২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ৪:৪৬ অপরাহ্ণ
নিসর্গ নিগার
আমি আগে যেভাবে দৈনন্দিন জীবনযাপন করতাম, এখন সেভাবে করি না। প্রতিনিয়ত মেডিটেশন করার পর আমার মন আর শরীরের সংযোগ অনেক শক্তিশালী হয়েছে। পেরিফেরাল ভিউ পরিষ্কার হয়েছে। মনোযোগ বেড়েছে।
দেখুন আমার লাইফ, যদি আপনার কাজে আসে-
১। আমি আর্ট নিয়ে সময় কাটাতে পছন্দ করি। প্রকৃতির মাঝে বসে থাকতে খুব ভাল লাগে। এর মধ্যেই সব উত্তর থাকে। খেয়াল করবেন আর্কিটেক্টরা রাস্তাঘাট অন্য চোখে দেখে। তাই আগে তাদের প্রতি আমার হিংসা হতো! এই যে বিশাল বিশাল পাঠ্যবই, এগুলো পাতার পর পাতা পড়ার কোন মানেই হয় না। আমি শুধু পাতা উল্টাই আর ছবি দেখি। এত হাবিজাবি টেক্সট পড়ে সময় নষ্ট কেন করবো?
২। প্রোজেক্ট প্রোপোসাল লেখার সময় আগে দিনের পর দিন সময় নিতাম। অনেক রিসার্চ করতে হতো। এখন আমি জানি প্রোপোসালের চেয়েও বড় ব্যাপার হলো আপনি নিজে। আপনার ব্যক্তিত্বর উপর নির্ভর করে তারা আপনাকে ফান্ড দেবে কিনা। তাই আমি অত ব্যুরোক্রেসির মাঝে যাই না। লম্বা ফর্ম ফিলআপ করি না। সরাসরি ইমেইল করে বলি আমি তাদের কিভাবে উপকারে আসতে পারি। বিনিময়ে কোনদিন টাকা চাই না।
৩। আগে ১০-১২ স্লাইডের পিচ ডেক বানাতাম। এখন ভাবি, ইনভেস্টরদের এসব স্লাইডে কিছুই যায় আসে না। তারা আপনাকে দেখবে আর সংখ্যা দেখবে। যদি সংখ্যা না থাকে, তাহলে আপনার সম্ভাবনা দেখবে।
৪। সারাদিন অনেক কল আর টেক্সট আসে। খেয়াল করবেন, দিনে কত বেশি সময় আমরা অযথা কথায় নষ্ট করি। তাই আমি ভয়েস নোট পছন্দ করি। যখন মনে হয় যে এখন শোনার সময় হয়েছে, শুধু তখনই শুনে উত্তর দেই। খুব বেশি জরুরি হলে কল করি। অপ্রয়োজনীয় মিটিং একদম বাদ।
৫। চোখের সামনে থাকা আশেপাশের বিভিন্ন জিনিস থেকে ক্লু নিয়ে মনে মনে পাজল মিলাই। নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করি। এভাবেই বিখ্যাত বিজ্ঞানীরা প্রোডাক্ট বানাতেন। এটাতে ব্রেইন অনেক কার্যকরী হয়ে যায়। স্মৃতিশক্তি এতই প্রখর হয়ে যায় যে ছোটখাটো জিনিসগুলো যেমন টু ডু লিস্ট, রিমাইন্ডার বা ফোন নাম্বার নোটবুকে লিখতেও হয় না।
৬। কারো সাথে কথা বলার সময় তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলি। বলা হয়, চোখের ভেতর পুরো মহাবিশ্ব আছে। পার্থক্যটা নিজেই বুঝবেন যখন এরপর থেকে কারো সাথে কথা বলার সময় আশেপাশে বা তার শরীরের দিকে না তাকিয়ে চোখে চোখ রেখে কথা বলবেন। এতে সম্পর্কগুলো খুব সুন্দর আর গভীর হয়। যার তার আলাপ করে সময় নষ্ট হয় না।
কোনটা কাজে আসলো?
লেখক : জার্মানি থেকে
পূর্বকোণ/এসি