চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কিশোরদের ওপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব

মুহাম্মদ আবু নাসের

১০ জুলাই, ২০১৯ | ১২:৫২ পূর্বাহ্ণ

কৈ শো র কে বলা যায় অ দম্য কৌতূহলের বয়স। স্বাভাবিক নিয়মেই তারা সবকিছু জানতে চায়। যার প্রভাব পড়ে তাদের জীবন ও আচরণে। ফলে কিশোর বয়সে একটি ছেলে কিংবা মেয়ে চারপাশে কি দেখছে ও শুনছে তা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই কিশোর বয়সী সন্তানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নিয়ে অভিভাবকরা সবসময়ই উদ্বিগ্ন থাকেন। কিন্তু অক্সফোর্ড বিশ^বিদ্যালয়ের গবেষক দল বলছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে অভিভাবকদের এত বিচলিত নাহলেও চলবে।
কিশোর বয়সীদের জীবন সন্তুষ্টির ক্ষেত্রে এসব মাধ্যমের প্রভাব খুবই সামান্য। এর চেয়ে বরং সার্বিক আচার আচরণে পরিবার, বন্ধু এবং স্কুলজীবন গভীর ভূমিকা রাখছে।
পিএনএস জার্নালে সম্প্রতি এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী ১০-১৫ বছর বয়সী ১২ হাজার কিশোর-কিশোরীর দেয়া মতামতের ওপর ভিত্তি করে গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে অক্সফোর্ড। তুলনামূলক বেশি সময় ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে এমন কিশোররা অধিক অসন্তুষ্টিতে ভুগছে কিনা, গবেষণায় এর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। এছাড়া তরুণ প্রজন্মের ওপর প্রযুক্তির প্রভাব যাচাই করতে চেয়েছেন গবেষকরা।
গবেষণায় বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব ‘একমুখী কোন রাস্তা’ নয় এবং একজন কিশোরের আচার-আচরণ গঠনের ক্ষেত্রে তা ১ শতাংশের ও কম ভূমিকা রাখে। গবেষক অধ্যাপক প্রিবিস্কি বলেন, ‘একজন মানুষের ৯৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ জীবন সন্তুষ্টির ক্ষেত্রেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের কোন প্রভাব নেই।’
গবেষণায় পরিলক্ষিত হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় কাটানোর প্রভাব তুলনামূলক কিশোরীদের ক্ষেত্রে বেশি।
অবশ্য এ প্রভাবও খুব সামান্য আর কিশোরদের ওপর বড় ধরনের কোন প্রভাব পাওয়া যায় নি। এ অবস্থায় সন্তানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় কাটানো নিয়ে মা-বাবার উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন প্রিবিস্কি। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নির্দিষ্ট কিছু প্রভাবে ঝুঁকিগ্রস্ত তরুণদের চিহ্নিত করাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মনে করেন গবেষকরা। কোন কোন বিষয় কিশোরদের আচার-আচরণে প্রভাব ফেলছে, সেটিও খুঁজে বের করার প্রতি জোর দিয়েছেন তারা।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট