উজানে ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা ঢল ও গত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে দেশের ১০ জেলায় হঠাৎ বন্যা দেখা দিয়েছে। গোমতীর বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত। বন্যা পরিস্থিতি দিনকে দিন অবনতির দিকে। এছাড়া কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারেও বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি এবং ভারত থেকে আসা পানিতে ডুবে গেছে মানুষের ঘর-বাড়ি। ভেসে গেছে গবাদিপশু, ঘের ও পুকুরের মাছ। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি, সবজিক্ষেত।
বিদ্যুৎহীন রয়েছে ফেনীসহ কয়েকটি জেলা।যোগাযোগ চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দুর্গত এলাকার মানুষ এখনো আশ্রয় খুঁজে পাচ্ছে না। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির সঙ্কট। পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে মেডিকেল টিম। জীবন যেন দূর্বিসহ হয়ে পড়ছে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই বিষয়ে যতটুকু সহযোগিতা দরকার করছে। কিন্তু এতে এই ভয়াবহ সমস্যা কাটিয়ে তোলা সম্ভব নয়। প্রয়োজন বিভিন্ন সংস্থার আর্থিক সহযোগিতা। সরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সকল কর্মজীবীদের থেকে কমপক্ষে একদিনের বেতন কেটে এই অসহায় মানুষগুলোর সহযোগিতা এখন সময়ের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও অসম্ভব করাই আমাদের প্রয়োজন। এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার জন্য সম্মানিত অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আকুল মিনতি করছি। আমাদের কাজ সাধারণ মানুষদের জন্য। যদি বাঁচতে হয় সবাই মিলে একসাথে বাঁচব। এই আর্তনাদ যে কতটা যন্ত্রণার তা কেবল ভুক্তভোগীরাই বুঝে। কী হবে এত টাকা পয়সা বাড়ি গাড়ি দিয়ে? জীবন বাঁচলে এইসব। বন্যাকবলিত এই মানুষগুলোর চেয়ে আপনার ওপর, আমার ওপর, আমাদের সবার উপর। এই মুহূর্তে আমরাই যেন তাদের সহযোগিতার একমাত্র ভরসা। তাই দেরী না করে এখনই সিদ্ধান্ত নিন আর সঠিক সময়ে এই মানুষগুলোকে খাদ্য, বস্ত্র আর বাসস্থানের ব্যবস্থা করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
পূর্বকোণ/এএইচ