চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

শেখ হাসিনার পাশেও অনেক রাজাকার : গাফফার চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক হ ঢাকা অফিস

১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৫:১৩ পূর্বাহ্ণ

স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার সব জায়গায় রয়েছে জানিয়ে বর্ষীয়ান সাংবাদিক, কলামিস্ট ও ভাষাসৈনিক আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগের ভেতরে জামায়াতের লোক ঢুকে গেছে। তারা এখন বঙ্গবন্ধুর নাম বেশি বলে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) পাশেও অনেক রাজাকার আছেন। তাদের নাম বললে আগামীতে আমার দেশে ফেরাও বন্ধ হয়ে যাবে। গতকাল রোববার ‘সম্প্রীতি, বঙ্গবন্ধু ও বাঙালির বিজয়’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’নামক সংগঠন।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে এ সময় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিকুর রহমান, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সিনিয়র সাংবাদিক হারুন হাবিব, সাবেক সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ ও শহীদকন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার আগে তাদের (জামায়াত, রাজাকার) তালিকা করা দরকার। আওয়ামী লীগের ভেতরে জামায়াতিদের বের করে দিতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে তারা আবারও সমস্যা সৃষ্টি করবে।

আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন, এখন মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরির কথা বলা হচ্ছে। দেখা যাবে, এ তালিকা তৈরি করছে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকাররা। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার আগে তাদের (জামায়াত, রাজাকার) তালিকা করা দরকার। আওয়ামী লীগের ভেতরে জামায়াতিদের বের করে দিতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে তারা আবারও সমস্যা সৃষ্টি করবে।
লন্ডনে তারেক রহমানের বিলাসী জীবনযাপনেরও বর্ণনা দেন গাফফার চৌধুরী। তিনি বলেন, তারেক রহমানের কত কোটি টাকা, আল্লাহ ভালো জানেন। তিনি লন্ডনে অসুস্থতার অজুহাতে থাকেন। আসলে তিনি সুস্থ। তাকে লন্ডনের শপিংমলে স্ত্রীকে নিয়ে ভালোভাবে হাঁটতে দেখেছি। আমাকে দেখে অসুস্থতার ভান করে। তারেক রহমান তার স্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর পরিকল্পনা করছে। তার স্ত্রী ভালো মানুষ। কষ্টে তার সংসার চলছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

‘বাকশাল থাকলে ভালো হতো’ মন্তব্য করে প্রবীণ কলামিস্ট বলেন, বাকশাল করার তিন মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। এটি যাচাইয়ের সুযোগ পাননি। এটি প্রতিষ্ঠিত হলে দেশের হত্যা-সন্ত্রাস হতো না। পুঁজিবাদ মাথাচাড়া নিয়ে উঠত না।
কাদের মোল্লা একজন আত্মস্বীকৃত যুদ্ধাপরাধী জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, তার (কাদের মোল্লা) আদালতের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির রায় হয়েছে, রায় কার্যকরও হয়েছে। একটি পত্রিকার কাগজ তাকে শহীদ বলেছে। তাদের কথা বলার ভাষা আমার নাই, এটি বললে মুখের পবিত্রতা নষ্ট হয়ে যায়। ওর মতো একটা রাজাকার, কুলাঙ্গার, জল্লাদ, কসাই তার জন্ম কী, আমরা জানি না। যার জন্মের ইতিহাস নাই, একটা খুনি, ধর্ষণকারী, বাঙালি হত্যাকারী, মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী, আমার মা-বোনের হত্যাকারী, তার কথা বলার আর কিছু নাই।
দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ পত্রিকার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ কঠোর ব্যবস্থা মন্ত্রণালয় নেবে। যেন বাংলাদেশে এ ধরনের ধৃষ্টতা কেউ দেখাতে না পারে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট