চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বন্যাপরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো দ্রুত মেরামত করুন

মাসুম খান

২২ জুলাই, ২০১৯ | ১২:৩৬ পূর্বাহ্ণ

ভারী বর্ষণে পানির নীচে এখনো ডুবে আছে অনেক গ্রাম। তলিয়ে গেছে বেশিরভাগ সড়ক। এমনও দেখেছি ছিড়ে গেছে অনেক সড়ক। আর তাতে বন্ধ হয়ে পেেড়ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এমন চিত্র চট্টগ্রামজুড়ে। বিশেষ করে রাউজান, সীতাকু-, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ার সড়কগুলো চরম বিপর্যস্থ। তবে সাতকানিয়ার চিত্র ভয়াবহ।
বলা হচ্ছে সাতকানিয়ার ইতিহাসের মধ্যে সবচাইতে ভয়াবহ বন্যা সংগঠিত হয়েছে এবার। এখনও বৃষ্টির পানিতে ডুবে আছে সাতকানিয়ার অধিকাংশ এলাকা। ত্রাণের জন্য এলাকাজুড়ে হাহাকার। সরকারি বেসরকারিভাবে এসব এলাকায় ত্রাণ বিতরণ এখনও অব্যাহত রয়েছে। তবে তা তুলনামূলকভাবে অনেকাংশে কম। বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ সড়ক।
আশার খবর হচ্ছে, কমতে শুরু করেছে বর্ষার পানি। আর তাতে ফুটে উঠছে বিপর্যস্ত সড়কের চিত্র। এতে দেখা যাচ্ছে, সড়কগুলোর চিত্র ভয়াবহ। ছিড়ে গেছে অধিকাংশ সড়ক। রাস্তার ওপর থেকে সরে গেছে ইট বালি ও ভিটুমিন। দেখে ভাবা যাবেনা এই সড়কগুলো আগে নির্মিত হয়েছিল। এসব এলাকার বর্তমান চিত্র দেখে মনে হবে একেকটা সড়ক একেকটা মৃত্যুকূপ। কেননা বৃষ্টির পানি কমাতে এসব সড়কদিয়ে শুরু হয়েছে মানুষের চলাচল। আর চলতে শুরু করেছে নিয়মিত যানবাহন। আর তাতেই বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভবনা রয়েছে তেমনি রয়েছে প্রাণহানির শঙ্খা।
তাই এসব বিষয় বিবেচনায় এনে দ্রুত সড়কগুলো সংস্কার ও মেরামতের ব্যবস্থা নিতে হবে দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বিভাগকে। আশা করা যায় সড়ক সংস্কারের দ্রুত পদক্ষেপ নিলে চলাচলের উপযোগী হবে সড়কগুলো। রোধ হবে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা। স্বাভাবিক চিত্রের দেখা মিলবে সড়ক পথের। পথচারীদের পদচরণায় মুখর হয়ে উঠবে বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো।
তবে বলা দরকার, সড়কগুলো মেরামতের দায়িত্ব তাদেরই দিতে হবে যারা রডের বদলে বাঁশ দিবে। উদ্বোধনের আগেই যাতেই সড়কগুলো ভেঙে না পড়ে এমন প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিতে হবে সড়ক মেরামতের। আর মেরামতের পূর্ণাঙ্গ বরাদ্দ যেন নয়-ছয় না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ। তাহলেই সড়কগুলো ব্যবহারে সুফল ভোগ করবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট