চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য সাহিত্যিকের জরুরি ৯ পরামর্শ

৪ এপ্রিল, ২০২১ | ৫:৩৯ অপরাহ্ণ

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জরুরি ৯ পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তি স্বাস্থ্য সাহিত্যিক অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী। তাঁর দাবি, এ পরামর্শসমূহ মানলে মোকাবেলা করা সম্ভব অতিমারি করোনাকে।

 

যেসব পরামর্শ দিয়েছেন তিনি

১. বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে সেবা এবং পরিচর্যার ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালসমূহকেও জড়িত করা উচিত।

 

২. দেশের নানা শহরে আইসিইউ সেবা চালু করুন। ঢাকার উপর চাপ বাড়ছে, সেবা বিকেন্দ্রীকরণ প্রয়োজন জরুরি ভাবে।

 

৩. ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করে পাইপ লাইনে অক্সিজেন সরবরাহ চালু করুন। আইসিইউ স্বল্প মেয়াদী প্রশিক্ষণ চালু করুন, এটি বিশেষায়িত সেবা।

 

৪. আমার ধারনা ভুল হলে ক্ষমা করবেন আমার মনে হয় কিছুদিনের জন্য লক ডাউন বা কারফিউ/লোক চলাচল সীমিত/ আর সব ধরনের ঘরে আর বাহিরে জন সমাবেশ নিষিদ্ধ না করলে দেশে ভয়াবহ সংক্রমণ হতে পারে। সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী এবারের দ্বিতীয় ঢেউ অন্য রকম। এবারে নতুন নতুন প্রজাতির অনুপ্রবেশে সংক্রমণ বাড়বে জ্যামিতিক হারে আর মৃত্যু বাড়বে। হাসপাতাল অসম্ভব চাপে পড়বে, ডাক্তার নার্স স্বাস্থ্যকর্মী সংকট হবে, হাসপাতাল বেড আর যন্ত্রপাতি সংকট হবে। এবারে সংক্রমণে ক্লিনিকেল গতি পথ অন্যরকম, হঠাৎ প্রচণ্ড হাড়ের গিঁটে ব্যথা দু’তিন দিনের মধ্যে শোচনীয় পরিস্থিতি ফুস্ফুসে নিউমোনিয়া আর অনেক সময় আইসিইউ সাপোর্ট। অনেকে আই সিইউ নাও পেতে পারেন, রোগী বাড়লে ।

 

৫. এবারে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। সমাবেশ করছেন, মাস্ক না পরে, তাই এদেরকে বাধ্য করতে হবে কঠোর হাতে। আমাদের দেশে সামরিক বাহিনীর সাহায্য নিলে সংকট উত্তরণ সম্ভব। অতীতে এর অনেক প্রমাণ আছে। মানুষ খাকি পোশাক ভয় পায়।

 

৬. এখনও সন্ধ্যা ৬ টার পর কাঁচা বাজার আর ফার্মেসি ছাড়া সব বন্ধ করা উচিত। চট্টগ্রামে তা হয়েছে। সরকার অফিসে জনবল কমাতে বলছেন, কিন্তু হচ্ছেনা। আর এখন হওয়া উচিত যেখানে সম্ভব, সব অফিস ওয়ার্ক ফ্রম হোম আর লার্নিং ফ্রম হোম। সব টেস্ট আর পরীক্ষা আপাতত স্থগিত।

 

৭. মানুষের কম যাতে বেরুতে হয় এরে ব্যবস্থা করতে হবে । যাদের রুটি রুজির জন্য অবশ্য বেরুতে হয় বা জরুরি কাজে বেরুতে হয় তারা ছাড়া অনর্থক ঘোরা, মলে বেড়ানো অতিরিক্ত অনাবশ্যক বাজার আর বেড়ানো বন্ধ করা উচিত। রেস্তোরা শপিং মল বন্ধ করা উচিত।

 

৮. আর ‘কি করব, কবে করব, দেখি’ এমন দ্বিধায় পড়ে দেরি করলে খারাপ কিছু হলে বিরুপ সমালোচনা আর দোষারোপ করবে তারা যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। ভেবে দেখুন। স্বাস্থ্য বিভাগের উপরের অনেকেই আক্রান্ত, সিনিয়র-জুনিয়র অনেক ডাক্তার আক্রান্ত। ভেবে দেখুন, ভাবার জন্য লিখলাম। যারা এখন বলে সরকার কেন কঠিন হবে এরাই পরে সমালোচনা করবে, ‘কেন আমরা বললেই শুনতে হবে, কেন কঠোর হলনা।
সরকার ধীরে ধীরে কঠোর হচ্ছেন সেজন্য অভিনন্দন ।

 

৯. কিন্তু আরও দ্রুত হতে হবে অনেক সময় মানুষ বেশি সংবেদনশীল আর কোমল হলে দুর্বল ভাবে।

পূর্বকোণ/মামুন

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট