চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

প্রতীকী

‘বিশেষ দায়িত্ব’ পাচ্ছেন উপজেলা চেয়ারম্যানরা

অনলাইন ডেস্ক

১৫ মে, ২০১৯ | ৯:০৮ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগের আওতাভুক্ত প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়নে তদারকির দায়িত্ব পাচ্ছেন উপজেলা চেয়ারম্যানরা। নিয়মিত দায়িত্বের পাশাপাশি ‘বিশেষ উদ্যোগ’ বাস্তবায়নে এবার কাজ করতে হবে তাদের।
সরকারের বিশেষ উদ্যোগের আটটি ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে- নারীর ক্ষমতায়ন কার্যক্রম, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, আশ্রয়ণ প্রকল্প, শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রম, সবার জন্য বিদ্যুৎ ও কমিউনিটি ক্লিনিক-শিশু বিকাশ। চলমান এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থা। মাঠ প্রশাসনে এসব সংস্থা উপজেলা পরিষদের অধীন। এতে অনেক ক্ষেত্রে উপজেলা পরিষদের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাবে দেখা দেয় নানা জটিলতা। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পগুলোকে আরও বেগবান করতে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে উপজেলা চেয়ারম্যানদের।
জনগণের কাছে এ উদ্যোগগুলো সম্পর্কে প্রচারের দায়িত্ব পালন করবে তথ্য মন্ত্রণালয়। এসব উদ্যোগের উদ্দেশ্য হচ্ছে, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশে পরিণত করা।
দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন সময় গণমুখী আটটি কর্মসূচি নেয়। তবে প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ এসেছে। কোনো কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ধীরগতিও রয়েছে। তবে কয়েকটি প্রকল্পে ব্যাপক সফলতাও রয়েছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়ন প্রসারিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, শেখ হাসিনার বিভিন্ন গণমুখী উদ্যোগের মধ্যে এই আটটি ক্ষেত্রকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে উপজেলা চেয়ারম্যানদের সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি আরও নয়টি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- উদ্যোগগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোতে মনিটরিং ডেস্ক স্থাপন, নিজ নিজ বিষয়ে মন্ত্রণালয়গুলোকে একটি ধারণাপত্র বা কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো, নারীর ক্ষমতায়ন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে ‘জয়িতা ফাউন্ডেশন’কে বিশেষ অগ্রাধিকার দেয়া, আগামী কত বছরের মধ্যে প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব, তা নিরূপণ করা ইত্যাদি। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরকারি-বেসরকারি পার্টনারশিপ হতে পারে। এর বাইরে শান্তি ও নিরাপত্তার নামেও একটি উদ্যোগ নেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট