চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

প্লাস্টিক ফুলের কদর বৃদ্ধি লাটে উঠছে কাঁচা ফুলের ব্যবসা

এম এম আহমদ মনির হ লোহাগাড়া

১৩ অক্টোবর, ২০১৯ | ১:৩৩ পূর্বাহ্ণ

ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক। মানুষের মনের প্রশান্তি । বিয়ে, পূজা-পার্বণসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাঁচা ফুলের কদর থাকায় ফুল ব্যবসা বেশ প্রসার লাভ করেছিল। ইদানীং প্লাস্টিক ফুলের সরবরাহ বেড়ে কাঁচা ফুলের ব্যবসা লাটে ওঠার অপেক্ষায়। এতে হতাশা কাঁচা ফুল ব্যবসায়ীদের মাঝে।

সরেজমিনে জানা যায়, একসময় উপজেলা সদর বটতলী মোটর স্টেশনে কাঁচা ফুলের ব্যবসা ছিল জমজমাট। প্রবীণ ব্যবসায়ী আমিরাবাদের নুরুল আমিন কাঁচা ফুল ব্যবসা ও ব্যবহার শুরু করেন। বিয়েসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সাজ-সজ্জায় তিনি ব্যবহার করতেন কাঁচা ফুল। এ সুবাদে চুনতিসহ বিভিন্ন এলাকায় ফুল চাষ শুরু হয়। ফুলের সাজ-সজ্জা ও ব্যবহার ক্রমশঃ বৃদ্ধি পেলে বিভিন্ন এলাকায় নার্সারিও গড়ে ওঠে। স্থানীয় ফুল ব্যবসায়ীরা সময় সময় চাহিদা পূরণে চট্টগ্রাম শহরের ফুল ব্যবসা কেন্দ্র চেরাগী পাহাড় এলাকা থেকে ফুল ক্রয় করে আনতেন। স্থানীয়ভাবে চাষ শুরু হয় বিভিন্ন প্রকারের গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা ও পাতা বাহারসহ আরো বিভিন্ন প্রকার ফুলের। এ কারণে ফুলচাষী ও ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে প্রচুর লাভবান হন। বর্তমানে এ ব্যবসার প্রচার ও সুনাম সুদূরপ্রসারী। মোটর স্টেশনের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আমিন, হামিদ, সাইফুল, এরশাদ, ফিরোজ, মাঈনু, বাবু ও বিলাসী মামাসহ নাম না জানা আরো কয়েকজন উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সাজ-সজ্জায় প্রতিনিয়ত কাজ করে ৫০/৬০ জন কর্মচারী। স্টেশনের ফুল ব্যবসায়ী ফিরোজ জানান, কাঁচা ফুল পচনশীল। সহজে নষ্ট হয়ে যায়। তাই লোকসানের ঝুঁকিটি বেশি। নানা রকম প্লাস্টিক ফুল বাজারজাত হওয়ায় তারা অধিক সুবিধে ভোগ করছেন। যেহেতু, এ ফুল বারবার ব্যবহার করা যায়। তাই কম খরচে সাজসজ্জার কাজ করা যায়। অপরদিকে ফুলচাষীরা জানান, প্লাস্টিক ফুল বাজারে আসায় তারা তাদের পেশায় হতাশ এবং আর্থিক দূরাবস্থার সম্মুখীন। বাইরের রাষ্ট্র থেকে দৃষ্টিনন্দন ও চাকচিক্য প্লাস্টিকের ফুল আমদানি করে কতিপয় ব্যবসায়ী তাদের ফুল চাষে ধস নামিয়েছেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট