চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সবুজের নৈসর্গিক সৌন্দর্যে আলোকিত কোদালা উচ্চ বিদ্যালয়

বিপ্লব বড়–য়া, রাঙ্গুনিয়া

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:২০ পূর্বাহ্ণ

কোদালা হাই স্কুলের আঙিনায় যখন ঢুকছি একেবারে নীরব। বিশাল সীমানা প্রাচীর। মূল ফটক দিয়ে ঢুকেই এক নৈসর্গিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এত সুন্দর পরিপাটি স্কুল তেমন একটা চোখে পড়ে না। গ্রামে তো নয়ই এবং এমনকি শহরেও পর্যন্ত দেখা পাওয়া দুষ্কর। স্কুল ভবনের সামনে বিভিন্ন ফল ও ফুল গাছের সমারোহ। এই যেন এক অভূতপূর্ব বাগান বাড়ি। মেহগুনি, কামরাঙা, আম, জলপাই, লিচু, আমড়া, আমলকি ও নারিকেল গাছ ছাড়াও দেখা যায় নানান প্রজাতির ফুল গাছের নান্দনিক রোমাঞ্চকর দৃশ্য।

১৯৬৫ সালে রাঙ্গুনিয়া উপজেলাধীন কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে ৭৫ শতক জমির উপর এক নয়নাভিরাম এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় স্কুলটি। একসময়ের বেড়ার কাঁচামাল দিয়ে নির্মিত স্কুল, বর্তমানে পাকা দালানে রূপান্তরিত হয়েছে। আলাদা তিনটি পাকা ভবনে পাঠদান চলছে। বর্তমানে আরেকটি ভবন নির্মাণকাজ চলছে।

যেটিকে প্রশাসনিক দপ্তর হিসেবে ব্যবহার করা হবে। স্কুলের বিশাল মাঠের চারিদিকে রয়েছে স্কুল ভবন। উত্তর পাশে পুরনো ভবন, পূর্বপাশে নবনির্মিত বিজ্ঞান ভবনের পাশ ঘেষে রয়েছে স্মৃতিস্বরূপ বেড়ার পুরনো স্কুল, দক্ষিণ পাশের্^ তিন তলাবিশিষ্ট ভবন এবং পশ্চিম পাশের্^ নতুনভাবে নির্মিত হচ্ছে প্রশাসনিক ভবন। হাই স্কুলের পাশ ঘেষে রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কুয়েতের অর্থ সাহায্যে নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন একটি মসজিদ। স্কুলের পুরো এলাকাটি নানান প্রজাতির গাছে ভরপুর। সবুজায়নের কারণে স্কুলটির ভিতর ও বাহিরের পরিবেশ যে কারো মনকে রাঙিয়ে দিবে।

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে কর্ণফুলি নদীর দক্ষিণ প্রান্তে কোদালা ইউনিয়নের অবস্থান। ১৯৮৯ সালে ৯ নং শিলক ইউনিয়নকে ভাগ করে ১২ নং কোদালা ইউনিয়ন গঠিত হয়। ১৩.৪৬ বর্গমাইলের কোদালা ইউনিয়নে বর্তমান জনসংখ্যা ছাড়িয়েছে প্রায় ৩২ হাজার। ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তখন এই ইউনিয়নে সর্বমোট জনসংখ্যা ছিল ৩০ হাজার ২৮৮ জন। তবে সবচেয়ে হতাশার বিষয় হলো- জনসংখ্যার তুলনায় সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বল্পতা চোখে পড়ার মতো। তাই বিশাল একটি জনগোষ্ঠী শিক্ষা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পুরো ইউনিয়ন জুড়ে রয়েছে একটিমাত্র উচ্চ বিদ্যালয়। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা আট’শ জন ছাড়িয়েছে। ২০১৭ সালের শিক্ষা সপ্তাহ চলাকালে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি অর্জন করে। ২০১৮ সালে উপজেলা প্রশাসন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাউসার নুর লিটনকে শ্রেষ্ঠ সভাপতির স্বীকৃতি দিয়ে পুরষ্কৃত করে। প্রধান শিক্ষক সুবীর বড়–য়া বলেন, মফস্বলের নান্দনিক এই বিদ্যালয়কে একটি আদর্শ মডেল স্কুলে রূপান্তরিত করা আমার এখন একমাত্র স্বপ্ন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট