ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে দেশে বন্যা দেখা দিয়েছে। দেশের ১২ জেলার লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ডুবে যাওয়া ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছে মানুষ। ত্রাণের জন্য চারদিকে হাহাকার। ফেনী-কুমিল্লা-ফটিকছড়িসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বন্যায় আটকে পড়া মানুষ দুর্বিষহ দিন কাটাচ্ছে। ঠিক এই সময়ে নিত্যপণ্য ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট তৎপর হয়ে উঠেছে। এই সুযোগে পণ্যের সংকটের অযুহাতে জনগণের পকেট কাটছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। হাতিয়ে নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা। এমনকি এসব অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত বৃদ্ধি করে দিয়েছে মুড়ি-চিড়া, গুড়সহ শুকনা খাবারের মূল্যও। অথচ বিভিন্ন গণমাধ্যমের কল্যাণে জানা গেল- যেসব পণ্যে দাম বাড়ানো হয়েছে, বাজারে এসব পণ্যে কোন সংকট নেই। ১ হাজার টাকায় কাঁচামরিচ বিক্রি করলেও নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজারসহ কিছু বাজারে আজ রবিবার কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। শুধু কাঁচামরিচ নয় পেঁয়াজের দামও একলাফে বাড়ানো হয়েছে ১০-১৫ টাকা। বাজারে গিয়ে দেখা গেছে- বর্তমানে নতুন আলু ও পেঁয়াজের সরবরাহে কমতি নেই। সাধারণত ভরা মৌসুমে সরবরাহ বাড়লে বাজারে দাম কমে আসে এমনিতেই।
এখন পেঁয়াজ-আলু-কাঁচামরিচের বাজারে যেটা হচ্ছে সেটা ডাকাতি ছাড়া আর কিছু নয়। আগের আনা কম দামের পেঁয়াজ-আলু এখনো শেষ হয়নি। তার ওপর এখন এসব নিত্যপণ্যের মৌসুম। আসলে ব্যবসার ক্ষেত্রে দেশে সুশাসনের প্রচণ্ড রকম ঘাটতি রয়েছে। অপরাধ করেও পার পেয়ে যাওয়ায় অজুহাত পেলেই বারবার দামের কারসাজি হচ্ছে। আসুন আমরা সবাই মিলে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে আকুল আবেদন প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যে জিম্মি করে আমাদের কষ্টে উপার্জিত টাকা যারা লুটে নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার।
লেখক: মানবাধিকারকর্মী
পূর্বকোণ/এএইচ