চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সেবায়-সুবাসে সুরভিত আধুনিক হাসপাতাল

খাগড়াছড়ি

মো. জহুরুল আলম হ খাগড়াছড়ি

৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:০১ পূর্বাহ্ণ

খাগড়াছড়িতে জেলা সদরের আধুনিক হাসপাতাল এখন উন্নত স্বাস্থ্যসেবা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নতুন কেবিন স্থাপন, ডাক্তার, নার্সদের রোগীদের প্রতি আন্তরিকতা বৃদ্ধি, পর্যাপ্ত ঔষধ ব্যবস্থা, শিশু রোগীদের জন্য আলাদা স্পেশাল কেয়ার স্থাপন, নতুন এম্বুলেন্সে রোগী পরিবহনসহ নানা চিকিৎসা সেবায় এখন সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে। হাসপাতালে প্রবেশ করতেই পরিপাটি ফুলের বাগান থেকে সুগন্ধ ছড়াছে পুরো হাসপাতালজুড়ে। অতীতের দুর্গন্ধ এখন আর নেই। বাগানে ফুটেছে হরেকরকম ফুল। রোগীরা ফুলের সুবাস নিচ্ছে মন ভরে।

প্রতিটি ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা গেছে, ওয়ার্ডের বাহিরে রাখা বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার থেকে পানি পান করছে রোগীরা। একইভাবে রোগীদের সাথে আসা অভিভাবকদের জন্য স্থাপিত ডাইনিং টেবিলে বসে খাবার গ্রহণ করতে। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য স্থাপন করা হয়েছে আলাদা ওয়ার্ড। গাইনি ওয়ার্ডে মায়েদের পাশাপাশি নবজাতকের জন্য আলাদা স্বাস্থ্য সেবার জন্য স্পেশাল কেয়ারে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ৪র্থ তলায় স্থাপন করা হয়েছে একটি সুসজ্জিত সাউন্ডবক্সযুক্ত সম্মেলন কক্ষ। এতে ডাক্তার, নার্স ও স্টাফদের নিয়ে প্রতি সপ্তাহে বসে বৈঠক। বৈঠকটি হয় সিভিল সার্জন ডা. মো. ইদ্রিস মিঞা ও আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. নয়নময় ত্রিপুরার নেতৃত্বে। জানা গেছে, এ বৈঠকে নিজেদের দোষত্রুটি থেকে শুরু করে রোগীদের বিশেষ করে জটিল রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিয়ে আলোচনা করা হয়। হাসপাতালের পঙ্গু চিকিৎসার ক্ষেত্রে ডা. সুভল জোতি চাকমা ও ডা. নয়নময় ত্রিপুরার যৌথ চিকিৎসা সেবায় অনেক পা ও হাত হারানো রোগী অপারেশনের মধ্যে দিয়ে নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে। নবাগত সিভিল র্সাজন ডা. ইদ্রিস মিঞায় প্রতিদিন জেলা সদর হাসপাতালে পদার্পণ এখন নিয়মিত। ডেঙ্গু রোগী ওয়ার্ডসহ প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীদের চিকিৎসা সেবাসহ নানা সমস্যার কথা শুনেন। টিআইবিও সচেতন নাগরিক কমিটি এ হাসপাতাল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছে। গেল সপ্তাহে সনাক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে মতবিনিময় সভায় হাসপাতালের সকল কার্যক্রমের ওপর একটি পরিপূর্ণ প্রতিবেদন সনাকের সভাপতি প্রফেসর বোধিসত্ত দেওয়ান সিভিল সার্জন ডা. মো. ইদ্রিস মিঞার হাতে তুলে দেন। ১০০ শয্যার হাসপাতালটি দীর্ঘদিন ধরে ৫০ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. মো. ইদ্রিস মিঞা বলেন, কম সংখ্যক জনবল নিয়ে আমরা কাজ করছি। বিশেষ করে সনাক আমাদের পাশে থাকায় আমরা সাহস নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের মধ্যে মডেল হাসপাতাল হিসেবে স্থান করে নিতে আমরা এখন সকলে একযোগে কাজ করছি। সনাকের সভাপতি প্রফেসর বোধিসত্ত দেওয়ান বলেন, আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে নিয়মিত বৈঠকসহ নানা কার্যক্রম এখানে করছি। যার সুফল এখন সেবাগ্রহীতা পাচ্ছে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ^াস। হাসপাতালের আরএমও ডা. নয়নময় ত্রিপুরা জানান, আমরা চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি পরিচ্ছন্ন আধুনিক মডেল হাসপাতাল। সেই লক্ষ্যে সনাকসহ সকলকে নিয়ে কাজ করে চলেছি। তিনি হাসপাতালের যেকোন বিষয়ে সনাকের স্থাপিত অভিযোগ বক্সে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা প্রদান করতে অনুরোধ জানান সেবাগ্রহীতাদের।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট