চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

রুম্পার মরদেহে ধর্ষণের আলামত মেলেনি

অনলাইন ডেস্ক

১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ২:৪৮ অপরাহ্ণ

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকার সড়ক থেকে ৪ ডিসেম্বর মধ্যরাতে উদ্ধার হওয়া রুবাইয়াত শারমিন ওরফে রুম্পার (২০)মরদেহের ময়নাতদন্তে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।

আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকার সড়ক থেকে ৪ ডিসেম্বর মধ্যরাতে উদ্ধার হওয়া রুবাইয়াত শারমিন ওরফে রুম্পার (২০) মৃত্যু নিয়ে ধোয়াশা কাটছিল না। রুম্পা মৃত্যুর আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বলে ধারণা ছিল পুলিশের।

শনিবার ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, রুম্পার মরদেহ ময়নাতদন্তে আমরা তিনটি টেস্ট করেছি এর মধ্যে বায়োলজিক্যাল টেস্টের প্রতিবেদন আমাদের হাতে এসেছে। এতে দেখা গেছে তার শরীরে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।

আগামীকাল বাকি দুটি টেস্টের রিপোর্ট পাওয়া গেলে তিনটি মিলিয়ে একটা প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশের কাছে ময়নাতদন্তের সর্ম্পূণ রিপোর্ট জমা দেবেন বলে তথ্য দেন ডা. সোহেল মাহমুদ।

এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর রুম্পার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ড. সোহেল মাহমুদ জানিয়েছিলেন, নিহত তরুণীর হাত, পা, কোমরসহ শরীরের কয়েক জায়গায় ভাঙা ছিল। মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে স্পষ্ট হবে। আর ভবন থেকে পড়ে মারা যাবার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না তা জানতে আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর সে বিষয়েও নিশ্চিত হওয়া যাবে।

মারা যাওয়ার আগে রুম্পা ধর্ষিত হননি বলে ৯ দিন পর জানালোন ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ।

প্রসঙ্গত, গত ৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে সিদ্ধেশ্বরীর সার্কুলার রোডের ৬৪/৪ নম্বর বাসার নিচে অজ্ঞাত মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা হত্যার আলামত সংগ্রহ করেন। সুরতহাল শেষে সংগৃহীত আলামত ফরেনসিকে পাঠায়।

লাশটি পাওয়ার পর ধারণা করা হচ্ছিল– আশপাশের কোনো ভবন থেকে পড়ে যাওয়াই তার মৃত্যুর কারণ। কিন্তু আশপাশের ভবনে খোঁজ নিয়েও ওই তরুণীকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।

ওই ঘটনার পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে।

জানা গেছে, রুম্পা রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের (স্নাতক) ছাত্রী ছিলেন। তার বাবা রোকনউদ্দিন হবিগঞ্জ জেলার একটি ফাঁড়িতে পুলিশ পরিদর্শক পদে কর্মরত।

প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধানে তিনি জানান, বুধবার সন্ধ্যার পর রুম্পা বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন। সঙ্গে নিজের মোবাইল ফোনটিও নেননি তিনি। উঁচু থেকে পড়ে শরীরের যে ধরনের জখম হয়, রুম্পার শরীরে সে ধরনের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এদিকে রুম্পার ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’কে হত্যাকণ্ড আখ্যা দিয়ে এর বিচার চেয়ে কয়েক দফা বিক্ষোভ করেছেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট