চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

রোজা : জানা-অজানা ইতিকাফ কী? এটি কাদের জন্যে জরুরি?

১৬ মে, ২০১৯ | ৩:০১ পূর্বাহ্ণ

ইতিকাফের অর্থ একাগ্রচিত্তে কোনো বিষয়ে আত্মনিয়োগ করা। ইসলামের পরিভাষায় আল্লাহ্তায়ালার সন্তুষ্টির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট সময়ে মসজিদে একাগ্রচিত্তে অবস্থান করার নাম ইতিকাফ।
সহীহ বুখারী, আবু দাউদ ও ইবনে মাজার বর্ণনামতে, নবী করিম (সা.) প্রতি রমজানের শেষ ১০ দিনে ইতিকাফ করতেন। যে বৎসর নবী করীম (সা.) আল্লাহ্তায়ালার ডাকে সাড়া দিয়ে আল্লাহ্র সান্নিধ্যে চলে যান সে বছর ২০ দিন ইতিকাফ করেন।
ইতিকাফ ২ প্রকার। ক) সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ আল কিফায়া। সমাজের বা মহল্লার কোনো ব্যক্তি এ ইতিকাফ আদায় করলে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যায়। রমজানের শেষ দশক এর সুনির্দিষ্ট সময়। খ) ওয়াজিব। যদি কেউ মানত করেন আমার প্রার্থিত কাজের সুরাহা হলে আমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে ইতিকাফ করবো, তা পূরণ হলে তার জন্য ইতিকাফ ওয়াজিব হয়ে যাবে।
ইতিকাফের কতিপয় শর্ত রয়েছে। ক) মুসলিম হওয়া, খ) সুস্থ বিবেকসম্পন্ন গ) বয়োঃপ্রাপ্ত হওয়া, ঘ) পবিত্র থাকা, ঙ) নিয়ত করা, চ) মসজিদে অবস্থান করা। হানাফী ও হাম্বলী মাজহাবের মতানুসারে, যে মসজিদে ৫ ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতের সাথে আদায় হয় ওই মসজিদেই কেবল ইতিকাফ করা যাবে। ইমাম শাফেয়ী ও ইমাম মালেকের দৃষ্টিতে জামে মসজিদে ইতিকাফ করা উত্তম। অন্যথায়, জুমার নামাজের জন্য মুতাকিফকে অন্যত্র যাওয়া আবশ্যক হয়ে পড়ে।
ইতিকাফের শিক্ষা :
১. নিবিড় ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার সান্নিধ্য অর্জন, ২. পবিত্র লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান, ৩. জাগতিক সকল ব্যস্ততা থেকে নিজেকে মুক্ত রেখে আত্মমূল্যায়ন করার অপূর্ব সুযোগ। এটিকে আধ্যাত্মিক মেডিটেশনও বলা যায়, ৪. নিজের অনুপস্থিতিতে উত্তরাধিকারীগণ সাংসারিক সার্বিক দায়িত্ব পরিচালনার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় ও মূল্যায়নের সুযোগ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট