চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

রাজনীতির বিস্মৃত নায়ক আবদুল্লাহ আল হারুন

নাসিরুদ্দিন চৌধুরী

১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ১:৩৭ অপরাহ্ণ

আমরা কত সহজে কত কিছু ভুলে যাই। এক সময় যাঁদেরকে সামাজিক-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক অঙ্গণে সদর্পে বিচরণ করতে দেখেছি; যাঁদের সঙ্গে এবং যাঁদেরকে নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছি এবং আয়োজনও করেছি, ত্রিশ-চল্লিশ বছরের ব্যবধানে তাঁরা কেমন টুপ টুপ করে ঝরে গেলেন সাজানো বাগান থেকে। তবে সাহস পাই যখন দেখি আমার মুর্শিদ অশীতিপর প্রফেসর ড. অনুপম সেন উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করতে নিয়মিত প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে যান; আমার এক শিক্ষক অধ্যাপক বিপ্রদাশ বড়ুয়া কমলাপুর বৌদ্ধ বিহারে একলা বসবাসের দুঃসাহস পোষণ করেন, অপর আরেকজন শিক্ষক অধ্যক্ষ শিশির বড়ুয়া আশিছোঁয়া বয়সে দিব্যি হাঁটাচলা করেন এবং মাঝেমধ্যে ফোন করে তাঁর ছাত্রের কুশলও জিজ্ঞেস করেন। শিক্ষকরা পিতার মতই। কিন্তু ছালেহ ভাই, আবদুর রউফ খালেদ ভাই, নুরুন্নবী চৌধুরী, সিরাজ ভাই, নুর মোহাম্মদ ভাই, বদি ভাই-রা তাঁদের বাসভবনে বন্দী হয়ে লোকচক্ষুর আড়াল হয়ে গেলেন। আবদুর রউফ খালেদ নামে একদা চট্টগ্রামে একজন খ্যাতিমান পরিশীলিত ছাত্রনেতা ছিলেন এবং ছাত্রলীগেরও অন্যতম শীর্ষ নেতা ছিলেন, সেকথা এখন আর কারো মনে আছে বলে মনে হয় না। নতুন প্রজন্ম তো জানার কথাই নয়। নুর মোহাম্মদ ভাই নামাজ পড়তে বের হন, সিরাজ ভাইকে চন্দনপুরায় আর প্রাতঃভ্রমণ করতে দেখি না; শুধু একা হারিছদা বয়সের কাছে হার মানতে রাজি নন; বিরাশি বছর বয়সেও তাঁকে দৌড়ঝাপ করে, নিয়মিত আগ্রাবাদে ফাহিম ভাই’র ওয়ার্কশপে, কখনো তাঁর ‘বাবু’ সাবেক মেয়র মনজুর ভাই’র অফিস ও বাসায়, কখনো তাঁর বোনদের বাড়িতে কিংবা তাঁর পরলোকগত মুর্শিদ জহুর আহমদ চৌধুরীর বাসা ‘তওয়াফ’ করে চনমনে দিন গুজরান করতে দেখি। নোমার ভাই (আবদুল্লাহ আল নোমান) পীড়িত এবং ঢাকাবাসী; মুছা ভাই (মোহাম্মদ মুছা), ভালো নেই, তিনি আমাদের থেকে অনেক দূরে হাশিমপুরে তাঁর গ্রামের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। শুধু মাসুদ ভাইকে (আবু তাহের মাসুদ) কিছুটা সুস্থ অবস্থায় নন্দনকানন, মোমিন রোড, জামালখানে হাঁটাচলা করতে দেকে আশা জাগে। ছাবের ভাইও (ছাবের আহমদ আজগরী) রোগাক্রান্ত, তদুপরি অকালপ্রয়াত মেধাবি মেয়েটির শোকে জীবন্মৃত।
আমি আবদুল্লাহ আল হারুনের কথা বলতে যেয়ে এইসব মানুষের নাম স্মৃতি হাতড়ে খুঁজে নিলাম। আজকের এই দিনে হারুন সাহেব অনন্তধামে প্রস্থান করেছিলেন। আবদুল্লাহ আল হারুন তাঁর সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকা একজন মানুষ ছিলেন। কেননা গত সময়ের চল্লিশের দশকে প্রায় সব বাঙালি মুসলমান মুসলিম লীগ করতেন। বাঙালি মুসলমানকে তখন পাকিস্তানের হুজুগে পেয়েছিলো। মুসলিম লীগ একমাত্র মুসলমানের দল এবং ১৯৪০ সালে লাহোর অধিবেশনে লীগই প্রথম পাকিস্তান দাবি উত্থাপন করে। অতঃপর বাঙালি মুসলমান পাকিস্তান কায়েমের স্বপ্নে বিভোর হয়ে যায় এবং মুসলিম লীগের ঝা-া হাতে নিয়ে ‘লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান’ স্লোগান দিয়ে রাজপথে নেমে আসে। একমাত্র আবদুল্লাহ আল হারুন এবং তাঁর ফুফাত ভাই পরবর্তীকালে চট্টগ্রাম সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ও ‘সীমান্ত’ পত্রিকা সম্পাদক মাহবুব উল আলম চৌধুরী মুসলিম লীগ করেন নি। অবশ্য মাদ্রাসা পাস করা ও শিক্ষকতা করা মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী, শেখ-এ-চাটগাম কাজেম আলী মাস্টার, ব্যারিস্টার ড. সানাউল্লাহ, শাহ বদিউল আলম, চট্টগ্রামের এসব মুসলিম মনীষীও মুসলিম লীগ করেন নি। খান বাহাদুর আবদুল হক দোভাষ, আবদুল্লাহ আল হারুনের চাচা আহমদ সগীর চৌধুরী মুসলিম লীগ করলেও চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার আক্রমণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত রূপকথার নায়ক বিপ্লবী অনন্ত সিং, গণেশ ঘোষ, অম্বিকা চক্রবর্তী, লোকনাথ বল-রা জেল থেকে মুক্তিলাভ করে বেরিয়ে আসলে তাঁর মালিকানাধীন সিনেমা হল খুরশিদ মহলে তাঁদের সংবর্ধনা দিয়েছিলেন এবং আবদুল হক দোভাষ তাঁর বাসভবনে বিপ্লবীদেরকে নৈশভোজে আপ্যায়িত করেছিলেন। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার আক্রমণের (১৯৩০) তিন বছর পর (১৯৩৩) আবদুল্লাহ আল হারুনের জন্ম; তখনো আত্মগোপনে থেকে মাস্টারদা কুমিল্লা, ঢাকা ও কলকাতায় বিপ্লবের আঘাত হেনে চলেছিলেন; তাঁর নির্দেশে বিপ্লবীরা ইংরেজ সাহেব, পুলিশ ও গোয়েন্দাদের গুলি ও বোমা ফাটিয়ে একের পর এক হত্যা করে যাচ্ছিলেন। বিপ্লবের আগুনে চট্টগ্রামের মাটি হয়ে উঠেছিলো উত্তপ্ত কড়াই। এই মৃত্তিকা থেকেই উদ্ভূত হয়েছিলেন আবদুল্লাহ আল হারুন; ১৯৩৪ সালে মাস্টারদা ফাঁসি হয়ে গেলেও তাঁর অসামপ্ত বিপ্লবী কর্মকা- সমাধা করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন বিপ্লবী বিনোদ দত্ত। তাঁর বিচক্ষণ নেতৃত্ব ও সুদক্ষ পরিচালনায় বিপ্লবের আগুন প্রজ্জ্বলিত ছিলো চট্টগ্রামে। এই বিপ্লবের আগুনে পুড়ে আবদুল্লাহ আল হারুন একজন সোনার মানুষ হয়ে উঠেছিলেন।
জনাব হারুনের জন্মের সাত বছরের মাথায় ভারতীয় রাজনীতিতে পাকিস্তান দাবি একটা বড় ঘটনা হয়ে আত্মপ্রকাশ করে। এটি একটি সাত বছরের শিশুর জন্য যে প্রবল টানাপড়েনের সৃষ্টি করেছিলো তা’ বলার অপেক্ষা রাখে না। তার ক্ষুদ্র চিন্তার জগৎ মাত্র বিস্তৃত হচ্ছিলো। সেই শিশু বয়সেই সে একটি দোটানায় পড়ে গিয়েছিলো। একদিকে মুসলিম লীগ তার পাকিস্তান দাবি নিয়ে তাকে আকর্ষণ করছিলো, অন্যদিকে বিপ্লবীদের কথাও অস্পষ্টভাবে হলেও সে শুনতে পাচ্ছে। পরে তো তার চাচা কারামুক্ত বিপ্লবীদের সংবর্ধনা দিলেন, যদিও তিনি ছিলেন মুসলিম লীগের নেতা। এর মধ্যে অন্যরকম কথাবার্তা বলতেন তাঁর ফুফাত ভাই মাহবুব উল চৌধুরী। তিনি ছাত্র রাজনীতি করতেন, তবে মুসলিম ছাত্রলীগ নয়। তিনি ছাত্র ফেডারেশন করতেন। তিনি কমিউনিস্টদের সঙ্গে চলাফেরা করতেন। মাহবুব উল আলম চৌধুরী আবদুল্লাহ আল হারুনের হিরো হয়ে উঠলেন। হারুনের দোলাচল কেটে গেলো। তিনি মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে প্রগতিশীল রাজনীতির পথে হাঁটা শুরু করলেন। প্রগতিশীলতার পথে সেই পথচলা জীবনে আর কখনো থামেনি। প্রগতিশীল রাজনীতিক, উদার মানবিক সংস্কৃতির পূজারী, অসাম্প্রদায়িক মানুষ হিসেবেই জীবন যাপন করে আবদুল্লাহ আল হারুন চিরবিদায় নিলেন।
আবদুল্লাহ আল হারুন চট্টগ্রামের রাজনীতিতে অনেক মৌলিক অবদান রেখেছেন। তন্মধ্যে ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রাম প্রধান। ভাষা আন্দোলনে চট্টগ্রামের ছাত্র সমাজের প্রধান নেতা ছিলেন তিনি। ছাত্রসমাজকে তিনি মাতৃভাষার অধিকারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনে সংগ্রামের জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিলেন এবং স্কুল কলেজ থেকে বের করে এনে রাজপথে মিটিং মিছিলে নিয়ে যেতেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের পিতা ফজলুর রহমান ছিলেন তখন শিক্ষামন্ত্রী এবং উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার জোরালো প্রবক্তা। তিনি ঐ সময় চট্টগ্রাম কলেজ সফরে আসলে কলেজের ছাত্র আবদুল্লাহ আল হারুন মন্ত্রীর গাড়িতে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি সংবলিত কিছু লিফলেট ছুঁড়ে দিয়েছিলেন, যাতে মন্ত্রী বুঝতে পারেন চট্টগ্রামের জনগণ এবং ছাত্রসমাজ চায় বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করা হোক। মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল হারুনকে তাঁর গাড়িতে লিফলেট রাখতে দেখে চিৎকার করে বলেছিলেন ‘‘Hunt out that boy,Hunt out that boy.’’ হারুন সাহেব দৌড়ে অদৃশ্য হয়ে যান, পুলিশ তাঁর নাগাল পায়নি।
ভাষা আন্দোলনে চট্টগ্রামের ছাত্রসমাজকে নিয়ে একটি সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিসদ গঠিত হয়েছিলো। জনাব আবদুল্লাহ আল হারুন ছিলেন তার সভাপতি। আবদুল্লাহ আল হারুন ১৯৫১ সালে চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্রদের নিয়ে আইএসও (ইন্ডেপেন্ডেন্ট স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন) নামে একটি স্বাধীন ও অসাম্প্রদায়িক ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এ সংগঠনের প্রেরণায় পরবর্তী বছর ছাত্র ইউনিয়ন গঠিত হয়েছিলো বলে কেউ কেউ মনে করেন। একইবছর মোমিন রোডের হরিখোলা মাঠে (বর্তমানে মৈত্রী ভবন) পূর্ববঙ্গের প্রথম সংস্কৃতি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। আবদুল্লাহ আল হারুন উক্ত সম্মেলনের একজন তরুণ ভলান্টিয়ার ছিলেন। ১৯৫২ সালে গঠিত চট্টগ্রাম জেলা ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৫৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করলে তাঁকে সাংগঠনিক সম্পাদক নিযুক্ত করা হয়। তারপর ষাটের দশকে যখন বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা কর্মসূচিকে অবলম্বন করে বাঙালি জাতীয়তাবাদী রাজনীতির বিকাশ ঘটছিলো, আবদুল্লাহ আল হারুন সেই আগুনে সময়ের রাজনীতির কেন্দ্রে অবস্থান নিয়ে অনেক কিছুই করলেন। লাহোরে কপ-এর রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত ৬ দফার সমর্থনে চট্টগ্রাম থেকে সংবাদপত্রে বিবৃতি প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছিলেন সেই সময় চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংঠগনিক সম্পাদক ও এমএ আজিজের দক্ষিণ হস্ত আবদুল্লাহ আল হারুন। বিবৃতিটি সে সময় পত্রিকায় প্রকাশিত না হলে আইয়ুব খান ৬ দফাকে আঁতুর ঘরেই গলা টিপে মেরে ফেলতে চাইতেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদ বাংলাদেশের স্বাধীনতার দিকে ধাবিত হয়। তারপর ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে আবদুল্লাহ আল হারুন রাউজানে ফজলুল কাদের চৌধুরীর দুর্গ গুঁড়িয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের বৈজয়ন্তী উড্ডীন করলেন। অধ্যাপক খালেদকে এমএনএ নির্বাচিত করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে নিজে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। আবদুল্লাহ আল হারুন যে ফজলুল কাদের চৌধুরীর প্রভাববলয় চুরমার করে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন, রাজনীতিতে সেটাই তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ অবদান হিসেবে বিবেচনার দাবি রাখে।
রাউজানে পঞ্চাশের দশকে অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ, সাধন ধর, ডা. জাকেরিয়া চৌধুরী, ডা. শামসুল আলম, নুরু মিয়া মাস্টার প্রমুখ আওয়ামী লীগের ভিত্তি গড়ে তুলেছিলেন সত্য, কিন্তু ষাটের দশকের পূর্বেই সেটা থিতিয়ে এসেছিলো। আবদুল্লাহ আল হারুন ষাটের দশকে এসে রাউজান আওয়ামী লীগের হাল ধরে দলটিকে চাঙ্গা করে তুলে নবজীবন দান করলেন। ফকা চৌধুরী ও মুসলিম লীগের সঙ্গে আবদুল্লাহ আল হারুন ও আওয়ামী লীগের তখনই প্রকৃত প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়েছিলো। হারুন পরিবারের সঙ্গে ফকার পরিবারের দ্বন্দ্ব শহর থেকে শুরু হয়েছিলো। হারুন সাহেবের চাচা আহমদ সগীর চৌধুরী ঐসময় যখন জেলা মুসলিম লীগের সেক্রেটারি তখন ফকা চৌধুরী কলকাতা থেকে চট্টগ্রামের রাজনীতি করতে এসে তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তারপর ফকা চৌধুরী এক সময় জেলা মুসলিম লীগের সেক্রেটারিও হয়েছিলেন, কিন্তু ততদিন ‘তোমারে বধিবে যে গোকুলে বেড়ে’ উঠেছিলেন সগীর মিয়ার ভ্রাতুষ্পুত্র আবদুল্লাহ আল হারুন।
সেই সময়ে হারুন সাহেবের হাত ধরে রাউজানে যাঁরা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে শুরু করেছিলেন, তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের বদিউর রহমান চৌধুরী, শহীদ মতিলাল চৌধুরী, অধ্যাপক আবু তাহের রিজভী, অধ্যাপক কাজী শামসুর রহমান, কাজী আবদুল ওহাব, মোফাচ্ছেল আহমদ চৌধুরী, মুসা মিয়া চৌধুরী, ডা. এ.কে.এম. আবু জাফর, নুরুল ইসলাম মাস্টার, বিভূতিভূষণ চৌধুরী, আলহাজ নজমুল হুদা চৌধুরী, আবদুল আজিজ, আমিন শরীফ (প্রকাশ মনু বলী), শেখ শফি, এয়ার মোহাম্মদ, নাসিরুল হক চৌধুরী, মফিজুর রহমান চৌধুরী, সিরাজউদ্দিন আহমদ (দৌলত), সামসুদ্দিন আহমদ, আজিজুর রহমান মিস্ত্রি, আবদুল বারেক, শামসুল হুদা তালুকদার, ইস্কান্দর মিয়া চৌধুরী, বিভূতিভূষণ মহাজন, অজিত সরকার, ননী চৌধুরী, নজমুল হক, কালা মিয়া মেম্বার, আলী আকবর বলী, খায়েজ আহম্মদ, অমলেন্দু বড়ুয়া, ফোরখ আহমদ প্রকাশ সিদ্দিক আহম্মদ সওদাগর, মেহেরুজ্জামান চৌধুরী, ডা. ছবিল খান, ফজলুল হক সওদাগর, শেখ শামসুদ্দিন, অরুণ বড়ুয়া, যদুনাথ দে, আর্টিস্ট সোলায়মান, ডা. হরিপদ পালিত, বখতেয়ার খান, আবদুল গণি বি.কম, মনোরঞ্জন চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহ, তারা মিয়া, নজু মিয়া, ফরিদ আহমেদ, ডা. রবীন্দ্র শীল, আবদুর নুর শরীফ, ডা. জাকির হোসেন, সামছুল আলম, অধ্যাপক লোকমান হাকিম, মোজাফফর আহমদ, ফজলুল হক চেয়ারম্যান, বজল মেম্বার, দৌলত খান চৌধুরী, শশাঙ্ক মোহন দে, এস.এম. গোলাম হোসেন, ফরিদ আহমেদ মাতব্বর, এজাহার মিয়া. ডা. খলিলুর রহমান, গোলাম রব্বান, আবদুস সাত্তার, সোনা বিশ্বাস, আহম্মদ হোসেন, রফিক আহমদ, মণীন্দ্র মেম্বার, এস.এম. জামাল, নজমুল হক, আবদুস সাত্তার মেম্বার, আবুল কাশেম শিকদার, সামছুল হুদা, ডা. রবীন্দ্রলাল দে, ডা. ফজল আহম্মদ, মিলন চৌধুরী, আইয়ুব, জলিল সওদাগর, ইউনুছ মিয়া চৌধুরী, রাখাল ভট্টাচার্য, মোজাম্মেল হক, নুরুল হক, মুসা মাস্টার, জমির চৌধুরী প্রমুখ। হারুন সাহেবের উৎসাহ ও প্রেরণায় রাউজানে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ডে ব্যাপক গতিবেগ সঞ্চারিত হয়।

লেখক: নাসিরুদ্দিন চৌধুরী মুক্তিযোদ্ধা, সিনিয়র
সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক সংগঠক।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট