ভুয়া শিক্ষক নিবন্ধন সার্টিফিকেটের মাধ্যমে চাকরি নেয়ার অভিযোগে এক নারী প্রভাষককে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জেলা শহরের নোয়াখালী সুপার মার্কেট এলাকা থেকে আজ রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে আটক করা হয়। অভিযুক্ত শাহিদা আক্তার রুবি হাতিয়ার চর কৈলাশ গ্রামের কে.এম ওবায়েদুল্যাহর স্ত্রী এবং হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক।
দুদক কার্যালয়ের সূত্রানুযায়ী, শাহিদা আক্তার রুবি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের ২০১০ সালের পরীক্ষায় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির লেকচারার পদে একটি জাল ও ভুয়া শিক্ষক নিবন্ধন সার্টিফিকেট প্রস্তুত করে হাতিয়া ডিগ্রি কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে এমপিওভুক্ত হয়ে ২০১২ সালের ১ নভেম্বর হতে ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বেতন-ভাতা বাবদ পাঁচ লাখ ৩৮ হাজার ৯৭৫ টাকা আত্মসাৎ করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের শিক্ষা পরিদর্শক টুটুল কুমার নাগ এবং অডিট অফিসার গোলাম মুর্তজা ২০১৫ সালের ৩ ডিসেম্বর হাতিয়া ডিগ্রি কলেজ নিরীক্ষা করলে সনদের সত্যতা নিশ্চিত না হওয়ায় এটিকে জাল সনদ হিসাবে আখ্যায়িত করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ জানান, প্রভাষক শাহিদা আক্তার রুবিকে আটকের করে জানান, শাহিদা আক্তার রুবি হাতিয়া ডিগ্রি কলেজে দীর্ঘদিন ধরে জাল সনদের মাধ্যমে শিক্ষকতা করে আসছিলো। পরে দুদক অনুসন্ধানের মাধ্যমে তার জাল সনদের বিষয়ে নিশ্চিত হয়। সে ওই সনদ গোপন করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জালিয়াতি ও প্রতারণামূলকভাবে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন যা অনুসন্ধানকালে প্রমাণিত হয়েছে।
আটকের পরই রুবিকে জেলা জজ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান দুদক নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ।
পূর্বকোণ/ময়মী