চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

রোজা : জানা-অজানা

সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ আল-কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে শ্রেষ্ঠতম রাসূলের ওপর

২৯ মে, ২০১৯ | ২:৫৮ পূর্বাহ্ণ

রমজান মাসের লাইলাতুল কদরে পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হয়। যাঁর ওপর এ মহাগ্রন্থ অবতীর্ণ হয় তিনি শ্রেষ্ঠতম রাসূল (স.)। পবিত্র কুরআনের অসংখ্য আয়াতে তাঁর এ শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা এসেছে। মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় হাবীবের স্থান নির্ধারণ করেছেন সবার ওপরে। তিনি বলেন, “আমি (আপনার মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য) আপনার স্মরণকে করেছি সমুন্নত।” (সূরা আল-ইনশিরাহ: ৪) এমনকি তিনি নবী করীম (সা.)-এর পবিত্র জীবনের নামে শপথ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, “আপনার জীবনের শপথ! নিশ্চয় তারা তাদের নেশায় বিভ্রান্ত হয়ে ঘুরছিল।” (সূরা আল-হিজর: ৭২) শুধুমাত্র তাঁর জীবনের ওপর নয় বরং তাঁর স্মৃতিধন্য নগরী মক্কারও শপথ করেছেন। তিনি বলেন, “আমি এ নগরীর শপথ করছি, আপনি এ নগরীর অধিবাসী।” (সূরা আল-বালাদ: ১-২) মহানবী (সা.)-এর শ্রেষ্ঠত্বের আরেক প্রমাণ মহান আল্লাহ অন্যান্য নবীকে নাম ধরে ডাকলেও তাঁকে কখনও নাম ধরে সম্বোধন করেননি, বরং বিভিন্ন উপাধিতে সম্বোধন করেছেন। যেমন মুয্যাম্মিল, মুদ্দাসসির, নবী, রাসূল ইত্যাদি। সকল নবী-রাসূলের ওপর মহানবী (সা.)-কে মর্যাদা প্রদান করায় তাঁরা সকলেই তাঁর ওপর ঈমান আনয়ন ও তাঁকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদানের ব্যাপারে আল্লাহর সাথে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যেমন কুরআনে কারীমে ইরশাদ হচ্ছে, “আর স্মরণ করুন, যখন আল্লাহ নবীদের অঙ্গীকার নিয়েছিলেন যে, আমি তোমাদেরকে কিতাব ও হিকমত যাই দিয়েছি, এরপর তোমাদের কাছে যা আছে তার সত্যায়নকারী রূপে যখন একজন রাসূল আসবে তখন তোমরা অবশ্যই তার প্রতি ঈমান আনবে ও তাকে সাহায্য করবে। তিনি বললেন, তোমরা কি স্বীকার করলে এবং এর ওপর আমার অঙ্গীকার কি গ্রহণ করলে? তারা বলল, আমরা স্বীকার করলাম।” (সূরা আলে-ইমরান: ৮১) তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের কারণে তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শনকে তাকওয়ার পূর্বশর্ত ও শ্রেষ্ঠ নেক আমল হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন, “নিশ্চয় যারা আল্লাহর রাসূলের সামনে নিজেদের কণ্ঠস্বর নিচু করে আল্লাহ তাদের অন্তরকে তাকওয়ার জন্য পরীক্ষা করে নিয়েছেন, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।” (সূরা আল-হুজুরাত: ৩) একই কারণে আল্লাহর সন্তুষ্টি কেবলমাত্র তাঁর রাসূলের আনুগত্যেই সীমিত করা হয়েছে। তাঁর আনুগত্য ও অনুকরণ ছাড়া আল্লাহর ভালবাসা অর্জন কোন ক্রমেই সম্ভব নয়। ইরশাদ হয়েছে, “বলুন! তোমরা যদি আল্লাহকে ভালবাস তবে আমারই অনুসরণ কর; আল্লাহ তোমাদের ভালবাসবেন।” (সূরা আল-ইমরান: ৩১) মহানবী সা.-এর শ্রেষ্ঠত্বের আরেক নিদর্শন হলো, তাঁর সাথে ধৃষ্টতার পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ সূরা অবতীর্ণ করেছেন। যেমন সূরা লাহাব অবতীর্ণ করে আল্লাহ আবু লাহাব ও স্ত্রীর ধৃষ্টতার প্রতিউত্তর দিয়েছেন।
সংশোধনী:
উল্লেখ্য গতকাল এ কলামে “অন্যদিকে এ কুরআন যার ওপর অবতীর্ণ হয়েছে তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল” কথাটি ভুলবশত “অন্যদিকে এ কুরআন যার ওপর অবতীর্ণ হয়েছে তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মানব” লেখা হয়েছে। এ অনাকাক্সিক্ষত ভুলের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট