চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কারেন্ট জালে পাখি নিধন!

২০ মে, ২০১৯ | ১:৪৫ পূর্বাহ্ণ

পাখি হলো প্রকৃতির প্রাণ। কৃষকের পরম বন্ধু। অথচ পাখির প্রতি দিনদিন আমরা নির্মম, নিষ্ঠুর হয়ে উঠছি। অকারণে পাখি হত্যা করা হচ্ছে। এতে মানুষের যে খুব লাভ হয়। তাও না। তারপরও নির্বিচারে পাখি হত্যায় মেতেছে একদল মানুষ। তারা শৌখিন শিকারী। সারা বছর তারা বনের পাখি শিকার করে। ফেসবুকে ছবি দেয়। অথচ তাদের কেউ ধরে না। বিচারের মুখোমুখি হতে হয় না তাদের। বনের পাখি শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। প্রচলিত আইনে শাস্তির কথাও বলা আছে। শাস্তি হবে কিভাবে? সম্প্রতি সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়েছে, ফসলের খেতে কারেন্ট জাল পাতা হচ্ছে। জালে আটকে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি মারা যাচ্ছে। ছোট চড়ুইপাখিও রেহাই পাচ্ছে না। অথচ পাখি ক্ষতিকারক পোকামাকড় খায়। পরাগায়নেও ভূমিকা রাখে। দু’এক সময় ফসলের গায়ে ঠোকর দিতে পারে। কাকতাড়ুয়া, টিনের টনটনি বাজানো, খেতে ঘন করে খুঁটি পুঁতে ফিতা টানিয়ে দেওয়া, সিডি ঝুলিয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন রকম উপায় আছে। যেগুলো প্রয়োগ করে পাখি তাড়ানো সম্ভব। কারেন্ট জাল তৈরি, বেচাবিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ তা মানা হয় কই। স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিলেই পারে। তারা কৃষকদের বোঝাচ্ছেন না কেন? হত্যা নয়, বিকল্প পদ্ধতিতে পাখি তাড়াতে সমস্যা কোথায়? ইতোমধ্যে দেশ থেকে ১৯ প্রজাতির পাখি হারিয়ে গেছে। আরো অনেক প্রজাতি হুমকির মুখে। তাই দেশি পাখি রক্ষার বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে। এজন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন চাই। পাখিশূন্য বাংলাদেশ কারো কাম্য নয়।

মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
বানারীপাড়া।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট