চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন

৪ নভেম্বর, ২০১৯ | ১:১৬ পূর্বাহ্ণ

আমাদের দেশে একসময়ে নারীর বিচরণ ছিলো কেবলই রন্ধনশালা, ঘর সংসার সামলানো, সন্তান লালনপালন বা গৃহস্থলী বিষয়ক কাজে সীমিত। সময় অনেক বদলে গেছে। কালের পালাবদলে ও নারীদের ক্ষমতায়নের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপে নারীরা পেয়েছে অনন্য এক মর্যাদা। এমন অনেক উদাহরণও দেখা যায়, যেখানে বিভিন্ন কোম্পানিতে ছোট পদে চাকরি নিয়েও যোগ্যতার বলে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে আসছেন অনেক নারী। আবার অনেক সামান্য পুঁজি নিয়েও ব্যবসা করে এখন ব্যবসায়ী হিসেবে ভালোভাবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। একটা সময় ছিলো যখন তারা কাজ শুরু করেছিলেন পরিবারের লোকজন তাদের ওপর আস্থাশীল ছিলেন না। কারণ নারীদের বিষয়ে আমাদের প্রচলিত ধারণা ছিলো বা পরিবার থেকে মনে করা হতো তারা পারবেন না। কিন্তু মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে। এখন পরিবারই তাদের এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করছে। যার ফলে নারীরা আরো যোগ্য হিসেবে গড়ে ওঠার ভালো সুযোগ পাচ্ছেন। আজকাল উচ্চশিক্ষায় আশাতীতভাবে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। মা হওয়া নারীর সামাজিক কর্ম। অথচ মায়েদের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দেয় না। পরিবার থেকেই নারী বৈষম্যের মধ্যে বড় হন। শিক্ষার অভাব, কুসংস্কার এবং নারীর প্রতি চিরন্তন অবজ্ঞার ফলস্বরূপ নারী এ অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। নারীর ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিক মুক্তি, নেতৃত্বায়ন, সুস্থতা এসব নিয়ে আলোচনা তখনই ফলপ্রসূ হবে যখন সমস্যা চিহ্নিত করে মাঠপর্যায়ে নারীকে সচেতন করা হবে। তৃণমূল পর্যায়ে সব নারীকে অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে, সম্পত্তিতে সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, সর্বোপরি নারীকে মানুষ ভাবার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। নারীকে স্বপ্ন দেখতে হবে, স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে আত্মবিশ্বাসী নারী এগিয়ে যাবে পরিবর্তনের দিকে। পরিবর্তন একদিন আসবেই এটা সুনিশ্চিত।

এছাড়াও বর্তমান সরকার নারী নীতিমালা ২০১১ সহ নারীর উন্নয়নে অন্যান্য যে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সেসব বিষয় সমূহ বাস্তবায়নে আমাদেরকে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আর সেটি করতে পারলেই দারিদ্র্য দূরীকরণের ন্যায় নারীর ক্ষমতায়ন এবং উন্নয়নেও বিশ্বের কাছে রোল মডেল হিসেবে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ।

মো. আব্দুল কাদের রাজু
চট্টগ্রাম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট