চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা, বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত?

১১ অক্টোবর, ২০২২ | ৪:০১ অপরাহ্ণ

পাঁচটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যথা—জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) প্রধানরা সম্প্রতি এক যৌথ সতর্কবার্তায় বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা, খাদ্যের উৎপাদন হ্রাস, পরিবহন ব্যবস্থায় বিঘ্নসহ নানা কারণে আগামীতে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট আরো তীব্র হবে। এর প্রভাবে বিশ্বব্যাপী খাদ্যনিরাপত্তাহীন মানুষের সংখ্যা আরো বাড়তে থাকবে। এতে মানুষের মধ্যে পুষ্টির সংকট প্রকট হবে, যা বিশ্বের একটি অংশকে মহামারীর দিকে নিয়ে যাবে।

এমন সম্ভাব্য দুর্যোগময় পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে তারা চার দফা সুপারিশ করেছেন। এগুলো হলো উৎপাদন ও বাণিজ্য বাড়াতে সহায়তা, স্বচ্ছতার উন্নয়ন, উদ্ভাবন এবং যৌথ পরিকল্পনা নিশ্চিত এবং খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরে বিনিয়োগ বাড়ানো। এর আগে গত জুলাইয়ের শেষদিকে ডব্লিউএফপি জানিয়েছিল, করোনা মহামারী, সংঘর্ষ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০১৯ সালের পর বিশ্বজুড়ে তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি বেড়ে সাড়ে ৩৪ কোটি ছাড়িয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, করোনা মহামারী শুরুর আগে তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় ভোগা মানুষের সংখ্যা ছিল সাড়ে ১৩ কোটি। এরপর এ সংখ্যা আরো বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও সংঘর্ষের ফলে এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে।
পরিবেশগত সমস্যার প্রভাবে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা খাদ্য ঘাটতি আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে।

এদিকে ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইনস কাউন্সিলের (আইজিসি) এক সাম্প্রতিক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্যের মজুদ আশঙ্কাজনক হারে কমে এক দশকের সর্বনিম্নে নামার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এসব পণ্যের সরবরাহ তলানিতে নেমে যাওয়ার পাশাপাশি প্রধান দেশগুলোয় উৎপাদন প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কমছে (বণিক বার্তা, ২৮ সেপ্টেম্বর)।

এখন প্রশ্ন হলো, খাদ্যাভাবে যখন বিশ্বে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে, তখন এর প্রভাব থেকে যথাসম্ভব রেহাই পেতে আমরা কতটা প্রস্তুত? বিশ্বজুড়ে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে—এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে সবাইকে মিতব্যয়ী হতে এবং খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের পরপরই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ। সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করা হচ্ছে। আজ বিশ্বে একটা দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি আমরা দেখতে পাচ্ছি, এর প্রভাব থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে। তাই এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। যার পক্ষে যা সম্ভব, তা-ই যেন উৎপাদন করে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন, এখন থেকে আমাদের সবাইকে কৃচ্ছ্র সাধন, সঞ্চয় এবং কোনো কিছুতেই আমরা যেন অতিরিক্ত ব্যয় না করি। আর নিজেদের খাদ্য উৎপাদনে সবসময় যেন স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকতে পারি সে ব্যবস্থাও আমাদের নিতে হবে। ১ সেপ্টেম্বর ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত থেকে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ সতর্কবার্তা দেন।

এ যখন অবস্থা, তখন দেশে প্রধান খাদ্য চাল ও খাদ্য তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা গমের উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। সরকারি তথ্য মোতাবেক, ২০০৯-১০ অর্থবছরে কৃষি খাতের (শস্য উপখাত, প্রাণিসম্পদ ও মত্স্য উপখাত এবং বন উপখাত নিয়ে গঠিত) ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩ দশমিক ১৭ শতাংশে নেমে আসে। কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধির হার তলানিতে নেমে আসার প্রভাব পড়ে চাল ও গমের উৎপাদনের ওপর। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ও অন্যান্য রিপোর্টে দেখা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছর বাদ দিলে ২০১৬-১৭ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত চাল উৎপাদনে প্রবৃদ্ধির হার নেতিবাচক থেকে ১ দশমিক ৩০ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির (২০২০ সালে ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ) চেয়ে কম হারে বাড়ে খাদ্যশস্যের উৎপাদন। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিগত পাঁচ বছরে দেশে যখন জনসংখ্যা বেড়েছে ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ, তখন খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়েছে ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ। দেশের বেশির ভাগ মানুষের প্রধান খাদ্য মোটা চালের দাম অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে।

সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রপত্রিকায় সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এবার বোরো ও আউশ ফসলের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। বোরো মৌসুমে হাওরাঞ্চলে তিন দফা বন্যার কারণে বিপুল পরিমাণ ধানের ক্ষতি হয়। জুনে উপকূল ও উত্তরাঞ্চলে হঠাৎ অতিবৃষ্টির কারণেও মাঠে পাকা ফসল নষ্ট হয়। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের হিসাবে, বোরোয় লক্ষ্যমাত্রার (২ কোটি ৯ লাখ টন) চেয়ে ১৩ লাখ টন ধান কম হয়েছে। আউশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৭ লাখ টন। উৎপাদন হয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার টন। এবার দীর্ঘ খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে আমনের ফলন ১০-১৫ শতাংশ কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন অভিজ্ঞজনরা।

আর খাদ্যশস্যের দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা গমের চাহিদা ক্রমেই বেড়ে চললেও এর উৎপাদন নব্বইয়ের দশকের শেষদিকের তুলনায় অনেক কমেছে। সরকারি তথ্য মোতাবেক ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে দেশে গমের উৎপাদন হয়েছিল ১৯ লাখ ৮ হাজার টন। এটি এ পর্যন্ত দেশে গমের সর্বোচ্চ উৎপাদন। এর পর থেকে গমের উৎপাদন কমতে থাকে। বিবিএসের সাময়িক হিসাবে ২০২০-২১ অর্থবছরে পণ্যটির উৎপাদন দাঁড়ায় ১০ লাখ ৮৫ হাজার টনে। সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে দেশে গম উৎপাদনের পরিমাণ সরকারিভাবে প্রকাশ না করা হলেও অন্য এক সূত্রে পাওয়া তথ্য মোতাবেক, গমের উৎপাদন দাঁড়াবে ১১ লাখ ৬৭ হাজার টনে। গমের এ উৎপাদন দেশের চাহিদার (কমবেশি ৭০ লাখ টন) ছয় ভাগের এক ভাগ। অর্থাৎ গমের ক্ষেত্রে দেশ প্রায় পুরোটাই আমদানিনির্ভর।

সরকারি তথ্যে জানা যায়, দেশে বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদা ২৪ লাখ টন। এর মধ্যে তিন থেকে চার লাখ টন দেশে উৎপাদিত হয়। চিনির চাহিদা কমবেশি ২০ লাখ টন। দেশে কোনো বেসরকারি চিনিকল না থাকায় শুধু সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের মিলগুলোয় বছরে এক লাখ টনের কম চিনি উৎপাদিত হয়। দুধ ও ডিমের উৎপাদন বাড়লেও তা দেশের চাহিদার তুলনায় কম। ডিমের দাম অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলায় মধ্যবিত্ত পরিবারকেও ডিম কেনা না কেনা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে।

গরিবের আমিষ বলে পরিচিত ডালের বার্ষিক চাহিদা যখন বছরে ২৬ লাখ টনের কিছু বেশি, তখন মসুর, মুগ, ছোলাসহ বিভিন্ন জাতের ডালের বার্ষিক উৎপাদন ৯-১০ লাখ টন। দেশে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ বিভিন্ন মসলাজাতীয় খাদ্যপণ্যের উৎপাদন কম। বিপুল পরিমাণ দুষ্প্রাপ্য বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে আমদানির মাধ্যমে উপর্যুক্ত খাদ্যপণ্যগুলোর চাহিদা মেটাতে হয়।

উপর্যুক্ত পাঁচটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা সম্ভাব্য বৈশ্বিক খাদ্য সংকট মোকাবেলায় যে চারটি সুপারিশ করেছেন সেগুলোর প্রথমটি হলো উৎপাদন ও বাণিজ্য বাড়াতে সহায়তা করা। বলা হয়েছে, পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, খাদ্যনিরাপত্তা ও পুষ্টিমানের উন্নতি করতে পারে। প্রধান দেশগুলোয় খাদ্যশস্যের উৎপাদন প্রত্যাশার চেয়ে কমে যাওয়ায় বৈশ্বিক উৎপাদনে যে নিম্নমুখিতা দেখা দিয়েছে তা রোধ করার ওপর জোর দেয়া হয়েছে সতর্কবার্তায়।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের যা করণীয় তা হলো, জমিস্বল্পতার কারণে আমাদের খাদ্যশস্যের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিতে হবে। পাশের দেশ ভারতের তুলনায় আমাদের দেশে খাদ্যশস্যের একরপ্রতি উৎপাদন কম। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে চালের হেক্টরপ্রতি উৎপাদন বর্তমানের (হেক্টরপ্রতি চার টন) চেয়ে দ্বিগুণের বেশি বাড়ানোর কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী। এ লক্ষ্য অর্জনে সফল হতে হবে। উৎপাদন বাড়াতে কৃষিজমির অকৃষি খাতে ব্যবহার যথাসম্ভব বন্ধ করতে হবে।

মনে রাখতে হবে, দেশে মাথাপিছু মোট ক্যালরির প্রায় ৭০ শতাংশ আসে চাল তথা ভাত থেকে। অতিদরিদ্র্য, দরিদ্র্য ও নিম্নবিত্তের মানুষ দুই বেলা পেট ভরে ভাত খেতে পারলে তাদের পুষ্টি সমস্যা অনেকটা কমে যাবে। সতর্কবার্তায় দ্বিতীয় যে বিষয়টির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে সেটি হলো স্বচ্ছতার উন্নয়ন। সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবেলায় ফুড মার্কেট মনিটরিংয়ের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, খাদ্যের মূল্য ও প্রাপ্তি যথাযথ মনিটরিংয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক খাদ্যবাজারে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে এবং এজন্য সরকারগুলো সঠিক তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করবে। বাংলাদেশকে এ আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালনে যে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে তা হলো খাদ্যশস্য উৎপাদনে তথ্য বিভ্রাট পরিহার করা।

আমরা দেখেছি, যে পরিমাণ চাল উৎপাদনের কথা কৃষি মন্ত্রণালয় বা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলেছে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে তার পরিমাণ অনেক কমে দাঁড়িয়েছে। এতে বিপদে পড়েছে খাদ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং বিভ্রান্ত হয়েছে নীতিনির্ধারক ও পরিকল্পনাবিদরা। তৃতীয় যে বিষয়ে জোর দেয়া হয়েছে তা হলো কৃষি গবেষণা ও উন্নয়ন। বর্তমান বিশ্বে কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগের পরিমাণ মোটেই উৎসাহব্যঞ্জক নয়। বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ সর্বোত্তম তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে এফএও এবং কনসোর্টিয়াম অব ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্স সেন্টার্সকে আরো সক্রিয় হতে হবে। দেশে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিনিয়োগ যথেষ্ট পরিমাণে বাড়াতে হবে।

বিশ্বাস করতে হবে, কৃষি খাতের বিনিয়োগ শিল্প-বাণিজ্য খাতের বিনিয়োগের চেয়ে কম লাভবান নয়। চতুর্থ বিষয়টি হলো দুর্যোগ যথা সংঘাত, চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া, অর্থনৈতিক মন্দা প্রভৃতি মোকাবেলায় খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা। এটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহের ক্ষেত্রে যেমন জরুরি, জাতীয় ক্ষেত্রেও তেমনি।

সবশেষে বলতে চাই, দুর্ভিক্ষের সম্ভাব্য কালো থাবা থেকে যথাসম্ভব রেহাই পেতে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে। আইজিসি আগেও বলেছে এবং আবারো বলেছে, ২০২২-২৩ বছরে বিশ্বে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ও মজুদ হ্রাস পাবে। তাই স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপ যেমন প্রয়োজন তেমনি খাদ্যপণ্য আমদানি ত্বরান্বিত ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করতে হবে, অন্যদিকে দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ হিসাবে কৃষিজমির অকৃষি খাতে স্থানান্তর যথাসম্ভব বন্ধ এবং খাদ্যপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে হাতে নেয়া কর্মসূচিগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করতে হবে।

মো. আবদুল লতিফ মন্ডল: সাবেক খাদ্যসচিব

পূর্বকোণ/মামুন/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট