চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রামে গণহত্যা

‘হামলার নির্দেশদাতাদের বিচার হওয়া উচিত’

অনলাইন ডেস্ক

২১ জানুয়ারি, ২০২০ | ৫:৩৯ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি গণহত্যার বিচার হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তবে তখন ঢাকা থেকে যারা ওই হামলা পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছিলেন, তদন্ত করে তাদের বিচার করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। সচিবালয়ের তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির নবনির্বাচিত পরিষদের সঙ্গে আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে জনসভা করার জন্য চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে গাড়ি বহর নিয়ে আসছিলেন। সেই গাড়ি বহরের সামনে একটি মিছিল ছিল, সেই মিছিলে আমি ছিলাম। আমরা যখন কোতোয়ালির মোড় অতিক্রম শুরু করি তখন থেকে গুলি শুরু হয়। নির্বিচারে গুলি চালানো হয়।’ তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যদিও নিহতের সংখ্যা বলা হচ্ছে ২৪ জন, কিন্তু এ সংখ্যাটা আরও বেশি। কারণ সেদিন অনেক লাশ গুম করে ফেলা হয়েছিল। আমাদের হিসাব মতে, সেটি অবশ্যই ৩০ জনের বেশি। কারও কারও মতে সেটি ৩৬ জন। কিন্তু অনেকগুলো লাশ গুম করে ফেলার কারণে সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। ৩২ বছর পর এ হত্যা মামলার রায় হয়েছে। এ জন্য অবশ্যই আমরা সন্তুষ্ট।’ তিনি বলেন, ‘যারা এ হামলা করেছিল, তাদের উত্তরসূরিরা কিন্তু এখনও সক্রিয়। আমাদের এ জন্য এখনও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।’

১৯৮৮ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় ছিলেন। তাহলে এটা তার নির্দেশে হয়েছে কিনা, এমন এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা থেকে এ রকম নির্দেশ না থাকলে চট্টগ্রামে পুলিশ প্রশাসন এভাবে দেশের বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের সভাপতির মিছিলে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি চালাতে পারে না। সুতরাং তখন যারা ক্ষমতায় ছিল নিশ্চয় তাদের পক্ষ থেকেই নির্দেশটা এসেছিল। কিন্তু কে নির্দেশ দিয়েছিল সেটি এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। সেটি তদন্তের বিষয়। কিন্তু তদন্ত করে যারা নির্দেশ দিয়েছিল তাদেরও আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।’

উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের আমলে চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার জনসভার আগে গুলি চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা মামলার রায়ে পাঁচজনকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। ঘটনার ৩২ বছর পূর্ণ হওয়ার চারদিন আগে সোমবার (২০ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ (ভারপ্রাপ্ত) ইসমাইল হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/এম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট