চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

বিমান ‘ছিনতাই চেষ্টা’র মামলার প্রতিবেদন জমা এক বছর পর

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ জানুয়ারি, ২০২০ | ১০:৪৬ অপরাহ্ণ

পুলিশের তদন্তকারী সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট প্রায় একবছর আগে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানায় দায়ের হওয়া মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহানগর আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় এই প্রতিবেদন জমা দেন।

বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট ময়ূরপঙ্খীর ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। পরে বিকেলে ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পর পলাশ আহমেদ নামে এক যাত্রী ফ্লাইটটি ‘ছিনতাইয়ের উদ্দেশে’ বিভিন্ন ঘটনা ঘটান। বিমানটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জরুরি অবতরণের পর সন্ধ্যার দিকে মাত্র ৮ মিনিটের কমান্ডো অভিযান হয়। এতে পলাশ নিহতের মাধ্যমে এই ছিনতাই কাণ্ডের অবসান ঘটে।

বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত প্রযুক্তি সহকারী দেবব্রত সরকার নগরীর পতেঙ্গা থানায় এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন। গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পতেঙ্গা থানায় দায়ের হওয়া মামলায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০১২-এর ৬ ধারা এবং বিমান নিরাপত্তাবিরোধী অপরাধ দমন আইন, ১৯৯৭-এর ১১(২) ও ১৩(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয় পলাশের বিরুদ্ধে। ওই মামলায় নিহত পলাশ আহমেদসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়। পরে মামলাটি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তদন্তের দায়িত্ব পায়। এ ঘটনায় মোট ৭৯ জন সাক্ষী প্রদান করে।

তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া বলেন, তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে এ ঘটনায় পলাশ আহমেদ ছাড়া আর কেউ জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যায়নি। যেহেতু আসামির মৃত্যু হয়েছে, তাই চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে আদালতে।

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট