চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

কৃষিবিদ দিবসের তাৎপর্য

ড. মো. জামাল উদ্দিন

১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ২:৪০ অপরাহ্ণ

‘বঙ্গবন্ধুর অবদান, কৃষিবিদ ক্লাস ওয়ান’। বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্ন পূরণের অভিযাত্রায় স্মার্ট কৃষিতে বাংলাদেশকে সামনে রেখে ১৩ ফেব্রুয়ারি পালিত হচ্ছে কৃষিবিদ দিবস। ১৯৭৩ সালের এ দিনে কৃষিবিদদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময় প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার মর্যাদা দেওয়ার ঘোষণা দেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যা এদেশের কৃষি, কৃষক ও কৃষিবিদের জন্য ছিল ঐতিহাসিক মাইলফলক।

 

এসময় বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদদের উদ্দেশ্যে দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, ‘আমি তোদের পদমর্যাদা দিলাম, তোরা আমার মান রাখিস।’ সে সময় থেকে কৃষিবিদরা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের কৃষি এখন রোল মডেল। এ ঘোষণার মধ্যদিয়ে দেশের অধিকতর মেধাবী শিক্ষার্থীরা কৃষি শিক্ষায় আগ্রহী হয়ে উঠে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে সরকার কৃষিবান্ধব নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি কৃষিবিদ দিবস হিসেবে পালিত হয়। চট্টগ্রামসহ দেশের প্রায় প্রতিটি জেলার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন দিনটিকে বেশ মর্যাদার সাথে পালন করে থাকে। এ দিবসটি পালনের মধ্য দিয়ে কৃষিবিদগণ অনুপ্রাণিত হয়। তাদের মধ্যে এক ধরনের অনুভূতির সৃষ্টি হয় যাতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তব রূপ লাভ করে।

 

কৃষিই বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতির প্রাণ। অনাদিকাল থেকে এদেশের মানুষ খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানসহ মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য কৃষির ওপর নির্ভরশীল। দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে স্বাধীনতাত্তোরকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি শিক্ষা, গবেষণা, সম্প্রসারণ ও কৃষির উপকরণ বিতরণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তিনি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে কৃষির উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। জাতির পিতার প্রদর্শিত পথেই বর্তমান সরকার কৃষির সার্বিক উন্নয়নে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে দেশ দানাদার খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। পাশাপাশি শাক-সবজি ও ফলমূলসহ মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ইত্যাদির ব্যাপক উৎপাদন জাতীয় পর্যায়ে দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সার্বিকভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখার সুবাদে কৃষিবিদরা এ দেশে আজ এক মর্যাদাবান পেশাজীবী হিসেবে স্বীকৃত। কৃষি বিজ্ঞানীদের গবেষণায় ফসলের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের ফলে দেশ আজ খাদ্য উৎপাদনে বেশ অগ্রগামী। কৃষিবিদদের অবদানের কারণে চট্টগ্রামের কৃষি আজ উন্নতির শিখরে।

 

লেখক : প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা,
আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বারি
হাটহাজারী, চট্টগ্রাম

 

পূর্বকোণ/জেইউ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট