চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

স্মৃতিতে অমলিন কবি আল মাহমুদ

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ | ১:৩৯ অপরাহ্ণ

২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার কবি আল মাহমুদ ইন্তেকাল করেছেন। আল মাহমুদও তার এক কবিতায় শুক্রবার তাঁর মৃত্যু চেয়েছিলেন; “কোনো এক ভোরবেলা, রাত্রিশেষে শুভ শুক্রবারে/মৃত্যুর ফেরেস্তা এসে যদি দেয় যাওয়ার তাগিদ;/অপ্রস্তুত এলোমেলো এ গৃহের আলো অন্ধকারে/ভালোমন্দ যা ঘটুক মেনে নেবো এ আমার ঈদ।” তাঁর এ ইচ্ছা পূরণ করেছেন ইহলোক ও পরলোকের মালিক। তিনি তাঁর জীবনকালে দেশ ও জাতিকে যা দিয়ে গেছেন তা দেশ ও জাতিকে সমৃদ্ধ করেছে। আল মাহমুদ কবি হিসেবে সবসময় মানুষের মাঝে থাকবেন। তাঁর সৃষ্টি শেষ হয়ে যাবে না। তিনি বলেছেন, “যেদিন আমি কবরে প্রবেশ করলাম, সেইদিন থেকে শুরু হলো আমার আরেক জগৎ; আমি শেষ হয়ে যাব না।”

আল মাহমুদের মৃত্যুর আগে অনেকে তাঁকে সেরা কবি বলে স্বীকার করতে ইতস্তত করেছেন। কারণ পরিণত বয়সে তিনি তাঁর সাবেক রাজনৈতিক আদর্শ পরিত্যাগ করে ধর্মানুসারী হয়েছিলেন। আসলে একজন কবির আদর্শ কী? ধর্ম বা রাজনৈতিক মতবাদ? আমি বিশ্বাস করি, কবিতাই একজন কবির আদর্শ। আমেরিকান কবি এজরা পাউন্ড দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মুসোলিনীর ফ্যাসিবাদে বিশ্বাস করতেন। মুসোলিনীর সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন এবং মুসোলিনীর আদর্শ গ্রহণ করে তাঁর পিতৃভূমি আমেরিকার বিরুদ্ধে সরব ভূমিকা পালন করেছেন ইটালিতে অবস্থান করে। যুক্তরাষ্ট্রের সম্পূর্ণ বৈরী ছিলেন তিনি। এজন্য এজরা পাউন্ডকে চরম মূল্যও দিতে হয়েছে। কিন্তু এজরা পাউন্ডের কবিত্ব কী নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে? আল মাহমুদ বামপন্থী ছিলেন এবং একটি পর্যায়ে নামাজ পড়তে শুরু করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। দেশ ও জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। আর কী করা প্রয়োজন ছিল তাঁর? কবি নজরুল কত শ্যামা সঙ্গীত লিখেছেন। ইসলামী সঙ্গীত রচনা করেছেন। জীবনের কোনো পর্যায়েই সেই অর্থে ধর্ম চর্চা করেননি। দেশ দখলকারী বৃটিশ রাজশক্তির পক্ষে যুদ্ধ করেছেন। অথচ জীবদ্দশায় তিনি আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন মৃত্যুর পর যাতে মসজিদের পাশে কবরস্থ করা হয়। শুধু কবি নজরুল বা আল মাহমুদ নন; এমনকি যারা নাস্তিক কবি হিসেবে বিবেচিত, তারাও শেষ পর্যন্ত বলে গেছেন “প্রেম হচ্ছে ইশ্বর”। আরবি ভাষায় একটি প্রবাদ আছে, “কুল্লূ শাইয়েন ইয়ারযেউ ইলা আসলিহি” (প্রত্যেক জিনিসই শেষ পর্যন্ত তার মূলের দিকে ফিরে আসে)। সকলের ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য।

আল মাহমুদ যখন বামপন্থী ছিলেন, ধর্মচর্চা করতেন না; তখন কী তিনি খুব সমাদরে ছিলেন? না, ছিলেন না। তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। তিনি যে দৈনিক পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন সেটি বিলুপ্তির শিকার হয়েছিল। সেটি ছিল স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সরকার বিরোধী একমাত্র সংবাদপত্র দৈনিক গণকন্ঠ। ওই সময়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া সংবাদপত্রগুলোর শতশত সাংবাদিক-কর্মচারি বেকার হয়ে পড়েন। বেকার সাংবাদিকদের আন্দোলনের মুখে সরকার বিভিন্ন সরকারি, বিধিবদ্ধ সরকারি প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রায়ত্ত্ব কর্পোরেশনে বেশ কিছু সাংবাদিকের চাকুরির ব্যবস্থা করে। আল মাহমুদকে দেয়া হয় শিল্পকলা একাডেমীর সহকারী পরিচালকের একটি পদ। একটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক সরকারি চাকুরি কাঠামোর একেবারে প্রারম্ভিক পর্যায়ে নিয়োগ পান। কোনো উপায় ছিল না তাঁর। অনেকগুলো সন্তানসহ একটি বড় পরিবার কিভাবে শামাল দেবেন?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে ১৯৭৬ বা ’৭৭ সাল থেকে আমি কবি আল মাহমুদের সঙ্গে পরিচিত। তিনি তখন শিল্পকলা একাডেমীর সহকারী পরিচালক। প্রথম সাক্ষাতেই তাঁর সাথে ঘনিষ্ট হয়ে উঠি এবং বলেই ফেলি যে, ‘এতো ছোট একটা চাকুরি না নিলেই কী ভালো হতো না?’ যখন ঢাকায় আসিনি তখন মফস্বল শহরে ‘গণকন্ঠ’ পড়তাম, আমার কাছে একজন সম্পাদক ও তাঁর অবস্থান ও মর্যাদা দেবতূল্য। তার ওপর তিনি একজন কবি। বেশ কম বয়সে, স্কুলের শেষ দিকে থাকতে তাঁর কবিতার বই ‘লোক লোকান্তর’ পড়েই মুগ্ধ হই। আমার প্রশ্নে তিনি বিব্রত হন না। স্মিত হেসে মাথা নেড়ে বলেন, “মঞ্জু মিয়া, আমিও নিজেকে তাই ভাবতাম। কর্ম জীবনের শুরু থেকে সাংবাদিকতাই করেছি।

একজন সাংবাদিকের সম্পাদক হওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকে। যে কোনো পেশায় প্রত্যেকের স্বপ্ন থাকে শীর্ষ পদটিতে যাওয়ার। কিন্তু সে আকাঙ্ক্ষা পূরণ হওয়া খুব সহজ নয়। আমি সেই পদ অলঙ্কৃত করার সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু পরিবারকে অসহায় অবস্থার মধ্যে ফেলে যদি কারাগারে কাটাতে হয়, কারাগার থেকে বের হয়ে যদি তুমি দেখতে পাও, যে চাকুরিটি করতে তা আর নেই। কী করবে তুমি?” তাঁর কথাই হয়তো সত্যি। তবুও আমার মেনে নিতে কষ্ট হয়েছিল। যাই হোক, পরবর্তীতে আমার সেই মুগ্ধতা তাঁর প্রতি ভক্তিতে পরিণত হয়। প্রথম সাক্ষাতের পর কালেভদ্রে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত হতো। কিন্তু যখনই হতো, তখন আন্তরিকতার সাথে কুশল জানতে চাইতেন। শিল্পকলা একাডেমীর পরিচালক হিসেবে তিনি অবসর নেন।

১৯৮৭ সাল থেকে আল মাহমুদের সঙ্গে নিয়মিত সাক্ষাত ঘটতে থাকে আমার সম্পাদনায় মাসিক নতুন ঢাকা ডাইজেস্ট প্রকাশিত হওয়ার পর। ম্যাগাজিনের প্রথম সংখ্যায় প্রকাশিত হয় তার ছোটগল্প “তৃষিত জলধি”। এরপর ঢাকা ডাইজেস্টে তার কবিতা, গল্প, ভ্রমণ কাহিনী এবং একটি উপন্যাস “উপমহাদেশ” প্রকাশিত হয়েছে। আল মাহমুদের কাছ থেকে লেখা আদায় করা কঠিন কাজ ছিল। এ নিয়ে অনেক সময় তাঁর ওপর রাগও করেছি। কিন্তু তিনি কখনো রাগ করতেন না। তার মুখের হাসি কখনো অমলিন হয়ে যেতো না। লেখা আদায়ের অভিজ্ঞতার ওপর কিছুদিন আগে আমি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, তা এখানে তুলে ধরছি:

“আল মাহমুদ এর কাছ থেকে লেখা আদায় করা সাধনার মতই ছিল। তার লেখা হাতে পাওয়া মানে সেই সাধনায় সিদ্ধি লাভ। মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতনের মত অবস্থা। এই সিদ্ধি লাভ করতে গিয়ে মাসুমুর রহমান খলিলি, বুলবুল সরওয়ারসহ নতুন ঢাকা ডাইজেস্টের একাধিক কর্মীর কলকে ফাটার উপক্রম হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত ডাইজেস্টের নতুন সংখ্যা তার লেখা সমৃদ্ধ হয়েই প্রকাশিত হত। ডাইজেস্টে তিনি তাঁর সব ধরনের লেখা দিয়েছেন। কবিতা, গল্প, হজ্বের অভিজ্ঞতা এবং উপন্যাস। চার-পাঁচজন সাংবাদিক মিলে তার দীর্ঘ সাক্ষাতকারও নিয়েছি ঢাকা ডাইজেস্টে। সেই সাক্ষাতকার দিয়ে তাঁর ওপর কভার ষ্টোরি করেছি।

আল মাহমুদ যখন তাঁর মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস ‘উপমহাদেশ’ ধারাবাহিকভাবে নতুন ঢাকা ডাইজেস্টে লেখার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন, আমরা ডাইজেস্ট পরিবারের সদস্যরা উচ্ছ্বসিত হয়েছিলাম। তাঁর হাতে এডভান্সও গুঁজে দিয়েছিলাম। প্রথম প্রথম কয়েক সংখ্যার জন্য নিয়মিই লিখলেন। এরপর তাঁর বাসায় গিয়ে ধর্ণা দিতে হয়। বাসা থেকে ধরে অফিসে এনে আটকে রাখতে হয়। খাওয়ার ব্যবস্থা করি, সিগারেট কিনে আনি। কিন্তু এক বসায় লেখা শেষ করেন না। কখনো অর্ধেক পৃষ্ঠা লিখেন, লোকজন এলে আড্ডায় মেতে উঠেন। হঠাৎ উঠে বলেন, ‘আজ ছেড়ে দাও, কাল সকালে লেখা শেষ করে তোমাকে দিয়ে যাব।’ অনেক সময় বলেন, ‘এখন আমার সাথে দোকানে চলো। তোমার ভাবী কী কী বলে দিয়েছে, কিনতে হবে।’ তাঁর সাথে দোকানে যাই, চাল, ডাল, তেল, আরও টুকটাক জিনিস নেন। দাম চুকিয়ে জিনিসগুলো রিকশায় তুলে রিকশাওয়ালার হাতে ভাড়াও দিয়ে দেই। আল মাহমুদের জন্য এসব করতে ভালই লাগত। কিন্তু লেখা যথাসময়ে না দেয়ার বিরক্তিও ঝাড়তাম উনার ওপর।

‘উপমহাদেশ’ যখন একেবারেই শেষ দিকে; হয়ত আর আট-দশ সংখ্যায় ছাপা হলেই শেষ হবে, তখন তার কাছ থেকে লেখা আদায় করা ক্রমেই কঠিন হতে লাগল। তিনি বলেন, ‘আজ আর কাউকে আসতে হবে না। শরীফকে (উনার বড় ছেলে) দিয়ে লেখা পাঠিয়ে দেব; ইত্যাদি প্রতিশ্রুতির পর এক সংখ্যায় তিনি লেখা দিতে পারলেন না। বললেন, ‘এ সংখ্যায় বাদ দাও, নানা ঝামেলার মধ্যে আছি। পরে বলব।’ মেজাজ খারাপ করলাম। লাভ কী! ডাইজেস্ট ছাপায় বিলম্ব হলো। এজেন্টদের অভিযোগ। ততদিনে ‘উপমহাদেশ’ পড়তে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন অনেক পাঠক। তারা পরবর্তী সংখ্যার জন্য অপেক্ষা করতেন। ঢাকা শহরের বহু পাঠক সরাসরি অফিসে এসে জানতে চাইতেন, এ সংখ্যায় ‘উপমহাদেশ’ নেই কেন? মফস্বলের পাঠকরা চিঠি লিখে তাদের উষ্মা ও বিরক্তি প্রকাশ করতেন। আল মাহমুদকে তাঁর ভক্তদের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানাই। তিনি বলেন, ‘এমন আর হবে না’। যদিও হেসে হেসে বলেন, কিন্তু প্রতিবার লেখা আদায় করার প্রচেষ্টা প্রাণান্তকর। যখনই তিনি তাঁর প্রয়োজনের কথা বলেন, তা পূরণ করতে কার্পণ্য করি না। তিনি কখনও দাবি করেন না। বিনয়ের সাথে বলেন। ‘উপমহাদেশ’ যখন একেবারেই শেষ পর্যায়ে। হয়ত আর চার-পাঁচ সংখ্যায় শেষ হয়ে যাবে, তখন তিনি লেখা দিতে অনিয়মিত হয়ে গেলেন। পাঠকদের অভিযোগের কী জবাব দেই, কিভাবে তাদের শান্ত করি? একদিন ফোন করলাম আল মাহমুদকে। কঠোরভাবেই বললাম, ‘নতুন ঢাকা ডাইজেস্ট’ এ খ্যাতিমান কারও লেখা ছাপি না। কারণ কাউকে তেল দেয়ার সাধ্য ও সময় আমাদের নেই। আপনার লেখা ছাড়াই দেশের সব সেরা পত্রপত্রিকা চলে। আমাদের ক্ষুদ্র মাসিকটিও চলবে। মাঝখান থেকে বিপদে ফেলে দিয়েছেন। আমি আর আপনার কাছে লেখা চেয়ে নেব না।’

পর পর দুই সংখ্যায় ‘উপমহাদেশ’ ছাপা হলো না। কেউ অভিযোগ করলে বলি, ‘কবির কাছেই জিজ্ঞাসা করুন।’ তার টেলিফোন নম্বর দিয়ে দেই। এ পরিস্থিতির মধ্যে একদিন ফোন করলেন তখনকার সচিব শাহ আবদুল হান্নান। সম্ভবত তিনি তখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং ডিভিশনের সচিব। তিনি বললেন যে, ‘উপমহাদেশ’ তিনি নিয়মিত পড়েন। ডাইজেস্টে লেখা না পেয়ে আল মাহমুদকে ফোন করেছেন। আল মাহমুদ তাকে বলেছেন, ‘মঞ্জু আমার উপর রাগ করেছে।’ সেজন্য শাহ হান্নান আমাকে ফোন করেছেন। তিনি বললেন, ‘কবিদের এটুকু মানতে হবে। উনার সাথে আমার কথা হয়েছে। লেখা দিতে আর বিলম্ব করবেন না। একটা ভাল কাজ হচ্ছে। শেষ কর। উনার উপর রাগ করো না। বিরাট সংসার তার। সংসার চালাতে তাকে হিমশিম খেতে হয়। এরপরও যে লিখেন, সেটাই তো দেশের মানুষের জন্য অনেক। তাকে যদি আরও কিছু টাকা দিতে হয়, আমার কাছ থেকে নিয়ে উনাকে দিয়ো। আমি সরাসরি দিলে তাঁর ইগোতে লাগতে পারে।’ শাহ হান্নানের কথায় আবার আল মাহমুদের কাছে ধর্ণা দেই। অফিসে ধরে আনি। বাসায় কাউকে বসিয়ে রাখি। এভাবে শেষ হয় তাঁর ‘উপমহাদেশ’।”

দেশে দেশে অনেক কবিকে শুধু তাদের কবিতার কারণে হয় সরকার অথবা অন্য কোন পক্ষের রোষের শিকারে পরিণত হতে হয়েছে। কোনো কোনো কবির ভাগ্যে কারাবাসও জুটেছে কবিতা লিখে। আল মাহমুদও কবিতা লিখে অনেক সময় বিপাকে পড়েছেন। এমনি একটি কবিতা ছিল “কদর রাত্রির প্রার্থনা”। কবিতাটিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই সময়ের অরাজকতাময় পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরেছিলেন তিনি। ভাইস চ্যান্সেলর থেকে শুরু করে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন কবির বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। হুমকি দেয়া হয়। কিন্তু তিনি অটল ছিলেন। বাংলাদেশের অনেক মেরুদন্ডহীন কবি-লেখকের মতো নিজের কবিতা প্রত্যাহার করে নেননি।
কবি আল মাহমুদের সাথে আমার অনেক স্মৃতি । একটি লেখায় সব তুলে ধরা সম্ভব নয়। তাঁর জীবনাবসানে আমি দুঃখ ভারাক্রান্ত নই। পরিণত এবং পরিপূর্ণ জীবনেই তিনি সুফীদের ভাষায় তাঁর “প্রেমিকের সান্নিধ্যে চলে গেছেন।” তাঁর প্রেমিক তাঁকে অনন্ত সুখে রাখুন এই কামনা করি।

লেখক: উপদেষ্টা সম্পাদক, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট