চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

চন্দনাইশে সরিষার অঢেল ফলন হলুদে রঙিন শঙ্খের দু’তীর

মো. দেলোয়ার হোসেন ■ চন্দনাইশ

১ মার্চ, ২০২০ | ৩:৩৭ পূর্বাহ্ণ

উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় সরিষার আবাদ হয়েছে। হলুদে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। দেখলে মনে হয়, প্রকৃতি যেন বিছিয়ে দিয়েছে হলুদ গালিচা।
চন্দনাইশের দোহাজারী শঙ্খ নদীর তীরবর্তী এলাকায় চোখে পড়বে প্রকৃতির এই অপরূপ দৃশ্য। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ফসলি জমিতেও সরিষা চাষ করা হয়েছে। প্রকৃতির নির্মল বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে সরিষা ফুলের মাতাল করা ঘ্রাণ। এ দৃশ্য আকৃষ্ট করছে প্রকৃতি প্রেমিদের। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভাল ফলনের আশা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

চন্দনাইশ উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অগ্রহায়ণ থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত সরিষার আবাদ করা যায়। উপজেলার শঙ্খ তীরবর্তী বরকল, বরমা, বৈলতলী, দোহাজরী, ধোপাছড়ি, কাঞ্চননগর, হাশিমপুর ছৈয়দাবাদ এলাকার বিভিন্ন স্থানে ধানি জমিতে বারি-১৪ ও বারি-১৭ জাতের সরিষার আবাদ করেছেন প্রান্তিক কৃষকেরা।

দোহাজারী এলাকার কৃষক জামাল উদ্দিন জানান, এ বছর ২ কানি জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। প্রতি কানি সরিষা আবাদে সার ও কীটনাশকসহ তার খরচ পড়েছে সাড়ে ছয় হাজার টাকা। এছাড়া এ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ৪০-৪৫ জন কৃষক সরিষার আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সব কৃষকরাই সরিষার ভাল ফলন হবে বলে আশা করছেন।
চন্দনাইশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রাণী সরকার বলেন, মূলত চন্দনাইশ কৃষিপ্রধান উপজেলা। এখানে নানান জাতের সবজি আবাদের পাশাপাশি সরিষারও আবাদ হয়। বারি-১৪ ও বারি-১৭ জাতের সরিষা কৃষকের স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি ভোজ্য তেলের ঘাটতি পূরণেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে। মাঠপর্যায়ে কৃষি বিভাগের লোকজনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে-কৃষকদের আবাদকৃত সরিষা ক্ষেতে কোন সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর সরিষার বাম্পার ফলন হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট