চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

ঊনপঞ্চাশ বছরের পদচিহ্ন

৭ আগস্ট, ২০২২ | ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ

দেখতে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতা আর উচ্চশিক্ষা প্রশাসনে কেটে গেলো ঊনপঞ্চাশ বছর। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগে একজন প্রভাষক হিসেবে ৪৫০ টাকা বেতনে যোগ দিয়েছিলাম ১৯৭৩ সালের ৬ আগস্ট। সব মিলিয়ে বেতন ছয় শত টাকার কম। শিক্ষক কর্মচারিদের জন্য পনেরদিন অন্তর রেশনে দু’কেজি গম আর আধা কেজি চিনি। ছাত্রজীবনে কর্মজীবনের শুরুর বেতনের চেয়ে বৃত্তি পেতাম কিছু বেশী। আমার রেজাল্ট সব সময় ভালো ছিল। তবে যে খুব বেশী পড়–য়া ছিলাম ঠিক তেমনটা না। আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষাটা অত্যন্ত উঁচু মাপের ছিল। আমার সকল শিক্ষকের কাছে আমি ঋণী। বাঙালির জীবনে ঊনপঞ্চাশ বছর দীর্ঘ সময়। ঘটনাবহুল এই দীর্ঘ সময় যে কর্মব্যস্ত থাকতে পেরেছি তার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞ আর কৃতজ্ঞ বাবা-মা’র কাছে। নি¤œমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেয়া একজন মানুষের পক্ষে এই দীর্ঘ সময়ে যা অর্জন করতে পেরেছি তার বেশী কিছু চাওয়ার আর কিছু নেই। নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে করি। ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র হিসেবে বাণিজ্য বিভাগে ভর্তি হয়েছিলাম। ১৯৭১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মুক্তিযুদ্ধের কারণে তার সমাপ্তি ঘটে ১৯৭২ সালে। ছাত্রজীবন শেষ হওয়ার পর কি করবো তা কখনো চিন্তা করিনি । পরীক্ষার পর ফিরে গিয়েছিলাম নিজ শহর চট্টগ্রামে। পাড়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবুল ফজলের বাসভবন। তার দুই ছেলে আবুল মনসুর ও আবুল মোমেন আমার ছোট কালের বন্ধু। তাদের বাসা ‘সাহিত্য নিকেতনে’ প্রায় প্রতিদিনই যাই। একদিন আবুল ফজল সাহেব জানতে চাইলেন আমার পরীক্ষা শেষ হয়েছে কিনা। জানালাম হয়েছে এবং আমি প্রথম হয়েছি। তিনি বললেন নূতন বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক প্রয়োজন। আমি যেনো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার একধিক শিক্ষক চাইছিলেন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেই। কিন্তু কেন জানি তাতে মন সায় দেয় নি। ভাগ্যের পরিহাস ২০০১ সাল হতে আমি ঢাকার বাসিন্দা, হতে পারে তা অস্থায়ী।
যথাসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরির দরখাস্ত জমা দিলাম। ইন্টারভিউ’র ডাক পরলো সম্ভবত জুলাই মাসের প্রথম দিকে। বোর্ডে ছিলেন আমার দুই শিক্ষক অধ্যাপক সৈয়দ শামুজ্জোহা (বিভাগীয় প্রধান) আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. হাবিবুল্লাহ। ইন্টারভিউ তেমন কিছু না। বোর্ডের সকলে আমাকে চিনেন। ৫ আগস্ট যোগ দেয়ার চিঠি এলো। পরদিন যোগ দিলাম। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা জীবনটা ছিল নানাদিক দিয়ে ঘটনাবহুল। পরিচিত হয়েছিলাম শিক্ষক-রাজনীতির সাথে। কখনো কোন নির্বাচনে হারিনি। শিক্ষক-রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম বলে কখনো বিনাকারণে ক্লাস না নেয়ার ঘটনা ঘটেনি। শিক্ষকদের প্রতি ছাত্রদের সম্মানবোধ ছিল প্রশ্নাতীত। পরের দিকে তা কিছুটা হলেও ভাটা পরেছে। ছাত্র সংঘর্ষ ঘটতো মাঝে মাঝে। তা থামাতে এগিয়ে আসতেন শিক্ষকরা। এমন ঘটনা অনেক। শুরু হতেই আমাকে পড়াতে হতো নূতন নূতন বিষয়, যার তেমন বইপত্র পাওয়া যেতো না। তখন ইন্টারনেট বিশ্বের কাছে অজানা। ভরসা ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথ্যকেন্দ্র আর ব্রিটিশ কাউন্সিল। সেখান হতে পড়ানোর নোট তৈরী করে আনতাম। আমার প্রথম ক্লাসে ছাত্র ছিল মাত্র কুড়িজন। ক্লাস হতো বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ভবনে। পরে তা কলা ভবনে স্থানান্তর করা হয়। আমি উপাচার্য থাকাকালিন বর্তমান বাণিজ্য অনুষদ ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবন নির্মাণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন প্রমোশন বলে কোন কিছু ছিল না। শূন্য পদ না থাকলে উপরে উঠার পথ বন্ধ। এই কারণে কত প্রতিভাবান শিক্ষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। এখনতো এই সবের কোন বালাই নেই। সময় হলেই উচ্চপদে পদায়ন। নূতন বিশ্ববিদ্যালয় বলে (১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত) অন্যান্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয় হতে অনেক প্রতিথযশা শিক্ষক এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতে এসেছিলেন। কেউ কেউ এসেছিলেন কলেজ হতে। এদের মধ্যে পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক এখলাস উদ্দিন আহমদ, বাংলার অধ্যাপক আলি আহসান, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক আবু হেনা মোস্তাফা কামাল, অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহ কোরেসি, ইতিহাসের অধ্যাপক আবদুল করিম, অধ্যাপক আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজউদ্দিন, অধ্যাপক রফিউদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক মঈনুদ্দিন আহমদ খান, বাণিজ্যে অধ্যাপক আলী ইমদাদ খান, অধ্যাপক সৈয়দ শামুজ্জোহা, অর্থনীতিতে অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ আৎহার, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস, রাজনীতি বিজ্ঞানে আর আই চৌধুরী, সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী, অধ্যাপক অনুপম সেন, চারুকলায় শিল্পী রশিদ চৌধুরী, মর্তুজা বশির, শিল্পী দেবদাস চক্রবর্তি, নাট্য ব্যাক্তিত্ব জিয়া হায়দার সহ আরো অনেকে ছিলেন যাদের নাম এই মুহূর্তে হয়তো মনে করতে পারছিনা। সেটি ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্ণযুগ।
জিয়ার দেশ শাসন শুরু হয়েছিল কারফিউ জারির মাধ্যমে। সভা মিছিল বন্ধ। হু হু করে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সিদ্ধান্ত নিল নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এর প্রতিবাদে শহরে মিছিল হবে। তখন আমি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। মিছিল হলো। পুলিশ কোন বাধা দেয় নি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সিনেট অধিবেশন। সময়টা ১৯৮২ সাল। উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল আজিজ খান। আমাদের জন্য নূতন অভিজ্ঞতা। ঠিক করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সহ জাতিয় চার নেতার নামে শোক প্রস্তাব উত্তাপন করার। আমার জেষ্ঠ্য সহকর্মীদের সাথে আলাপ হলো। উত্থাপন করি সেই শোক প্রস্তাব। সকলে কিছুটা স্তম্ভিত। একজন সরকার মনোনিত সিনেট সদস্য এই শোক প্রস্তাবের সাথে ফজলুল কাদের চৌধুরীর নাম যোগ করতে চাইলে সিনেটে চরম উত্তেজনা দেখা দিল। সংখ্যায় আমরা বেশী। দু’ঘণ্টা ধরে তিনি চেষ্টা করলেন। বাধার মুখে পিছু হঠলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট ছিলেন। জাতীয় অধ্যাপক খেতাবে ভূষিত হয়েছিলেন। পরদিন ঢাকার পত্রিকায় বড় বড় হরফে প্রথম পৃষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর নামে শোক প্রস্তাব উত্থাপনের সংবাদটি বেশ গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়। আজও সেই দিনের কথা মনে করলে বেশ শিহরিত হই।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুঃসময় শুরু হয় ১৯৮৮ সালের দিকে যখন ধীরে ধীরে বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি মৌলবাদি ছাত্র সংগঠনের দখলে চলে যায়। তাদের প্রচ্ছন্ন ভাবে সহায়তা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি অংশ। প্রগতিশীল সকল ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত হয়। ছাত্র সংঘর্ষ হয়ে উঠে একটি নিয়মিত ঘটনা। মাঝে মধ্যে লাশ পড়ে। একসময় ক্যাম্পাস হয়ে পরে অচল। ক্যাম্পাসের গেটে তালা পড়ে। তখন আমি শিক্ষক সমিতির সভাপতি। সকলকে নিয়ে ঠিক করা হয় শহরের একটি বেসরকারি কলেজে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা প্রতিবাদ স্বরূপ প্রতীকি বিকল্প ক্লাস নেবেন। এতে বিপুলভাবে সাড়া দেয় শিক্ষার্থীরা। এমন একটি বিরল ঘটনা দেশে তখন বেশ সাড়া ফেলেছিল। দখলদার ছাত্র সংগঠনটি তাদের মুরুব্বিদের পরামর্শে ক্যাম্পাস সাময়িক সময়ের জন্য হলেও আবার উন্মুক্ত করে দেয়। ১৯৯১ এর নির্বাচনে বেগম জিয়া ক্ষমতায় আসলে এই ছাত্র সংগঠনটি আরো বেপরোওয়া হয়ে উঠে। ঘন ঘন ফটকে তারা ঝুলিয়ে ক্যাম্পাস অচল করে দিত। একবার তালা ভাঙ্গতে গেলে তারা শিক্ষকদের উপর চড়াও হয় এবং অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের হাতে নিহত হয় শিক্ষার্থী ফারুকুজ্জামান ফারুক।
১৯৯৬ সালে সরকার বদল হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন হওয়ার কয়েকমাস পর ডাক পরে গণভবনে। সঙ্গে আসে বন্ধু ড. আবু ইউসুফ। তাকে এর আগে উপ-উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে। দিনটি ছিল শুক্রবার। গণভবনে ঢুকতেই আমাদের ডাক পরলো তাঁর দপ্তরে। কুশল বিনিময়ের পর তিনি আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন তিনি আমাকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের দায়িত্ব দিতে চান। আমি বিনয়ের সাথে বলি এই দায়িত্ব নেয়ার জন্যতো অনেক সিনিয়র শিক্ষক আছেন। তিনি বলেন ‘তা জানি কিন্তু আপনাকেই দায়িত্বটা নিতে হবে’। কি আর করি। রাজি হয়ে যাই। ফিরে আসি চট্টগ্রামে। ১৯৯৬ সালের ৬ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন আসে। যোগ দেই নূতন ও কঠিন দায়িত্বে। আমার প্রথম কর্তব্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া। প্রথমে সকল ছাত্রের হলের সিট বাতিল করে অনুষদ ভিত্তিক সিট বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেই। এই ব্যাপারে আমার সহকর্মীরা খুবই সহায়তা করে। এটি বাস্তবায়ন করতে প্রায় দু’মাস সময় লেগে যায়। একটি নূতন তথ্য বের হয়ে আসে। দখলদার ছাত্র সংগঠনটি প্রায় সাতশ সিট নিজেদের দখলে রেখে তা অন্যদের কাছে ভাড়া দিত। মিছিলে গেলে ভাড়া এক রকম, না গেলে মাসে তা সাতশ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। পরবর্তি সিদ্ধান্ত রেল স্টেশন হতে ক্যাম্পাস পর্যন্ত বাস বন্ধ করে দেয়া। এই বাস সার্ভিসে দুর্নীতি হতো লাগামহীন। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সহজ ছিল না। এক কিলোমিটারের মতো হাঁটতে হবে সকলকে। ছাত্রদের সাথে আমি নিজেও স্টেশনে গাড়ী রেখে স্টেশন থেকে হাঁটা শুরু করি। এতে কাজ হয়। বন্ধ হয়ে যায় ছাত্রাবাস হতে বাস ব্যবস্থাও। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সব সময়ে চট্টগ্রাম শহরে শীতকালে অনুষ্ঠিত দেলওয়ার হোসেন সাঈদির পাঁচ দিন ব্যাপি ‘ইসলামি’ জলসায় যোগ দিতে প্রায় ডজন খানেক বাসের ব্যবস্থা করতো। তাও বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। কিছুটা প্রতিবাদ হলেও সিদ্ধান্তে অটল থাকলাম। কাজ হলো। ঢাকায় অনুষ্ঠিত তবলিগ জামাতে যোগ দিতে দুটি বাস দেয়া হতো। তা বন্ধ না করে যারা ঢাকা যাওয়ার সুযোগ নিতে চায় তাদের কাছ হতে বাস ভাড়া নেয়ার ব্যবস্থা করা হলো। তারা মেনে নিলেন।
আমার উপাচার্যের দায়িত্ব পালন কালে আমার বিভিন্ন সিদ্ধান্তে যে মহলটি অখুশী ছিল তারা নানাভাবে আমাকে হুমকী দেয়া ছাড়াও দুবার আমার শহরের বাড়ীতে বোমা হামলা করে। একবার গোয়েন্দা বিভাগ পরামর্শ দেয় আমি যেনো একই সময় একই পথে চলাচল না করি। পরে জানতে পারি তাদের এই পরামর্শের কারণে আমার উপর দু’টি হামলার পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। দেখতে দেখতে পার হয়ে যায় চার বছর পাঁচ মাস। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করি যেনো আমার বিকল্প কাউকে তিনি এই পদে নিয়োগ দেন। তিনি আমার অনুরোধ রাখেন এবং ২০০১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হয় আমার ঘটনাবহুল উপাচার্যের দায়িত্ব পালন কাল। ফিরে যাই শিক্ষকতায়। এখনো তাতেই আছি। এই দীর্ঘ সময়ের ভালো মন্দ বিচার করার ভার আমার সহকর্মী আর ছাত্র ছাত্রীরা। ভালো লাগে যখন দেখি আমার অনেক ছাত্র কর্মজীবনে বেশ সফল। এক সময় আমার প্রায় বারজন ছাত্র সরকারি সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। সমান সংখ্যক ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আর উপ-উপাচার্য। তবে বলতে পারি এই দীর্ঘ সময়ে যা পেয়েছি তাতে আমি তৃপ্ত। আমার পরিবার সব কাজে সব সময় আমাকে সহায়তা করেছে। তাদের কাছেও ঋণি। মনে হয় এখনো অনেক কাজ বাকি ।

আবদুল মান্নান
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান
ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট