গাজীপুরে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি)। মাওলানা খোরশেদ আলমের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
এই পর্বে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ময়দানে জড়ো হয়েছেন দিল্লীর মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর অনুসারীরা। ইজতেমাস্থলে বেলা দেড়টায় জুমার নামাজ পড়াবেন মাওলানা জুবায়ের।
ইজতেমা দ্বিতীয় পর্ব উপলক্ষে টঙ্গীর তুরাগ তীরে জমায়েত হয়েছেন লাখো মুসল্লি। ইজতেমার মূল বয়ান মঞ্চ থেকে আগত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ভাষায় আল্লাহ ও হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নির্দেশিত ইসলামী বিধানের ওপর দিকনির্দেশনামূলক বয়ান রাখছেন জ্যেষ্ঠ মুরুব্বিরা।
দ্বিতীয়পর্বেও দেশের ৬৪ জেলা ছাড়াও বিদেশি মুসল্লিরা ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন। এরইমধ্যে মুসল্লিরা যার যার খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন।
এর আগে ইজতেমায় অংশ নিতে শীত উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মুসল্লিরা আসতে থাকেন। রাত হতেই কানাকানায় পূর্ণ হয়ে যায় ইজতেমা মাঠ। এই পর্বে অংশ নিয়েছেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিরোধী হিসেবে পরিচিত মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিদের পাশাপাশি এই পর্বে বিদেশি মেহমানরাও অংশ নিচ্ছেন।
ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তায় আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গড়ে তুলেছেন নিরাপত্তা বলয়। ৭ স্তরে কাজ করছে পুলিশের প্রায় ৮ হাজার সদস্য। পুরো ইজতেমার মাঠ ঘিরে থাকবেন র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা। পুলিশের নিজস্ব ১৬টি ওয়াচ টাওয়ারসহ র্যাবের নিজস্ব ওয়াচ টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে পুরো ইজতেমা। মাঠের চারপাশে রয়েছে অসংখ্য সিসিটিভি ক্যামেরা। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের সুবিধা-অসুবিধাগুলো সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করা হচ্ছে।
পূর্বকোণ/পিআর