চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

অবশেষে সেই শিক্ষকের চিঠি গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়

অনলাইন ডেস্ক

১২ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ১:৩১ অপরাহ্ণ

অবশেষে ঢাকা  বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রুশাদ ফরিদীর চিঠি গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে ক্লাসে ফিরতে একাধিকবার চিঠি দিতে গেলেও তা গ্রহণ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এজন্য ক্লাসে ফেরার আকুতি জানিয়ে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন তিনি। প্রশাসনের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্তকে অবৈধ আখ্যায়িত করে আদালত রায় দিয়েছেন। তবে এখনো ক্লাসে ফিরতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. রুশাদ ফরিদী। এখন অপেক্ষায় আছেন সিদ্ধান্তের।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তার চিঠি গ্রহণের বিষয়টি তিনি নিজেই জানিয়েছেন। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রায় এসে পৌঁছেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। এর মধ্যে কনভোকেশন গেল। তাই আমার আন্দোলন আপাতত স্থগিত ছিল। এর মধ্যে পূর্ণ রায়ের বিষয়টি জানিয়ে বিভাগের চেয়ারম্যানকে মাধ্যম করে রেজিস্ট্রার বরাবর যোগদানের চিঠি দেয়ার জন্য বিভাগে গেলাম। সেখানে আবারও আমাকে জানানো হলো যে, বিভাগের চেয়ারম্যানের পরিষ্কার নির্দেশনা যে কোনো মাধ্যম হয়ে কোনো চিঠি যেন রিসিভ না করা হয়। এরপর অগত্যা সরাসরি রেজিস্ট্রারের অফিসে যেয়ে চিঠি জমা দিয়ে আসলাম।

এখন দেখছি আর অপেক্ষা করছি, যেই পূর্ণ রায়ের কপি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক চুল নড়তে পারছিলেন না, সেটি পাওয়ার পর নড়তে চড়তে এখন কতদিন লাগে। ক্লাসে ফেরার সুযোগ দেয়ার দাবিতে কয়েকদিন ধরেই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ড. রুশাদ ফরিদী। তার ব্যানারে লেখা, আমি শিক্ষক, আমাকে ক্লাসে ফিরে যেতে দিন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য না দেয়ায় এ নিয়ে ক্রমেই সমালোচনা বাড়ছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১২ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ড. রুশাদ ফরিদীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর এক সপ্তাহ পর ১৯ জুলাই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট করেন তিনি। চলতি বছরের ২৫ আগস্ট বাধ্যতামূলক ছুটির বিষয়টি অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। তা সত্ত্বেও বিভাগে ফিরতে না পেরে গত চার দিন থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন এই শিক্ষক। এই প্রতিবাদের অংশ হিসেবেই এবার সিঁড়িতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছেন তিনি।

 

 

 

 

পূর্বকোণ/এম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট