৃত এক গেজেটে চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ রেঞ্জের আওতায় নেয়ামস্তী চরে জেগে ওঠা ভূমির পরিমাণ ৭ হাজার একর বলে উল্লেখ করা হয়। সন্দ্বীপ বনবিভাগ রেঞ্জ থেকে ২০১৩ সালেও এই চরকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘোষণা করা হয়। অর্থাৎ বনবিভাগের গেজেটেও ঠেঙারচর নেয়ামস্তী হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে প্রমাণ বহন করে যে, ঠেঙারচর অতীতে বিলীন হয়ে যাওয়া নেয়ামস্তী ইউনিয়ন তথা সন্দ্বীপেরই অংশ। যেহেতু ঠেঙারচরটি সন্দ্বীপেরই অংশ, সেহেতু চরটির দিয়ারা (ভূমি) জরিপসহ সকল প্রশাসনিক বিষয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের অধীনে পরিচালিত হওয়া বাঞ্ছনীয়।

প্রধানমন্ত্রীর নিকট সন্দ্বীপবাসীর দাবি, ঠেঙারচর সন্দ্বীপের অংশ হিসাবে প্রশাসনিক কার্যক্রমে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অধীনে ঘোষণা করা হোক। হাতিয়া থেকে ঠেঙারচরের দূরত্ব বেশি হওয়ায় প্রশাসনিক যোগাযোগ করা অতীব দুরূহ। কিন্তু ঠেঙারচর থেকে সন্দ্বীপের দূরত্ব স্বল্প হওয়ায় যেকোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। অতএব, ঠেঙারচরের সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম ও উন্নয়নকাজ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অধীনে হওয়া একান্ত বাঞ্ছনীয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট