চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

দুঃখ ঘোচেনি রাঙ্গুনিয়ায় ১৫ গ্রামবাসীর

অর্ধনির্মিত সেতুটি বিপজ্জনক!

আবুল কালাম আজাদ

৪ আগস্ট, ২০১৯ | ১:২৫ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লালানগর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের গজালিয়া-ফকিরটিলা সড়কে কুরমাই খালের ওপর একটি ফুট ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পের অসম্পূর্ণতায় ১৫ গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা ঘোচেনি।
ইউনিয়নের ফুইট্যাগোদা, নজুরপাড়া, ফকিরটিলা, গজালিয়া, ছনখোলা বিল, মোল্লাপাড়া, আকবর সিকদারপাড়া, ওয়াহেদের পাড়া, সমসেরনগর, আলমশাহপাড়া ও হোসনাবাদ ইউনিয়নের নিশ্চিন্তাপুরসহ পনের গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এ সড়কে যাতায়াত করে। এলাকার অনেক স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়তের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। ইউনিয়ন ও জেলা পরিষদের বড় বড় সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত এই গজালিয়া-ফকিরটিলা সড়ক। ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা সদরে যোগাযোগের জন্য সড়কটি এলাকাবাসীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি সেতুর অভাবে কাদাপানির ওপর দিয়ে নাজেহাল অবস্থায় কুরমাই খাল অতিক্রম করতে হয়। গরু, ছাগল ও কৃষি যন্ত্রপাতি নিয়ে কৃষকেরা বিলে যেতে পারে না। উৎপাদিত কৃষিপণ্য নিয়ে স্থানীয় হাটবাজারগুলোতে যাতায়াতে কৃষকেরা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বর্ষার সময় পানির স্রােতে এই খাল পারাপার বিপজ্জনক হয়ে উঠে। খালের ওপর সেতু না থাকায় মাত্র এক কিলোমিটারের স্থলে ৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রমে মানুষ অগত্যা অন্যপথে যাতায়াত করছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা ঘোচাতে উপজেলা উন্নয়ন তহবিলের অর্থায়নে গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে একটি পাকা পুল নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণ প্রকল্পে প্রায় ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে খালের ওপর আড়াআড়ি তিন পিলার নির্মাণেই প্রকল্পের কাজ সমাপ্তি দেয়া হয়। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, প্রকল্পের অসম্পূর্ণতার কারণে এর বাস্তবায়নে অর্ধনির্মিত সেতুটি এলাকার মানুষের উপকারে আসছে না। অপরিপূর্ণ সেতুতে মানুষের দুঃখ ঘোচেনি। দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লেগেই আছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গজালিয়া ফকিরটিলা সড়কে কুরমাই খালের ওপর সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আড়াআড়ি তিনটি পাকা পিলার। পিলারের ওপর কাঠ ও বাঁশ টেনে দিয়ে মানুষ ঝুঁকিতে পারাপার করছে। লালানগর ইউপি চেয়ারম্যান মীর তৌহিদুল ইসলাম কাঞ্চন বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন তহবিলের ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দের অর্থ দিয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের প্রাক্কলনে গজালিয়া-ফকিরটিলা সড়কের উপর অসম্পূর্ণ সেতু নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তিনটি পিলারেই বরাদ্দের অর্থ ব্যয় হয়ে গেছে। আগামীতে প্রাপ্তিসাপেক্ষে টিআর, কাবিটা কিংবা উন্নয়ন তহবিলের অর্থ বরাদ্দ থেকে সেতুর অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করা হবে।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ দিদারুল আলম জানান, পরিপূর্ণ প্রকল্প ও প্রাক্কলন তৈরি করা হয়েছে। বরাদ্দ অনুপাতে প্রকল্পের কাজ অর্ধ সম্পন্ন করা হয়েছে। বাকি কাজ সম্পন্ন করার জন্য বিশেষ তহবিল থেকে বরাদ্দের চেষ্টা চলছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুর রহমান জানান, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট